বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) যদি কসম করার পর কারো কসম মনে না থাকে, তাহলে এরজন্য তার কোনো প্রকার গোনাহ হবে না।
ভুলভ্রান্তিকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন,
لِلْخَبَرِ الْمَشْهُورِ: " «رُفِعَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأُ وَالنِّسْيَانُ وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ» "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,আমার উম্মতের মধ্য থেকে ভুলভ্রান্তি,অজ্ঞতাবশত কৃত অপরাধ এবং জোরজুলুম করে অপরাধ করতে কাউকে বাধ্য করলে, সবকিছুকেই ক্ষমা করা হবে।(মিরকাত-৪/১৩৯০)
(২) যেহেতু কসমের জন্য জবান দ্বারা উচ্ছারণ শর্ত, এবং লিখা দ্বারাও কসম হয়ে যায়, তাই বিড়বিড় করে, উচ্চারণ করলে, বা ডায়রিতে লিখে রাখলেও তা কসমে পরিণত হবে। জনসম্মুখে কসম করা শর্ত নয়, বরং নিজে নিজে একা কোনো ঘরেও কসম করলে তখন সেটা কসম হিসেবে সেটা পরিগণিত হবে।
(৩) কসম যেহেতু আল্লাহর নাম নিয়েই করা হয়, তাই কসম করার পর আল্লাহর নামের সম্মাণার্থে সেই কসমকে রক্ষা করা ওয়াজিব।
(৪) কসম মনে মনে করা হয়েছে ? নাকি উচ্ছারণ করে করা হয়েছে? যদি তা মনে না থাকে, তাহলে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে? এবং আখেরাতের চিন্তা মাথায় রেখেই সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। যদি শত চেষ্টা পরও কসম সম্পর্কে কোনো এক দিক গ্রহণ করা না যায়, তাহলে তখন বুঝতে যে, উচ্ছারণ করেই কসম করা হয়েছে। কেননা মূল হল, উচ্ছারণ করেই কসম করা। সুতরাং সতর্কতামূলক তখন কসমকে রক্ষা করতে হবে।