ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)ইমামের অযু ভেঙে গেছে। পিছনে মুসল্লিদের মধ্যে এমন কেউ নেই, যে ইমামতি চালিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা রাখে। এবং কোনো ক্রমেই তাদের জন্য ইমামতি করা সম্ভব নয়, তাহলে ইমাম সাহেব নামাযকে ভঙ্গ করবেন, অতঃপর অজু করে এসে আবার নতুন করে নামায পড়বেন।
হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত
عن عائشة، قالت: قال النبي صلى الله عليه وسلم: «إذا أحدث أحدكم في صلاته فليأخذ بأنفه، ثم لينصرف»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যদি তোমাদের কারো নামাযে অজু চলে যায়,তাহলে সে যেন নিজ নাকে ধরে নামায ভেঙ্গে অজুর জন্য চলে যায়।(সুনানু আবি দাউদ-১১১৪)
নামাযে যদি কারো অজু ভঙ্গ হয়ে যায়,এবং ঐ ব্যক্তি যদি প্রথম কাতারে থাকে,তাহলে তিনি প্রত্যেক দুই ব্যক্তির মধ্যখানে ফাক সৃষ্টি করে তিনি মসজিদ থেকে বের হয়ে অজু করতে চলে যাবেন।কিংবা যদি সামন দিক দিয়ে যাওয়ার কোনো সুযোগ থাকে,তাহলে তিনি সামন দিক দিয়ে যাবেন।এক্ষেত্রে অনেককে ডিঙ্গিয়ে যাওয়ার রুখসত রয়েছে।এতে কোনো সমস্যা হবে না।কেননা এগুলো নিজের নামাযকে সংশোধন করার নিমিত্তেই করা হচ্ছে।যদি নামাযের কাতার থেকে বাহির হওয়ার কোনো সুযোগ না থাকে,বা কাতার সংখ্যায় অনেক থাকে,তাহলে এমতাবস্থায় বিধান হল,ঐ ব্যক্তি নামাযকে পরিত্যাগ করে আপন স্থানে বসে থাকবে।ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-৬/৫৭৯
(৩) নামাজের অনেক পরে ইমামের মনে পড়ল, নামাজের সময় অযু ছিল না। ততক্ষণে মুসল্লীরা মসজিদ থেকে বের হয়ে গেছে। এমতাবস্থায় ইমামের করণীয় হল, ইমাম সাহেব লাগাতার কয়েক ওয়াক্ত ঘোষণা দিবেন। যাতেকরে মুসল্লিরা একাকি উক্ত নামাযকে দোহড়িয়ে নেন।