জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
বোবা ব্যাক্তি যদি ইশারার দ্বারা তার স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে এক্ষেত্রে তালাক পতিত হওয়ার জন্য চারটি শর্ত।
এক, জন্মগত বোবা হতে হবে।
অথবা বিগত এক বছর বোবা অবস্থায় অতিবাহিত হতে হবে।
দুই, তার ইশারার মতলব,উদ্দেশ্য লোকদের জানা থাকতে হবে।
এমনভাবে ইশারার দ্বারা তালাক দিতে হবে,যাদ্বারা সাধারণত ইশারা করে তালাক দেওয়া হয়।
তিন, ইশারা করে তালাক দেওয়ার সময় তারা মুখ থেকে কিছু শব্দও উচ্চারিত হতে হবে।
যেমনটি বোবাদের হয়ে থাকে।
চার, ইশারা দ্বারা তালাক প্রদানকারী ব্যাক্তি কথা বলার পাশাপাশি লেখার উপরেও শক্তি না থাকতে হবে।
যদি শক্তি থাকে,তাহলে ইশারা দ্বারা তার তালাক হবেনা।
ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/২৪১ তে আছেঃ
إن كان يحسن الكتابة لايقع طلاقه بالإشارة؛ لاندفاع الضرورة بما هو أدل على المراد من الإشارة وهو قول حسن، وبه قال بعض مشايخنا اهـ
সারমর্মঃ
যদি সে লেখার উপর শক্তি রাখে,তাহলে ইশারা দ্বারা তার তালাক পতিত হবেনা।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ইশারার দ্বারা তালাক পতিত হবেনা।
,
(২.৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান জানুনঃ
মেঝেতে বা দেয়ালে প্রস্রাব থাকলে,পানি ঢালা জরুরী নয়।বরং উক্ত মেঝে বা দেয়াল শুকিয়ে গেলেই পবিত্র হয়ে যাবে।
,
শক্ত নাপাকি যেমন পায়খানা হলে সেটা তুলে ফেলে দিয়ে সেখানে নাপাকির রং গন্ধ না থাকলে সেটি পাক হয়ে যাবে।
(০৪)
এটি শিরকের অন্তর্ভুক্ত নয়।
,
(০৫)
এতে তার নামাজ হয়ে যাবে,তবে সুন্নাত আদায় হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ الأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَأَبُو دَاوُدَ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَزِيدَ الْهُذَلِيِّ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَكَعَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ وَذَلِكَ أَدْنَاهُ وَإِذَا سَجَدَ فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ " . -
‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ রুকূ‘তে গিয়ে যেন কমপক্ষে তিনবার বলেঃ ‘‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আযীম’’ এবং সিজদাতে গিয়ে যেন তিনবার বলেঃ ‘‘সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা’’ আর এটাই সর্বনিম্ন পরিমাণ।
তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ রুকূ‘ ও সাজদার তাসবীহ, হাঃ২৬১, ইমাম তিরমিযী বলেন, এর সানাদ মুত্তাসিল নয়, কেননা ‘আওন ইবনু মাসউদের সাক্ষাৎ পাননি), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ রুকূ‘ ও সাজদার তাসবীহ, হাঃ ৮৯০ আবু দাউদ ৮৮৬)।