বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) ইমামের জন্য সামি আল্লাহ বলা সুন্নত।ইমামের জন্য সুন্নত,তবে মুক্তাদির জন্য সুন্নত নয়।আর রাব্বানা লাকাল হামদ মুক্তাদির জন্য সুন্নত,তবে ইমামের জন্য সুন্নত নয়।
যদি জামাতে নামাযের সময় রাব্বানা লাকাল হামদ বলা সুন্নত নঢ,সুতরা তরক করে দিলে নামায ফাসিদ হবে বা মাকরুহও হবে না।
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম বলেন,তাজবিদ শিক্ষা করা প্রত্যেকে মুসলমানের উপর ফরযে (আইন)।
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ মুহাস্মদ ইবনে জাযরি রাহ বলেন,
ﻭﺍﻷﺧﺬ ﺑﺎﻟﺘﺠﻮﻳﺪ ﺣﺘﻢ ﻻﺯﻡ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺠﻮﺩ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺁﺛﻢ .
তাজবিদ সহকারে কোরআন শিক্ষা করা অতি অত্যাবশ্যকীয়।তাজবিদ সহকারে যে কুরআন পড়বে না সে গোনাহগার হবে। কিন্তু উনার ছেলে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ জাযরি এই কবিতার ব্যখ্যায় লিখেন,যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না। (শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কিরাতের উপরোক্ত কোনো সূরতেই নামায ফাসিদ হবে না।কেননা প্রথমত নিকটবর্তী মাখরাজ,এবং দ্বিতীয়ত,এখানে অর্থের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।