জিলহজ্ব মাসের দশ, এগারো ও বারো তারিখ এ তিনদিনের প্রয়োজন অতিরিক্ত কারো কাছে যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণের সমপরিমাণ মূল্য পরিমাণ সম্পদ থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানী করা আবশ্যক।
প্রয়োজন অতিরিক্ত বলতে বুঝানো হয়েছে, উক্ত তিন দিনের নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাব এবং এখনি আদায় আবশ্যক এমন ঋণমুক্ত হতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী ঋণ কুরবানী আবশ্যক হবার জন্য বাঁধা হবে না।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ مَنْ وَجَدَ سَعَةً فَلَمْ يُضَحِّ فَلَا يَقْرَبَنَّ مُصَلَّانَا
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে কুরবানী করে না, সে যেন অবশ্যই আমাদের ঈদগাহের নিকটবর্তী না হয়। (মুসনাদ আহমাদ ৮২৭৩, ইবনে মাজাহ ৩১২৩, হাকেম ৭৫৬৫-৭৫৬৬)
অন্য এক বর্ণনায়, যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখা সত্ত্বেও কুরবানী করে না, সে ব্যক্তি যেন আমাদের ঈদগাহে উপস্থিত না হয়। (হাকেম ৩৪৬৮, সহীহ তারগীব ১০৭২)
ঋণ পরিশোধ করার পর যদি হাতে ৫.৫ভড়ি রূপার সমমূল্য পরিমাণ সম্পত্তি হাতে না থাকে, তাহলে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব হবে না।কিতাবুল-ফাতাওয়া-৪/১৩৪)
বিস্তারিত জানুনঃ
তবে তার এই ঋন যদি ব্যবসায়িক লোন হয়ে থাকে,তাহলে মাসিক কিস্তির টাকা বাদ দিয়ে কুরবানীর তিনদিনের মধ্যে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকলে কুরবানী ওয়াজিব হবে।