আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
482 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (11 points)

# আমি কম্পিউটার টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেছি । কম্পিউটার টেকনলজি এর একটি শাখা হলো সাইবার সিকিউরিটি এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং। আল্লাহ তাআলা তৌফিক দিলে আমি ইথিক্যাল হ্যাকিং সাইবার সিকিউরিটি কে পেশা হিসেবে গ্রহণ করতে চাই | একজন ইথিক্যাল হ্যাকার মূলত মানুষকে বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে থাকে  যেমন: কোন খারাপ হ্যাকার যদি মানুষের তথ্য ও টাকা-পয়সা চুরি করে তাহলে ইথিক্যাল হ্যাকারা সেই সকল খারাপ হ্যাকারদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করে এবং মানুষের তথ্য ও টাকা-পয়সা রিকভার করার চেষ্টা করে । এছাড়া বিভিন্ন অনলাইন প্রতিষ্ঠান যেমন ওয়েবসাইট , এগুলোতে কোন দুর্বলতা থাকলে ইথিক্যাল হ্যাকার এগুলোকে খুঁজে বের করেন যাতে কোন খারাপ হ্যাকার সেটিতে আক্রমণ না করতে পারে । উক্ত ওয়েবসাইটের মালিকের অনুমতিতেই তারা সেই কাজ করে থাকেন এবং খুঁজে বের করা দুর্বলতাগুলো মালিক কে ধরিয়ে দেয় উক্ত সেবা দানের মাধ্যমে ইথিক্যাল হ্যাকারগণ টাকা রোজগার করেন। ইথিক্যাল হ্যাকার মূলত ভালোর জন্য কাজ করে থাকে এবং খারাপ হ্যাকারকে খুঁজে বের করতেও সাহায্য করে ।উক্ত পেশাটি বেশ বিপদজনক ।তাই একজন ইথিক্যাল হ্যাকার কে তার পরিচয় ও তার এড্রেস সব সময় লুকিয়ে রাখতে হয় যাতে কোন খারাপ হেকার তার ক্ষতি না করতে পারে ।পরিচয় লুকিয়ে রাখতে একজন ইথিক্যাল হ্যাকার কে তার আইপি অ্যাড্রেস ও ম্যাক এড্রেস এক এক সময় এক একটি ব্যবহার করতে হয় । প্রত্যেক কম্পিউটারের একটি নিজস্ব ম্যাক এড্রেস থাকে এবং সেই কম্পিউটার যখন অনলাইনে যুক্ত হয় তখন তার নিজস্ব একটি আইপি অ্যাড্রেস থাকে ।ম্যাক অ্যাড্রেস ও আইপি অ্যাড্রেস মূলত ফোনের সিম নাম্বার এর মত একটি জিনিস, যা ব্যবহার করে কারো পরিচয় এবং লোকেশন খুজে বের করা যায় । একজন ইথিক্যাল হ্যাকার তাই ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ম্যাক এড্রেস ও আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে থাকেন যাতে কোন খারাপ হ্যাকার তার লোকেশন ও পরিচয় খুঁজে বের করে তার ক্ষতি না করতে পারে ।আমার জানামতে খারাপ হ্যাকারদের থেকে নিজের নিরাপত্তার জন্য নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে এই পদ্ধতিটি ছাড়া আর কোন অন্য পদ্ধতি নেই ।

) এখন আমার প্রশ্ন হল: মানুষের সেবা দানের জন্য এবং নিজের নিরাপত্তার জন্য একজন ইথিক্যাল হ্যাকার যদি বিভিন্ন সময় ভিন্ন ভিন্ন আইপি ও ম্যাক এড্রেস ব্যবহার করেন বা অনলাইনে  ছদ্মবেশ ধারণ করেন  তাহলে উক্ত পেশাটি ইসলামের দৃষ্টিতে কি জায়েজ হবে ?


 

# আমি অনলাইনে কিছু ইথিক্যাল হ্যাকিং (ভালো হ্যাকিংয়ের) এর ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখছিলাম ।এটি ছিল বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান যারা মূলত ভালো কাজ করার জন্য ইথিক্যাল হ্যাকিং শেখান ।কিন্তু তাদের একটি ভিডিওতে দেখতে পেলাম তারা তাদের স্টুডেন্টদের শেখানোর জন্য  ভারতের একটি ওয়েবসাইট hack করলেন ওয়েবসাইটির মালিকের অনুমতি না নিয়ে ।কিন্তু সেই ওয়েবসাইট থেকে কোন টাকা-পয়সা বা তথ্য নিলেন না মূলত তাদের শিক্ষার্থীদের শেখানোর জন্য এই কাজটি করলেন তবে তারা যেহেতু যেহেতু ওয়েবসাইটির মালিকের অনুমতি ছাড়া সাইটে প্রবেশ করেছেন এটি আমার কাছে অনুচিত বলে মনে হয়েছে ।

প্রশ্ন ২) এই ধরনের অনুচিত কাজগুলো ছাড়া অন্য যে ভালো কাজগুলো তারা শিখিয়ে থাকেন সেগুলো যদি আমি গ্রহণ করিনি তবে কি জায়েজ হবেঅর্থাৎ খারাপ জ্ঞানটুকু বাদ দিয়ে ভালো জ্ঞানগুলো যদি গ্রহণ করি তাহলে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে জ্ঞান অর্জন করা কি আমার জন্য জায়েয হবে ?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/10384 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
সহীহ বোখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গোনাহও হতে পারে।

এবং ধোকা দেয়া হারাম।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ 
"যে ব্যক্তি ধোকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়" (সহীহ মুসলিম-১০১) আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/647

সুতরাং এই মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,সরকার জনগণ এমনকি সাধারণ অমুসলিমকেও ধোকা দেয়া যাবে না।তবে আত্মরক্ষার জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখার অনুমোদন রয়েছে।

তাই বলা যায় যে,
কাউকে ঠকানো বা ধোঁকা দেয়ার নিয়তে বিপিএন ব্যবহার কখনো জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2171 তবে নিজের আত্মরক্ষার জন্য,বা কাজের সুবিধার্থে VPN ব্যবহার করা জায়েয হবে।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
প্রশ্নের বিবরণমতে যেহেতু মানুষের সেবা এবং মানুষের নিাপত্তার স্বার্থে আপনি সাইবার সিকিউরিটি এবং ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখছেন, তাই আপনার জন্য উক্ত পেশা জায়েয হবে। এবং উক্ত পেশার ইনকামও আপনার জন্য হালাল হবে। মানুষের সেবা করার জন্য এতে আপনি সওয়াবও পাবেন। নিজের হেফাজতের স্বার্থে আপনি ভিন্ন আইপি এড্রেসও ব্যবহার করতে পারবেন। 

(২)
জ্বী, কারো ওয়েবসাইট হেকিং করা কখনো জায়েয হবে না। এমনকি কোনো অমুসলিমের ওয়েবসাইট হেকিং করাও জায়েয হবে না। হ্যা, মুসলমানদের সাথে যুদ্ধরত কাফিরদের ওয়েব সাইট হ্যাক করার অনুমতি কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম দিয়ে থাকেন। তবে ভারতের সাথে আমাদের চুক্তি রয়েছে। তাই তাদের কোনো ওয়েব সাইট হ্যাক করা কখনো জায়েয হবে না। এই খারাপ দিকগুলো ব্যতীত আপনি তাদের ভালো ভালো দিক শিখতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...