আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
534 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (66 points)
১। গত শতকে ঘরে ঘরে যৌথ পরিবার ব্যবস্থা ছিল। ইসলামে তো আমরা জানি দেবর, ভাসুর, নন্দাই(ননদের স্বামী) এদের সামনে পর্দা করতে হবে। দেবর, ভাসুর, ননদদের সাবালক ছেলে থাকলে তাদের সামনেও পর্দা করতে হবে। এমনকি নিজের চাচাত, মামাতো, খালাতো, ফুপাত ভাই, ফুপা, খালু এদের সামনেও পর্দা করতে হয়। আমি আগেকার যত মহিলার ছবি দেখেছি তারা শাড়ি পরে মাথায় কাপড় দিতেন। কোন মহিলাকেই শুনিনি যে কঠোর পর্দা করতেন। তখন তো একক পরিবার ব্যবস্থা ছিল না। তাহলে এমতাবস্থায় সেই মহিলারা কীভাবে ইসলামের বিধান মেনে পর্দা করতেন?
২। আমার এক লোককে পছন্দ হওয়ায় লোকটার ব্যাপারে খোঁজ খবর করি। জানতে পারি তিনি নামাজ কালাম পড়েন, রোজা রাখেন, দাঁড়িও রাখেন, ইনকাম হালাল, দৃষ্টি সংযত করেন, চেহারায় নুর আছে, বংশ ভালো, কিন্তু তিনি মুভি দেখেন, গান শুনেন, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন। এসব দেখে আমি তাকে আর নিজের পছন্দের কথা না জানানোর ও তার সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ না হওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এ সমস্ত কথা আমার এক সিনিয়র আপুকে জানালে তিনি বলেন যে তুমি এত দ্রুত ডিসিশন নিয়ে ফেললে? তিনি বললেন এত জলদি জাজ না করে ইস্তেখারা করতে। আপনিই বলুন শায়খ এমন লোকের জন্য কি ইস্তেখারা চালিয়ে যাওয়ার কোন মানে আছে? ইসলাম কি বলে এই ব্যাপারে?

1 Answer

0 votes
by (559,530 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ    

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠] 

وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١] 

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।

ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}

يَا نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى

হে নবীর স্ত্রীগণ! তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল। এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}

وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ

অর্থ : আর তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}

★উল্লেখিত ছুরতে দ্বীনদার মহিলা গন আলাদা রুমের ব্যবস্থা করে নিয়েই থাকতেন।
নিজ বারান্দায় পর্দা ঘিরে দিয়ে থাকতেন।
এমন পোশাক পড়তেন,যার দ্বারা প্রায় পূর্ণ শরীর ঢাকা থাকে। 
নিজ ঘর থেকে বাহিরে আসলেই কোনো কাপড় দিয়ে চেহারা ঢেকে বের হতেন।
নিজ ঘরে অন্য কাহারো প্রবেশে অনুমতির শর্ত ছিলো।
কাহারো সামনে গেলে বা কেউ সামনে আসলে পূর্ণ পর্দা অবলম্বন করতেন,প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত কথা বলতেননা।
,
(০২)
হ্যাঁ আপনি ইস্তেখারা করতে পারেন।
দ্রুত ডিশিসন নেওয়া ঠিক হয়নি।
,
এমন পাত্রকে বিবাহ করতে শরয়ী দৃষ্টিকোম থেকে সমস্যা নেই।
তার সাথে আপনার কুফুর সামঞ্জস্যতা থাকার কারনে বিষয়টি সম্পর্কে ইস্তেখারা করতে পারেন।
,
বিবাহের পর প্রশ্নে উল্লেখিত মন্দ কাজগুলি বুঝিয়ে বাদ দেওয়াতে পারবেন,ইনশাআল্লাহ।       


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...