আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
285 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (13 points)
আমাদের সমাজে যে কোনো বিয়ে হলেই দেখা যায়, চারজন সাক্ষী লাগে। এবং সাথে একজন উকিল নির্ধারণ করা হয়। মেয়ে ও ছেলে, উভয়কে তিনবার কবুল বলানো হয়।
আমার জানামতে হাদীসে বর্ণিত আছে দুইজন সাক্ষীর কথা। এবং উকিল বাবার কোনো বিধান নেই। মেয়েরও কবুল বলার দরকার নেই।
.
এখন আমার প্রশ্ন হলো, এই বিষয়গুলো কি কোনোভাবে হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?
অথবা এগুলোকে সরাসরি বিদআত বলা যাবে কিনা?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
শরীয়তে বিয়ের জন্য শুধুমাত্র দুইজন সাক্ষী জরুরী। এই দুইজন সাক্ষীই বর এবং কনে উভয়ের ইজাব(প্রস্তাব) ও কুবল( গ্রহণ) শুনবেন। 
(وينعقد) متلبسا (بإيجاب) من أحدهما (وقبول) من الآخر (وضعا للمضي) لأن الماضي أدل على التحقيق (كزوجت) نفسي أو بنتي أو موكلتي منك
(و) يقول الآخر (تزوجت،
«حاشية ابن عابدين = رد المحتار ط الحلبي» (3/ 10)
একজন ইজাব দিবে, এবং অন্যজন কবুল বলবে। যেমন, কেউ একজন বলবে, আমাকে আমি অমুকের নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিলাম, আমার ছেলে/মেয়েকে অমুকের নিকট বা তোমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিলাম, অথবা আমার মুআক্কিল/মুআক্কিলা কে তোমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিলাম। অপরজন দুই জন সাক্ষীর সামনে বলবে, আমি কবুল বললাম। 

দেখুন বর কনে উভয়ের মধ্যে যে কেউ অপরজনকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারে। এবং অপর জন দুইজন সাক্ষীর সামনে কবুল বলবে। বা অভিভাবক তার সাবালক ছেলে বা মেয়ের সম্মতি নিয়ে বলবে, আমি আমার মেয়ে/ছেলেকে তোমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি। অথবা উকিল বলবে, আমি আমার মু’আক্কিলকে তোমার নিকট বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছি। এবং অপর জন দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে কবুল বলবে। সাক্ষী মূলত কবুলের সময় জরুরী। ইয়াযিন বা অনুমতি নেওয়ার সময়ে সাক্ষী জরুরী নয়। 

https://www.ifatwa.info/2679 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আল্লামা হাসক্বফী রা বলেনঃ 
(وَ) شُرِطَ (حُضُورُ) شَاهِدَيْنِ(حُرَّيْنِ) أَوْ حُرٌّ وَحُرَّتَيْن (مُكَلَّفَيْنِ سَامِعَيْنِ قَوْلَهُمَا مَعًا)
 দুজন স্বাধীন পুরুষ অথবা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুজন স্বাধীন মহিলা সাক্ষী হিসেবে  উপস্থিত থাকতে হবে,যারা শরীয়তের বিধি-বিধান পালনে দায়বদ্ধ থাকবে,এবং একসাথে উভয় (স্বামী-স্ত্রী বা স্ত্রীর উকিলের কিংবা অভিভাবকের) র ইজাব-কবুল শ্রবণ করবে।(আদ্দুরুল মুখতার-৩/২২)

বিবাহের জন্য মজলিসে সাক্ষী উপস্থিত হওয়া শর্ত।যেমন ইবনে আবেদীন শামী রাহ এ সম্পর্কে বলেনঃ 
(قَوْلُهُ: وَشُرِطَ حُضُورُ شَاهِدَيْنِ) أَيْ يَشْهَدَانِ عَلَى الْعَقْدِ، أَمَّا الشَّهَادَةُ عَلَى التَّوْكِيلِ بِالنِّكَاحِ فَلَيْسَتْ بِشَرْطٍ لِصِحَّتِهِ كَمَا قَدَّمْنَاهُ عَنْ الْبَحْرِ،
দুজন সাক্ষী মজলিসে উপস্থিত থাকা শর্ত।অর্থাৎ যারা মজলিসে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানকে সরাসরি প্রত্যক্ষ করবে। বিবাহের উকিল নিযুক্ত করণের সময় সাক্ষী উপস্থিত থাকা শর্ত নয়।(রদ্দুল মুহতার-৩/২১;)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
শুধুমাত্র কবুল বলার সময়ে সাক্ষী শর্ত। ইয়াযিন বা অনুমিত নেওয়ার সময়ে সাক্ষী রাখা শর্ত নয়। এবং উকিল বা উকিল বাপের কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। বর কনের মধ্য থেকে যে কোনো একজন বিয়ের প্রস্তাব দিবে, অথবা তার অভিভাবক বিয়ের প্রস্তাব দিবে, কিংবা তার উকিল বিয়ের প্রস্তাব দিবে, এবং অপরজন দুইজন সাক্ষীর সামনে কবুল বলবে। বিয়ে হয়ে যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...