আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,226 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম ।ইদানিং আমাদের বাসায় দুটি সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করেছে ।

1, সন্ধ্যা হওয়ার পরেই জানালা দিয়ে মৌমাছি ঢূকে প্রচুর জ্বালায়। সবসময় আতঙ্কিত থাকতে হয় যাতে হুল না ফুটায়।

এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কোনো দোয়া বা আমল রয়েছে কি?

2, এছাড়াও এক ধরনের বিষাক্ত পিপড়াদের আগমন ঘটেছে বাসায়। যেগুলা একবার কামড়ালে প্রচুর যন্ত্রণা সহ 2-3 দিন থাকে ব্যথা ও জায়গা ফুলে যায় ।

এই পিপড়া স্থায়ীভাবে দূর করার আমল ও দোয়া ইনশা আল্লাহ্ জানাবেন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) জানালায় জালি রেখে দিবেন। অর্থাৎ জালি পর্দার ব্যবস্থা করে নিবেন। তাহলে আর মৌমাছি আসবে না। 

(২) কষ্টদায়ক প্রাণী ব্যতীত অন্য কোনো প্রাণীকে হত্যা করা যাবেনা, হত্যা করা নাজায়েয ও হারাম।

ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত
عن ابن عباس رضي الله عنهما قال: "نهى رسول الله صلى الله عليه سلم عن قتل أربع من الدواب النملة، والنحلة، والهدهد، والصرد"
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) চার প্রকার প্রাণী হত্যা করতে বারণ করেছেনঃ পিঁপড়া, মধুমক্ষিকা, হুদহুদ পাখি এবং চড়ুই সদৃশ বাজ পাখি।(সুনানু আবি-দাউদ-৫২৬৭, সুনানু ইবনি মা'জা-৩২২৪)

তবে কষ্টদায়ক প্রাণী যা মানুষের জান-মালের জন্য ক্ষতির কারণ হয়,তথা কামড় দেয় বা যা খাদ্যকে নষ্ট করে দেয়,সেই সব প্রাণীকে হত্যা করা জায়েয রয়েছে।হাদীসে পিপড়া হত্যাকে নিষেধ করা হয়েছে,সেগুলো মূলত সেসব পিপড়াকে কেন্দ্র করে বলা হয়েছে,যেগুলো মানুষকে কোনো প্রকার ক্ষতি পৌছায় না।সুতরাং ততক্ষণ পর্যন্ত কোনো প্রাণীকে হত্যা করা যাবে না,যতক্ষণ না সেই প্রাণী কষ্টদায়ক প্রমাণিত হচ্ছে।এবং উক্ত প্রাণীকে হত্যা ব্যতিত সামনে বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকবে।

মোটকথাঃ
কষ্টকর প্রাণীকে হত্যা করা জায়েয। এর জন্য বিকল্প রাস্তা গ্রহণ করা যেতে পারে। বিশেষ করে এমন পরিবেশ তৈরী করাই শ্রেয়, যা কষ্টদায়ক প্রাণীর  জন্মের প্রতিবন্ধক হয়। এতেকরে প্রাণী হত্যার বিধিনিষেধ সম্ভলিত হাদীস সমূহের সাথে সাথে পরিবেশ রক্ষার হাদীস সমূহের উপরও আ'মল হয়ে যাবে। বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/895

হ্যা, নিজ ঈমান ও আমল ভালো থাকলে কুরআনের যে কোনো আয়াত পড়ে ফু দিলে তা চলে যাবে। তবে শর্ত হল, নিজ ঈমান ও আ’মল ভালো থাকতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...