আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
287 views
in সালাত(Prayer) by (61 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) ইমামের অযু ভেঙে গেছে। পিছনে মুসল্লিদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে ইমামতি চালিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এমতাবস্থায় ইমামের করণীয় কী?

২) মুসল্লীর অযু ভেঙে গেছে। কিন্তু পিছনে এতো কাতার ভেদ করে আসা অসম্ভব। এমতাবস্থায় মুসল্লীর করণীয় কী?

৩) নামাজের অনেক পরে ইমামের মনে পড়ল, নামাজের সময় অযু ছিল না। ততক্ষণে মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বের হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ইমামের করণীয় কী?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)ইমামের অযু ভেঙে গেছে। পিছনে মুসল্লিদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে ইমামতি চালিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এবং কোনো ক্রমেই তাদের জন্য ইমামতি করা সম্ভব নয়, তাহলে ইমাম সাহেব নামাযকে ভঙ্গ করবেন, অতঃপর অজু করে এসে আবার নতুন করে নামায পড়বেন। 

(২) https://www.ifatwa.info/4709 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)

নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯

(৩) নামাজের অনেক পরে ইমামের মনে পড়ল, নামাজের সময় অযু ছিল না। ততক্ষণে মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বের হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ইমামের করণীয় হল, ইমাম সাহেব লাগাতার কয়েক ওয়াক্ত ঘোষণা দিবেন। যাতেকরে মুসল্লিরা একাকি উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...