ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একজন ঈমানদের এভাবে কথা বলা উচিৎ হবে না। বরং তাকে সর্বদা আল্লাহর উপর তাওয়াকুল করতে হবে। আল্লাহর তার উপর সহায় থাকলে তার জন্য সকল প্রকার ইবাদত সম্ভব। সবকিছুকে আল্লাহর উপর ন্যস্ত করতে হবে। শয়তানের উপর কোনো কিছুই ছেড়ে দেওয়া যাবে না। শয়তানের কাজই হল, মানুষকে গোমড়া করা। সৎ পথ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া।
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻥ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺇِﻧَﺎﺛًﺎ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﺷَﻴْﻄَﺎﻧًﺎ ﻣَّﺮِﻳﺪًﺍ
তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধুমাত্র নারীর আরাধনা করে এবং তারা শুধুমাত্র অবাধ্য শয়তানের পূজা করে।
ﻟَّﻌَﻨَﻪُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻟَﺄَﺗَّﺨِﺬَﻥَّ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻧَﺼِﻴﺒًﺎ ﻣَّﻔْﺮُﻭﺿًﺎ
আল্লাহ তা'আলা তাকে (শয়তানকে) অভিসম্পাত করেছেন।
শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব।
ﻭَﻷُﺿِﻠَّﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻷُﻣَﻨِّﻴَﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﺒَﺘِّﻜُﻦَّ ﺁﺫَﺍﻥَ ﺍﻷَﻧْﻌَﺎﻡِ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﻐَﻴِّﺮُﻥَّ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَّﺨِﺬِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻓَﻘَﺪْ ﺧَﺴِﺮَ ﺧُﺴْﺮَﺍﻧًﺎ ﻣُّﺒِﻴﻨًﺎ
তাদপশুদেরেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব।
(আল্লাহ তা'আলা বললেন)যে কেউ আল্লাহ-কে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে,সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হবে।(সূরা নিসাঃ১৭-১৯)
সুতরাং আল্লাহর সাহায্যর আশায় দিনাতিপাত করাই প্রত্যেক মু’মিন মুসলামানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। শয়তানের প্ররোচনায় বসে থাকা বা অপেক্ষা করা কখনো কোনো মু’মিন মুসলামানের জন্য কাম্য হতে পারে। এটা নিতান্তই দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক। হ্যা, এজন্য ঐ ব্যক্তির ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।