আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
293 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (65 points)
edited by
আসসালামু 'আলাইকুম

১,ইশারায় তালাক দেবার বিধান কি? নিয়াত কি শর্ত?, উল্লেখ্য ব্যক্তি মুখে কথা বলতে ও লিখতে সক্ষম।

২,মেঝে যদি মাটির হয় এতে প্রসাব পড়লে কিভাবে পাক করব? আর শক্ত নাপাকি যেমন পায়খানা হলে সেটা তুলে ফেলে দিয়ে এরপর পাক করলে হবে কি?

৩,মেঝে পাকা হলে কি করণীয়?

৪,একজন ব্যক্তি দিনে ৫ ওয়াক্ত আদায় করেনা তবে ২/৩ ওয়াক্ত করে।

যে দুই তিন ওয়াক্ত মাঝে মাঝে অলসতা বশত ত্যাগ করে,সেক্ষেত্রে অনেক সময় বাবা বকা দেয় বাবা তার রুমেই বসে থাকে তখন হয়ত তার পড়া লাগে,কিন্তু তার হালত এক্ষেত্রে এমন যে বাবা না থাকলে পড়ত্না অলসতা বশত।অনেক সময় বাবাকে মিথ্যা শুনায় যে সালাত আদায় করেছে। আর বাকিযেসব ওয়াক্ত নিজের ইচ্ছায় আদায় করে সেখানে বাবা মার কোনো প্রেশার নেই,স্বেচ্ছায় খুশিমনেই আদায় করে। এখন এই ব্যক্তির এসব কর্ম কি বড় শির্ক না ছোট শির্ক?

5,ইমামের পিছনে যদি কেউ ভুলবশত/অমনোযোগীতাবশত একবারো তাসবীহ না পড়ে রুকু অথবা সিজদায়,তাহলে সালাত আবার আদায় করতে হবে
by (59 points)
+1
মেঝে যদি মাটির হয় তাহলে তা শুকিয়ে যাওয়ার দ্বারাই পাক হয়ে যাবে।আইফাতওয়া থেকে জানতে পেরেছি।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বোবা ব্যাক্তি যদি ইশারার দ্বারা তার স্ত্রীকে তালাক দেয়,তাহলে এক্ষেত্রে তালাক পতিত হওয়ার জন্য চারটি শর্ত।

এক, জন্মগত বোবা হতে হবে।
অথবা বিগত এক বছর বোবা অবস্থায় অতিবাহিত হতে হবে।

দুই, তার ইশারার মতলব,উদ্দেশ্য লোকদের জানা থাকতে হবে।
এমনভাবে ইশারার দ্বারা তালাক দিতে হবে,যাদ্বারা সাধারণত ইশারা করে তালাক দেওয়া হয়।

তিন, ইশারা করে তালাক দেওয়ার সময় তারা মুখ থেকে কিছু শব্দও উচ্চারিত হতে হবে।
যেমনটি বোবাদের হয়ে থাকে।

চার, ইশারা দ্বারা তালাক প্রদানকারী ব্যাক্তি কথা বলার পাশাপাশি লেখার উপরেও শক্তি না থাকতে হবে।
যদি শক্তি থাকে,তাহলে ইশারা দ্বারা তার তালাক হবেনা।

ফাতাওয়ায়ে শামী ৩/২৪১ তে আছেঃ

إن كان يحسن الكتابة لايقع طلاقه بالإشارة؛ لاندفاع الضرورة بما هو أدل على المراد من الإشارة وهو قول حسن، وبه قال بعض مشايخنا اهـ
সারমর্মঃ 
যদি সে লেখার উপর শক্তি রাখে,তাহলে ইশারা দ্বারা তার তালাক পতিত হবেনা।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির ইশারার দ্বারা তালাক পতিত হবেনা।
,
(২.৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত বিধান জানুনঃ   

মেঝেতে বা দেয়ালে প্রস্রাব থাকলে,পানি ঢালা জরুরী নয়।বরং উক্ত মেঝে বা দেয়াল শুকিয়ে গেলেই পবিত্র হয়ে যাবে।
,
শক্ত নাপাকি যেমন পায়খানা হলে সেটা তুলে ফেলে দিয়ে সেখানে নাপাকির রং গন্ধ না থাকলে সেটি পাক হয়ে যাবে।

(০৪)
এটি শিরকের অন্তর্ভুক্ত নয়।
,
(০৫)
এতে তার নামাজ হয়ে যাবে,তবে সুন্নাত আদায় হবেনা।    
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ مَرْوَانَ الأَهْوَازِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَأَبُو دَاوُدَ عَنِ ابْنِ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ يَزِيدَ الْهُذَلِيِّ، عَنْ عَوْنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ، عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَكَعَ أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيمِ وَذَلِكَ أَدْنَاهُ وَإِذَا سَجَدَ فَلْيَقُلْ سُبْحَانَ رَبِّيَ الأَعْلَى ثَلَاثًا وَذَلِكَ أَدْنَاهُ " . -

 ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন তোমাদের কেউ রুকূ‘তে গিয়ে যেন কমপক্ষে তিনবার বলেঃ ‘‘সুবহানা রব্বিয়াল ‘আযীম’’ এবং সিজদাতে গিয়ে যেন তিনবার বলেঃ ‘‘সুবহানা রব্বিয়াল আ‘লা’’ আর এটাই সর্বনিম্ন পরিমাণ।
তিরমিযী (অধ্যায় : সলাত, অনুঃ রুকূ‘ ও সাজদার তাসবীহ, হাঃ২৬১, ইমাম তিরমিযী বলেন, এর সানাদ মুত্তাসিল নয়, কেননা ‘আওন ইবনু মাসউদের সাক্ষাৎ পাননি), ইবনু মাজাহ (অধ্যায় : সলাত ক্বায়িম, অনুঃ রুকূ‘ ও সাজদার তাসবীহ, হাঃ ৮৯০ আবু দাউদ ৮৮৬)।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 279 views
0 votes
1 answer 175 views
...