আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
361 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (60 points)
আসসালামু আলাইকুম।

১. হেদায়াত লাভের কোনো দোয়া আছে কি?

২.আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজের কষ্টগুলো আল্লাহর কাছে বলা সুন্নত! এই হাদিসটা কি সহীহ্। আকাশের দিকে তাকিয়ে দোয়া পড়া য়ায়? আমারা যে মনে মনে আল্লাহর কাছে কথার মাধ্যমে বলতে থাকি তাহলে কি দোয়া কি পৌছায়?

৩.আমরা জানি যে, ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় প্রায় সময়ই খারাপ Ad এসে পড়ে যা দেখলে গুনাহ হয়।মূলত এসব ad আসলে সেই ইউটিউবারের ইনকাম হয়। এর থেকে রেহাই পেতে আমি গুগল থেকে এমন এক ধরনের ইউটিউব ডাউনলোড করেছি, যেখানে কোনো Ad আসে না। এক পর্যায়ে আমার এক বন্ধু এইরকম কথা বলেছে যে, "যেহেতু এই ইউটিউবে ad আসবে না, সেহেতু ইউটিউবারের ইনকামও হবে না। সুতরাং এই ইউটিউব ব্যবহার করা যাবে নাহ" আমার প্রশ্ন হলো, আমি গুনাহ থেকে বাচার জন্য যে ইউটিউব টি ব্যবহার করছি,সেটি কি ব্যবহার করা জায়েজ হবে???

৪. জন্ম মৃত্যু বিয়ে এবং দুনিয়াবি জীবনের সকল কিছু আল্লাহ তায়ালার ইচ্ছে অনুযায়ী হয়ে থাকে। তাহলে অনেক বড় বড় মাওলানা বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য করেন। "" আগে বিয়ে করো পরে প্রতিষ্ঠিত হও " অনেকে বলে জীবন সঙ্গী মনের মত না হলে বিয়ে করো না "। আমার কথা হলো আল্লাহ তায়ালা যেখানে সব কিছু নির্ধারণ করে রেখেছেন সেখানে কি এই কথা গুলো ভিত্তিহীন নয়?? ভূল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (561,180 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হেদায়াত লাভের জন্য এই দোয়া গুলি করতে পারেন।

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى، وَالتُّقَى، وَالْعَفَافَ، وَالْغِنَى

اللهم يا قادراً على كل شيء .. اغفر لنا كل شيء وارحمنا برحمتك الواسعة التي رحمت بها كل شيء وإذا وقفنا بين يديك لا تسألنا عن أي شيء فإنك أهل التقوى وأهل المغفرة .

اللهم اجعلنا من الذين يحبونَ لقاءكَ وتحبُّ لقاءهم .

اللهم يا عزيز يا جبار اجعل قلوبنا تخشع من تقواك واجعل عيوننا تدمع من خشياك واجعلنا يا رب من أهل التقوى وأهل المغفرة

اللهم يا مصرف القلوب صرف قلوبنا على طاعتك >

اللهم اهدني وسدد خطاي .

(رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ)

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِينِكَ)

,

(০২)
নামাজের বাহিরে রাসুলুল্লাহ সাঃ আকাশের দিকে  দৃষ্টিপাত করতেন মর্মে হাদীসে এসেছে। 
নামাজের ভিতর আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত না করতে আদেশ করা হয়েছে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ، - يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا جَلَسَ يَتَحَدَّثُ يُكْثِرُ أَنْ يَرْفَعَ طَرْفَهُ إِلَى السَّمَاءِ .

আবদুল আযীয ইবন ইয়াহইয়া (রহঃ) ....... আবদুল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) তাঁর পিতা হতে বর্ণনা করেছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কথাবার্তা বলার জন্য বসতেন, তখন অধিকাংশ সময় তিনি আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করতেন। 
(আভু দাউদ ৪৭৬২)

حديث أبي موسى كان رسول الله صلى الله عليه وسلم كثيرا ما يرفع بصره إلى السماء .. الحديث أخرجه مسلم.
সারমর্মঃ
রাসুলুল্লাহ সাঃ অধিকাংশ সময় আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করতেন। 
(মুসলিম)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَعَمْرُو بْنُ سَوَّادٍ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَيَنْتَهِيَنَّ أَقْوَامٌ عَنْ رَفْعِهِمْ أَبْصَارَهُمْ عِنْدَ الدُّعَاءِ فِي الصَّلاَةِ إِلَى السَّمَاءِ أَوْ لَتُخْطَفَنَّ أَبْصَارُهُمْ " .

আবূ তাহির ও আমর ইবনু সাওয়াদ (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কেউ যেন সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে দু’আর সময় আকাশের দিকে না তাকায়। অন্যথায় তার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নেওয়া হবে।
(মুসলিম ৮৫১)

★সুতরাং বুঝা গেলো যে নামাজের বাহিরে আসমানের দিকে তাকিয়ে দোয়া করা করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস খুজে পাইনি। 
(০৩)  
হ্যাঁ জায়েজ হবে।
,
(০৪)
এগুলো বলা আকীদার খেলাফ নয়।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...