আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
149 views
in সালাত(Prayer) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

আমি সিলেট থেকে ঢাকা আসতেছিলাম ট্রেনে। সিলেট থেকে ঢাকা সফর পরিমান দূরত্ব। ট্রেনের মধ্যে নামাজ পড়তে গিয়ে দেখি জামাত শুরু হচ্ছে আরো কয়েকজন মিলে। আমি তাদের সাথে মিলে নামাজ পড়ে নেই। ট্রেনে কাতারের দাগ কাটা ছিল। আমি নিশ্চিত নই যে উনারা আদৈ কিবলা নির্ণয় করে কিবলার দিকে ফিরে নামাজ পড়া শুরু করেছেন কিনা।
এখন আমার করণীয় কি? কাজা আদায় করবো নাকি নামাজ হয়ে যাবে?

1 Answer

0 votes
by (566,160 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


নামাযে কিবলামুখী হওয়া নামায সহীহ হবার জন্য শর্ত। কিবলামুখী না হলে নামায শুদ্ধই হবে না। 

আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ     

قَدْ نَرَىٰ تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ ۖ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا ۚ فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ۚ وَحَيْثُ مَا كُنتُمْ فَوَلُّوا وُجُوهَكُمْ شَطْرَهُ ۗ وَإِنَّ الَّذِينَ أُوتُوا الْكِتَابَ لَيَعْلَمُونَ أَنَّهُ الْحَقُّ مِن رَّبِّهِمْ ۗ وَمَا اللَّهُ بِغَافِلٍ عَمَّا يَعْمَلُونَ [٢:١٤٤] 

নিশ্চয়ই আমি আপনাকে বার বার আকাশের দিকে তাকাতে দেখি। অতএব, অবশ্যই আমি আপনাকে সে কেবলার দিকেই ঘুরিয়ে দেব যাকে আপনি পছন্দ করেন। এখন আপনি মসজিদুল-হারামের দিকে মুখ করুন এবং তোমরা যেখানেই থাক, সেদিকে মুখ কর। যারা আহলে-কিতাব, তারা অবশ্যই জানে যে, এটাই ঠিক পালনকর্তার পক্ষ থেকে। আল্লাহ বেখবর নন, সে সমস্ত কর্ম সম্পর্কে যা তারা করে। {বাকারা-১৪৪}

গাড়ী, লঞ্চ ও বাস কিবলা থেকে ঘুরতে থাকলে মুসল্লীও ঘুরবে এবং সর্বদা কিবলামুখী থাকবে ।
,
যানবাহনে যদি কেউ বিনা ওযরে বসে নামায পড়ে কিংবা নামায অবস্থায় কিবলা থেকে চেহারা ফিরে যায়, তাহলে নামায দুহরিয়ে নিতে হবে ।
(প্রমাণঃ আহসানুল ফাতাওয়া-৪/৮৮  ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়াহ-২ /১২০)

যানবাহনে নামাজ আদায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
যানবাহনে কিবলার দিকে হওয়া সংক্রান্ত  মাসয়ালা হলোঃ
বাসে কিবলামুখি হতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে। যদি গাড়ি কিবলামুখ থেকে অন্যদিকে ঘুরে যায় তবে নামাজে থাকা অবস্থায় কিবলামুখি ঘুরে যাবে। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে যেদিকে মুখ হয়, সেদিকে ফিরেই নামাজ শেষ করবে। কিন্তু ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও কিবলামুখি হয়ে নামাজ আদায় করতে না পারলে এই নামাজ পরে আবার পড়ে নিতে হবে। কিবলামুখি ফিরে নামাজ আদায় করতে পারলে পরে তা আবার আদায় করার প্রয়োজন নেই।

আরো জানুনঃ 
,
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছে  

فى الفتاوى الهندية- ولو ترك تحويل وجهة الى القبلة وهو قادر عليه لا يجزيه (الفتاوى الهندية –كتاب الصلاة ،الباب الخمس العشر فى صلاة المسافر-1/144)

যার সারমর্ম হলো যদি কিবলার দিক হয়ে নামাজ পড়া সম্ভবপর হওয়া সত্ত্বেও কিবলার দিক না হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যেহেতু  নিশ্চিত নন যে তারা আদৌ কিবলা নির্ণয় করে কিবলার দিকে ফিরে নামাজ পড়া শুরু করেছেন কিনা!

সুতরাং আপনি তাদের প্রশ্ন করবেন।
তাদের দেওয়া জবাব মতাবেক আপনি নিজ নামাজের হুকুম বের করবেন।
যদি তারা কিবলা নির্ণয় করে নামাজ পড়ে থাকে,তাহলে তো কোনো সমস্যা নেই।
যদি তারা  কিবলা নির্ণয় না করে নামাজ আদায় করে,তাহলে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করে নিবেন।  
,
যদি প্রশ্ন করা আর সম্ভবপর না হয়, তাহলে আপনি সতর্কতা মূলক সেই নামাজ পুনরায় আদায় করে নিবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 215 views
...