আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in সালাত(Prayer) by (26 points)
reopened by
আজ যোহরের নামাজে ফরজ পড়ার সময়ে ৩য় রাকাতের পর ভুলে শেষ বৈঠকে বসে পড়ি। সালাম ফিরানোর আগে মনে পড়ায় সাথে সাথে উঠে শেষ রাকাত আদায় করে তারপর সালাম ফিরাই। সাহু সেজদা করিনি।

পরে সম্পূর্ণ নামাজ ভুল হয়েছে এই ধরে আবার ৪রাকাত ফরজ আদায় করে নেই। এক্ষেত্রে সালাত আদায়ের সঠিক পদ্ধতি কি হবে?

1 Answer

0 votes
by (589,740 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1797 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছিলাম যে, 
নামাযে রা'কাত বা সেজদা সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ হলে,যে ঐ ব্যক্তির কি এটা প্রথম হয়েছে না মাঝেমধ্যে এমন হয়।যদি প্রথমবার বা কদাচিৎ হয়ে তাহলে উনি আবার প্রথম থেকে শুরু করে নতুনভাবে পড়ে নিবেন।কিন্তু যদি কারো প্রায় এরকম সন্দেহ হয়,তাহলে উনার বিধান হলো,
"وإن كثر الشك" تحرى و "عمل" أي أخذ "بغالب ظنه" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا شك أحدكم فليتحر الصواب فليتم عليه" وحمل على ما إذا كثر الشك للرواية السابقة "فإن لم يغلب له ظن أخذ بالأقل" لقوله صلى الله عليه وسلم: "إذا سها أحدكم في صلاته فلم يدر واحدة صلى أو اثنتين فليبن على واحدة فإن لم يدر اثنتين صلى أو ثلاثا فليبن على اثنتين فإن لم يدر ثلاثا صلى أو أربعا فليبن على ثلاث ويسجد سجدتين قبل أن يسلم"
যদি কারো নামাযে সংখ্যা নিয়ে প্রায় সন্দেহ হয়,তাহলে উনি তাহাররি(সঠিক বিষয়ে পৌছার জন্য চিন্তাভাবনা করা) করে গালিবে যান্ন(প্রবল ধারণা) এর উপর আ'মল করবেন।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সংখ্যা নিয়ে সন্দেহ করে,তাহলে সে যেন সঠিক বিষয়ে পৌছার চেষ্টা করে সে হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।তবে যদি চিন্তাভাবনার পরও কোনো সংখ্যার দিকে মনে প্রবল ধারণা না জন্মে, তাহলে সে যেন,কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।কেননা রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি কেউ নামাযে সন্দেহ করে,এক রা'কাত পড়েছে না দুই রা'কাত পড়েছে? তাহলে সে যেন এক রা'কাত ধরে নিয়ে সেই হিসেবে নামাযকে সম্পন্ন করে।এভাবে দুই/তিন বা তিন/চার নিয়ে সন্দেহ হলে কম সংখ্যাকে ধরে নিয়ে সে দদধনামাযকে সম্পন্ন করবে।এবং শেষে যেন সে সেজদায়ে সাহু দেয়।(মারাকিল ফালাহ-১/৪৭৭)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণনামতে যেহেতু আপনি সাহু সিজদা দিয়েছেন, তাই আপনার নামায বিশুদ্ধ ছিল। পরবর্তীতে আবার পড়ার কোনো জরুরত ছিলনা। তবে যেহেতু আপনি পরবর্তীতে পড়ে নিয়েছেন, তাই পরবর্তী নাম নামায আপনার নফল হিসেবে গণ্য হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
উস্তাজ। সাহু সেজুদা করিনি লিখেছিলাম। সেক্ষেত্রে মাসয়ালা কি হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...