বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহীহ বোখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গোনাহও হতে পারে।
এবং ধোকা দেয়া হারাম।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ
সুতরাং এই মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,সরকার জনগণ এমনকি সাধারণ অমুসলিমকেও ধোকা দেয়া যাবে না।তবে আত্মরক্ষার জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখার অনুমোদন রয়েছে।
তাই বলা যায় যে,
কাউকে ঠকানো বা ধোঁকা দেয়ার নিয়তে বিপিএন ব্যবহার কখনো জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানুন-
https://www.ifatwa.info/2171 তবে নিজের আত্মরক্ষার জন্য,বা কাজের সুবিধার্থে VPN ব্যবহার করা জায়েয হবে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে যেহেতু মানুষের সেবা এবং মানুষের নিাপত্তার স্বার্থে আপনি সাইবার সিকিউরিটি এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখছেন, তাই আপনার জন্য উক্ত পেশা জায়েয হবে। এবং উক্ত পেশার ইনকামও আপনার জন্য হালাল হবে। মানুষের সেবা করার জন্য এতে আপনি সওয়াবও পাবেন। নিজের হেফাজতের স্বার্থে আপনি ভিন্ন আইপি এড্রেসও ব্যবহার করতে পারবেন।
(২)
জ্বী, কারো ওয়েবসাইট হেকিং করা কখনো জায়েয হবে না। এমনকি কোনো অমুসলিমের ওয়েবসাইট হেকিং করাও জায়েয হবে না। হ্যা, মুসলমানদের সাথে যুদ্ধরত কাফিরদের ওয়েব সাইট হ্যাক করার অনুমতি কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন। তবে ভারতের সাথে আমাদের চুক্তি রয়েছে। তাই তাদের কোনো ওয়েব সাইট হ্যাক করা কখনো জায়েয হবে না। এই খারাপ দিকগুলো ব্যতীত আপনি তাদের ভালো ভালো দিক শিখতে পারবেন।