আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
347 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (14 points)
আসসালামুয়ালাইকুম

একজন ব্যাক্তি অপর ব্যক্তিকে এশার জামাতের ওয়াক্তের কিছু আগে জিজ্ঞেস করেন যে এশার জামাত পড়তে তিনি মসজিদে যাবেন কিনা? উত্তরে অপর ব্যক্তি মজা করতে গিয়ে বলেন যে ," আমি এখন একটু শুয়ে রেস্ট নিবো, এরপর উঠে জামাত পড়তে পারবো কি পারবোনা এটি নির্ভির করবে শয়তানের উপর, শয়তান ধোকা দিয়ে দিলে পারবোনা।"
এখন উনি ভবিষ্যতের একটি কাজ শয়তানের উপর নির্ভর করবে এই ধরণের কথা বলায় ঈমাণ ভঙ্গ হয়ে গেছে কি?
by (14 points)
দয়া করে দ্রুত উত্তর জানাবেন ইন শা আল্লাহ 

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
একজন ঈমানদের এভাবে কথা বলা উচিৎ হবে না। বরং তাকে সর্বদা আল্লাহর উপর তাওয়াকুল করতে হবে। আল্লাহর তার উপর সহায় থাকলে তার জন্য সকল প্রকার ইবাদত সম্ভব। সবকিছুকে আল্লাহর উপর ন্যস্ত করতে হবে। শয়তানের উপর কোনো কিছুই ছেড়ে দেওয়া যাবে না। শয়তানের কাজই হল, মানুষকে গোমড়া করা। সৎ পথ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া। 

আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻥ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺇِﻧَﺎﺛًﺎ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﺷَﻴْﻄَﺎﻧًﺎ ﻣَّﺮِﻳﺪًﺍ
তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধুমাত্র নারীর আরাধনা করে এবং তারা শুধুমাত্র অবাধ্য শয়তানের পূজা করে।
ﻟَّﻌَﻨَﻪُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻟَﺄَﺗَّﺨِﺬَﻥَّ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻧَﺼِﻴﺒًﺎ ﻣَّﻔْﺮُﻭﺿًﺎ
আল্লাহ তা'আলা তাকে (শয়তানকে) অভিসম্পাত করেছেন। 
শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব।
ﻭَﻷُﺿِﻠَّﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻷُﻣَﻨِّﻴَﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﺒَﺘِّﻜُﻦَّ ﺁﺫَﺍﻥَ ﺍﻷَﻧْﻌَﺎﻡِ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﻐَﻴِّﺮُﻥَّ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَّﺨِﺬِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻓَﻘَﺪْ ﺧَﺴِﺮَ ﺧُﺴْﺮَﺍﻧًﺎ ﻣُّﺒِﻴﻨًﺎ
তাদপশুদেরেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব;  কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব।
(আল্লাহ তা'আলা বললেন)যে কেউ আল্লাহ-কে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে,সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হবে।(সূরা নিসাঃ১৭-১৯)

সুতরাং আল্লাহর সাহায্যর আশায় দিনাতিপাত করাই প্রত্যেক মু’মিন মুসলামানের দায়িত্ব ও কর্তব্য। শয়তানের প্ররোচনায় বসে থাকা বা অপেক্ষা করা কখনো কোনো মু’মিন মুসলামানের জন্য কাম্য হতে পারে। এটা নিতান্তই দুর্বল ঈমানের পরিচায়ক। হ্যা, এজন্য ঐ ব্যক্তির ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...