জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলোঃ মুখ মণ্ডল তথা চোখ, মুখ, নাক, কান ইত্যাদি মুখাবয়বের চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকলে তার উপর ছবির বিধান প্রযোজ্য হবে না।
অন্যথায় সেগুলোকে ছবি বলা হবে।
আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ
“ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। (সুনানে আন-নাসায়ী হা/৫৩৪৭-সহিহ)
★★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি মানব সহ যেকোনো প্রানীর মুখ মণ্ডল তথা চোখ, মুখ, নাক, কান ইত্যাদি মুখাবয়বের কোনো চিহ্নই অবশিষ্ট না থাকে,তাহলে তা আকাঁ যাবে।
তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন এটাকেও ছবির অন্তর্ভুক্ত বলেছেন।
তাই সতর্কতা মূলক এহেন ছবিও না আঁকাই উচিত।
আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
كُلُّ مُصَوِّرٍ فِي النَّارِ يُجْعَلُ لَهُ بِكُلِّ صُورَةٍ صَوَّرَهَا نَفْسٌ فَيُعَذِِّبُهُ فِي جَهَنَّمَ
প্রত্যেক ছবিনির্মাতা জাহান্নামে যাবে, তার নির্মিত প্রতিটি ছবি পরিবর্তে একটি করে প্রাণ সৃষ্টি করা হবে, যা তাকে জাহান্নামে শাস্তি দিতে থাকবে। (বুখারী ২২২৫, ৫৯৬৩, মুসলিম ৫৬৬২)
,
(০১)
জায়েজ নেই।
,
(০২)
মুখ মণ্ডল তথা চোখ, মুখ, নাক, কান ইত্যাদি মুখাবয়বের চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকলে তাহা আঁকা যাবে।
,
(০৩)
হ্যাঁ এখানে যেহেতু চোখ, মুখ, নাক, কান ইত্যাদি মুখাবয়বের চিহ্ন অবশিষ্ট থাকেনা,তাই এটি আঁকতে পারবেন,তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন এটিকেও আঁকতে নিষেধ করেছেন।
,
(৪.৫.৬.৭)
জায়েজ নেই।
,
(০৮)
যদি তাতে চোখ, মুখ, নাক, কান ইত্যাদি মুখাবয়বের চিহ্ন অবশিষ্ট না থাকে,তাহলে এমন ছায়া আঁকতে পারবেন,তবে অনেক উলামায়ে কেরামগন এটিকেও আঁকতে নিষেধ করেছেন।