আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in সালাত(Prayer) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া ররহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।।

1.ইমাম সামি আল্লাহ হুলিমান হামিদাহ বলে উঠে  রব্বানা লাকাল হামদ না বলে সাথে সাথে সরাসরি সিজদায় চলে গেলে কি সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়?
2.
1:7

صِرَاطَ الَّذِیۡنَ اَنۡعَمۡتَ عَلَیۡہِمۡ ۬ۙ غَیۡرِ الۡمَغۡضُوۡبِ عَلَیۡہِمۡ وَ لَا الضَّآلِّیۡنَ ٪﴿۷﴾
Bengali - Bayaan Foundation
তাদের পথ, যাদের উপর আপনি অনুগ্রহ করেছেন। যাদেরকে নিয়ামত দিয়েছেন।যাদের উপর (আপনার) ক্রোধ আপতিত হয়নি এবং যারা পথভ্রষ্টও নয়।

এখানে সিরতল্লাজিনা আন আমতা আলাইহিম এ আমতা জায়গাটায় আইন এর জায়গায় আলিফ বললে এবং আলাইহিম এর আলাই এ আইন এর জায়গায় আলিফ হলে এবং আলাইহিম এ হিম এ ছোট হা এর জায়গায় বড় হা বললে সালাত ভেংগে যাবে কি?

এবং

1:5

اِیَّاکَ نَعۡبُدُ وَ اِیَّاکَ نَسۡتَعِیۡنُ ؕ﴿۵﴾
Bengali - Bayaan Foundation
আপনারই আমরা ইবাদাত করি এবং আপনারই নিকট আমরা সাহায্য চাই।

এখানে ইয়্যাকানায়া বুদু ওয়া ইয়্যাকানাস তা য়িইন এর তায়িইন এর যে অংশ টিতে আইন আছে সেখানে ইয়া উচ্চারণ হলে সালাত ভেংগে যাবে কি??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) ইমামের জন্য সামি আল্লাহ বলা সুন্নত।ইমামের জন্য সুন্নত,তবে মুক্তাদির জন্য সুন্নত নয়।আর রাব্বানা লাকাল হামদ মুক্তাদির জন্য সুন্নত,তবে ইমামের জন্য সুন্নত নয়।

যদি জামাতে নামাযের সময় রাব্বানা লাকাল হামদ বলা সুন্নত নঢ,সুতরা তরক করে দিলে নামায ফাসিদ হবে বা মাকরুহও হবে না।

https://www.ifatwa.info/1126 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ উলামায়ে কেরাম বলেন,তাজবিদ শিক্ষা করা প্রত্যেকে মুসলমানের উপর ফরযে (আইন)।
ক্বেরাত বিশেষজ্ঞ মুহাস্মদ ইবনে জাযরি রাহ বলেন,
ﻭﺍﻷﺧﺬ ﺑﺎﻟﺘﺠﻮﻳﺪ ﺣﺘﻢ ﻻﺯﻡ ﻣﻦ ﻟﻢ ﻳﺠﻮﺩ ﺍﻟﻘﺮﺁﻥ ﺁﺛﻢ .
তাজবিদ সহকারে কোরআন শিক্ষা করা অতি অত্যাবশ্যকীয়।তাজবিদ সহকারে যে কুরআন পড়বে না সে গোনাহগার হবে। কিন্তু উনার ছেলে আহমদ ইবনে মুহাম্মদ জাযরি এই কবিতার ব্যখ্যায় লিখেন,যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না। (শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
কিরাতের উপরোক্ত কোনো সূরতেই নামায ফাসিদ হবে না।কেননা প্রথমত নিকটবর্তী মাখরাজ,এবং দ্বিতীয়ত,এখানে অর্থের কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...