জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা নিসার ১২ নং আয়াতে ইরশাদ করেনঃ
وَ لَکُمۡ نِصۡفُ مَا تَرَکَ اَزۡوَاجُکُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّہُنَّ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَہُنَّ وَلَدٌ فَلَکُمُ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡنَ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصِیۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَ لَہُنَّ الرُّبُعُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ اِنۡ لَّمۡ یَکُنۡ لَّکُمۡ وَلَدٌ ۚ فَاِنۡ کَانَ لَکُمۡ وَلَدٌ فَلَہُنَّ الثُّمُنُ مِمَّا تَرَکۡتُمۡ مِّنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ تُوۡصُوۡنَ بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ؕ وَ اِنۡ کَانَ رَجُلٌ یُّوۡرَثُ کَلٰلَۃً اَوِ امۡرَاَۃٌ وَّ لَہٗۤ اَخٌ اَوۡ اُخۡتٌ فَلِکُلِّ وَاحِدٍ مِّنۡہُمَا السُّدُسُ ۚ فَاِنۡ کَانُوۡۤا اَکۡثَرَ مِنۡ ذٰلِکَ فَہُمۡ شُرَکَآءُ فِی الثُّلُثِ مِنۡۢ بَعۡدِ وَصِیَّۃٍ یُّوۡصٰی بِہَاۤ اَوۡ دَیۡنٍ ۙ غَیۡرَ مُضَآرٍّ ۚ وَصِیَّۃً مِّنَ اللّٰہِ ؕ وَ اللّٰہُ عَلِیۡمٌ حَلِیۡمٌ ﴿ؕ۱۲﴾
তোমাদের স্ত্রীদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক তোমাদের জন্য, যদি তাদের কোন সন্তান না থাকে এবং তাদের সন্তান থাকলে তোমাদের জন্য তাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ; ওসিয়ত পালন এবং ঋন পরিশোধের পর। তোমাদের সন্তান না থাকলে তাদের জন্য তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির চার ভাগের এক ভাগ, আর তোমাদের সন্তান থাকলে তাদের জন্য তোমাদের পরিত্যক্ত সম্পত্তির আট ভাগের এক ভাগ; তোমরা যা ওসিয়াত করবে তা দেয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর। আর যদি কোন পুরুষ অথবা নারীর ‘কালালাহ বা পিতা-মাতা ও সন্তানহীন উত্তরাধিকারী হয়, আর থাকে তার এক বৈপিত্রেয় ভাই বা বোন, তবে প্রত্যেকের জন্য ছয় ভাগের এক ভাগ। তারা এর বেশী হলে সবাই সমান অংশীদার হবে তিন ভাগের এক ভাগে; এটা যা ওসিয়াত করা হয় তা দেয়ার পর এবং ঋণ পরিশোধের পর, কারো ক্ষতি না করে। এ হচ্ছে আল্লাহর নির্দেশ। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীল।
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী পাবে মাইয়্যিতের চার ভাগের এক ভাগ সম্পদ।
বাকি ৩ ভাগ সন্তানদের মাঝে মাঝে বন্টন হবে।
এক ছেলে যা পাবে,এক মেয়ে তার অর্ধেক পাবে।
এই পদ্ধতিতে তাদের মাঝে বাকি সম্পদ বন্টন হবে।
যেমন এক ছেলে আর এক মেয়ে থাকলে ছেলে পাবে ২ অংশ।
মেয়ে পাবে ১ অংশ।
,
(০২)
ব্যাক্তি মারা যাওয়ার পর তো সে আর তার সম্পত্তির মালিক থাকেনা,সুতরাং তার উপর আর যাকাত আসবেনা।
,
এই সম্পত্তি ওয়ারিশদের মাঝে ভাগ করে দিয়ে সকলের মালিকানা নিশ্চিত করতে হবে।
তারপর ওয়ারিশগন নিজ নিজ অংশ আর তার অন্যান্য সম্পদ মিলে নেসাব পরিমান হলে যাকাত দিবে।
নতুবা দিবেনা।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত স্বর্ণ সকলের মাঝে ভাগ করে দিয়ে যার যার নেসাব পরিমান সম্পদ হয়,বা অন্যান্য সম্পদের সাথে এটি সহ নেসাব পরিমান হয়,তাহলে তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
,
বিস্তারিত জানুনঃ