ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) পাঁছ ওয়াক্ত নামায আযান পড়ার সাথে সাথেই পড়া ।
নামাজ ত্যাগ করা গুনাহে কবীরা। হাদীসে নামাজ ত্যাগকারীর প্রতি কঠিন হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করা হয়েছে।
হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, মুমিন বান্দা ও কুফরীর মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে নামাজ ত্যাগ করা। (বোখারী)
অন্য হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ্ (সা.) ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি নামাজ আদায় করে না, দীন ইসলামে তার কোনো অংশ নেই। (বোখারী ও মুসলিম)
বেনামাজি ব্যক্তি কিয়ামতের দিন চরমভাবে লাঞ্ছিত ও অপদস্থ হবে। এ সম্বন্ধে পবিত্র কুরআন মজীদে ইরশাদ রয়েছে, স্মরণ কর, সেই চরম সংকটের দিনের কথা, যেদিন তাদেরকে আহবান করা হবে সিজদা করার জন্য; কিন্তু তারা তা করতে সক্ষম হবে না। তাদের সৃষ্টি অবনত, হীনতা তাদেরকে আচ্ছন্ন করবে। অথচ যখন তারা নিরাপদ ছিল তখন তো তাদেরকে আহবান করা হয়েছিল সিজদা করতে। (সূরা কালাম, ৬৮ : ৪২-৪৩)
(২) সকাল বিকাল তাসবিহ পড়া। তাসবিহে ফাতেমি পড়া সহজ- সুবহানাল্লাহ ৩৩ বার,আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, এবং আল্লাহু আকবার ৩৪ বার। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/ 14645
(৩) বিশেষ বিশেষ সময়ে বর্ণিত দুআ সমূহ পড়া। এর জন্য একটি দুআর বই ক্রয় করে নিবেন। নাদিয়া প্রকাশনীর একটি দুআর বইয়ের মূল্য মাত্র ৫ টাকা হতে পারে।
(৪) সকল প্রকার হারাম থেকে বেঁচে থাকতে হবে।
আপাতত এতটুকুর উপর ধারাবাহিক আ’মল করুন। যাতে কখনো কিছু মিছ না হয়, সেদিকে বিশেষ যত্নবান হোন।