আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in সালাত(Prayer) by (101 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,

১)চার রাকাতে ফরজ নামাজের প্রথম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়তে ভূলে যাই যা তৃতীয় রাকাতে মনে পড়ে। আর শেষ বৈঠকে সাহু সিজদা দিয়ে দেই।এতে নামাজ শুদ্ধ হয়েছে কি?

২)ইমামের পেছনে ১ রাকাত নামাজের ইক্তিদা করতে পেরেছিলাম ।আর শেষ বৈঠকে দরুদ শরীফ পাঠের সময় 'কামা সল্লাইতা আ'লা ইবরাহিম পড়ার পরিবর্তে 'কামা সল্লাইতা আ'লা মুহাম্মদ 'পড়ে ফেলি আর ইমাম তখন সালাম ফিরান।ফলে তা ঠিক না করে বাকি নামাজ পড়ে  সাহু সিজদা দিয়ে পরবর্তীতে সঠিকভাবে পড়ে নিই।এতে নামাজ সঠিক হয়েছে কি?

৩) আরেকবার দরুদ শরীফ পড়ার ক্ষেত্রে ভূল পড়ার কারনে তাড়াহুড়ো করে নামাজ শেষ করতে গিয়ে দরুদ শরীফের শুরুর দিকের 'আল্লাহুম্মা সল্লি আ'লা মুহাম্মদ 'পড়ে সালাম ফিরাই।এতে নামাজ হয়েছে কি?

1 Answer

0 votes
by (560,820 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নামাজে প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلاَمُ فَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتُمُوهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. 

শাকীক ইবনু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাযি.) বলেন, আমরা যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, ‘‘আস্সালামু আলা জিব্রীল ওয়া মিকাইল এবং আস্সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’’ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্ নিজেই তো সালাম, তাই যখন তোমরা কেউ সালাত আদায় করবে, তখন সে যেন বলে-

التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ

‘‘সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ‘ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।’’ কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার নিকট পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গে اَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল)-ও পড়বে। (বুখারী শরীফ ৮৫৩, ১২০২, ৬২৩০, ৬২৬৫, ৬৩২৮, ৭৩৮১; মুসলিম ৪/১৬, হাঃ ৪০২, আহমাদ ৩৫৭৫)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯৩)

★যদি কেহ প্রথম বৈঠকে তাশাহুদ না পড়ে,তাহলে সেজদায়ে সাহু দেওয়া আবশ্যক হবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فَقَامَ وَعَلَيْهِ جُلُوسٌ، فَلَمَّا كَانَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهْوَ جَالِسٌ.
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মালিক (রাযি.)- যিনি ইবনু বুহাইনা- হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করলেন। দু’ রাক‘আত পড়ার পর তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন অথচ তাঁর বসা জরুরী ছিল। অতঃপর সালাতের শেষভাগে বসে তিনি দু’টো সাজদাহ্ করলেন। (বুখারী শরীফ ৮২৯)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৪ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯২)

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ শুদ্ধ হয়েছে। 
,
  
(০২)
নামাজ শুদ্ধ হয়েছে।
তবে সেজদায়ে সাহুর এখানে প্রয়োজনীয়তা ছিলোনা।
,
(০৩)
হ্যাঁ নামাজ হয়ে গিয়েছে। 

আরো জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...