আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
165 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু আলাইকুম,

শায়েখ বর্তমানে আমরা যে সমাজে / পৃথীবিতে বাস করছি যেখানে সুদ,ঘুষ, দুর্নীতি নিত্যনৈমাত্তিক বিষয়। সেখানে নিজেকে একজন ত্বাকওয়াবান, সৎ, ব্যক্তি হিসেবে টিকিয়ে রাখাটা কঠিন হয়ে যায়। বিষয়টা এরকম,  আমি কোন একটা সমস্যায় পড়লাম। এখন এই সমস্যা বা ঝামেলা থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্য যাদের কাছে যাবো (তারা সরকারী বা বেসরকারী যেটাই হোক) তাদের থেকে সাহায্য পেতে হলে আমাকে কখনও টাকা অথবা এরকম কিছু না চাইলেও দিতে হচ্ছে। না হলে দেখা যায় আমার প্রতিপক্ষ তাদেরকে এরকম কিছু করে হাত করে রেখেছে যা আমার বিপক্ষে যাচ্ছে অথবা আমার কাজটাকে তারা ঝুলিয়ে রাখছে বা খুব খারাপ আচরন করছে। আমার জরুরতটাকে তারা মুল্য দিচ্ছে না। তখন দেখা যাচ্ছে আমাকে অথবা এরকম পরিস্থিতির স্বীকার কারীকে না চাইলেও বাধ্য হয়ে কিছুটা অসৎপথ অবলম্বন করতে হচ্ছে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে একজন মুত্তাকি হিসেবে নিজেকে গড়তে করতে চাইলে আসলে আমাদের করনীয়টা কি? আমরা অন্তর থেকে আল্লাহকে ভয় করছি কিন্তু তারপরও গোনাহে শরীক হচ্ছি, এক্ষেত্রে আসলে আমাদের করনীয়টা কি? আমাদের আমলনামা টা কতটা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে?

এই বিষয়টা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন ইনশা'আল্লাহ।

জাঝাকুমুল্লাহু খাইরান।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ঘুষ দেওয়া ব্যতীত যদি নিজ প্রাপ্য হক আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে এমতাবস্থায় ঘুষ দেয়া জায়েয। অন্যথায় ঘুষ দেয়া হারাম। তবে ঘুষ গ্রহণ করা সর্বাবস্থায়-ই নাজায়েয ও হারাম।
প্রয়োজনে ঘুষ দেয়া জায়েয।এ বিষয়ের উপর উলামায়ে কেরাম নিম্নোক্ত হাদীস দ্বারা প্রমাণ পেশ করে থাকেন। হযরত উমর ইবনে খাত্তাব রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﻋﻤﺮ ﺑﻦ ﺍﻟﺨﻄﺎﺏ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇِﻥَّ ﺃَﺣَﺪَﻫُﻢْ ﻟَﻴَﺴْﺄَﻟُﻨِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴْﺄَﻟَﺔَ ﻓَﺄُﻋْﻄِﻴﻬَﺎ ﺇِﻳَّﺎﻩُ ﻓَﻴَﺨْﺮُﺝُ ﺑِﻬَﺎ ﻣُﺘَﺄَﺑِّﻄُﻬَﺎ ، ﻭَﻣَﺎ ﻫِﻲَ ﻟَﻬُﻢْ ﺇِﻻ ﻧَﺎﺭٌ ، ﻗَﺎﻝَ ﻋُﻤَﺮُ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﻓَﻠِﻢَ ﺗُﻌْﻄِﻴﻬِﻢْ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﻧَّﻬُﻢْ ﻳَﺄْﺑَﻮْﻥَ ﺇِﻻ ﺃَﻥْ ﻳَﺴْﺄَﻟُﻮﻧِﻲ ، ﻭَﻳَﺄْﺑَﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻲ ﺍﻟْﺒُﺨْﻞَ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ আমার কাছে যাকাতের মাল থেকে কিছু দেওয়ার জন্য সুওয়াল করে।অতঃপর আমি তাকে কিছু দিয়ে দেই।তথা তার সুওয়াল আমার কাছ থেকে কিছু নিয়ে নেয়।তবে এই গ্রহণকৃত জিনিষ তাদের জন্য আগুনের মত।তখন উমর রাযি বললেন, হে রাসূলুল্লাহ! তাহলে আপনি কেন দেন?তারা আমারকে লেপ্টে ধরেছে।অথচ আল্লাহ আমাকে কৃপণতা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছন।(মুসনাদে আহমদ-১০৭৩৯)
রাসূলুল্লাহ সাঃ উক্ত মাল তাদের উপর হারাম হওয়া সত্তেও তাদের বারংবার সুওয়াল করার ধরুণ তাদেরকে দিয়ে নিজের উপর কৃপণতার অপবাদকে দূর করেছেন।

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
নিজ প্রাপ্যকে উসূল করতে ঘুষ ব্যতীত অন্যকোনো রাস্তা না থাকলে তখন প্রয়োজনে ঘুষ দিয়েও নিজ প্রাপ্যকে উসূল করা জায়েয হবে। যথাসম্ভব এসব হারাম থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখতে হবে। এবং সকল প্রকার হারাম থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখাই ঈমানের দাবী। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (26 points)
শায়েখ আমি আমার প্রশ্ন এবং আপনার উত্তর প্রদানের বিষয়টি ঠিক বুঝতে পারছি না।
by (590,550 points)
আপনি কি এখানে নতুন। 
by (590,550 points)
সংযোজন সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...