আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
973 views
in খাদ্য ও পানীয় (Food & Drink) by (17 points)

আমাদের গ্রামাঞ্চলে কাজির ভাত নামের একটা খাবার বেশ প্রচলিত। এক সপ্তাহ পানিতে চাল ভিজিয়ে রেখে পরবর্তীতে রান্না করে এটা তৈরি করা হয়। আমি যতদূর জানি, এটা খেলে কিছুটা মাতাল ভাব আসে। এই খাবার খাওয়া কি হালাল?

1 Answer

+1 vote
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/165 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
মাদকদ্রব্য সম্পর্কে কিছু মূলনীতি মূলক আলোচনা সর্বাগ্রে মনে রাখা আমাদের অত্যান্ত প্রয়োজন। যা হানাফি গ্রন্থের গ্রহণযোগ্য কিতাবাদি থেকে চয়ন করা হয়েছে।

প্রথমেই ফাতাওয়ায়ে শামীর ইবারত আমরা লক্ষ্য করি..........তথায় লিখিত রয়েছে...
ﻭﺍﻟﻤﺤﺮﻡ ﻣﻨﻬﺎ ﺃﺭﺑﻌﺔ ) ﺃﻧﻮﺍﻉ
ﺍﻷﻭﻝ ( ﺍﻟﺨﻤﺮ ﻭﻫﻲ ﺍﻟﻨﻲﺀ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﻌﻨﺐ ﺇﺫﺍ ﻏﻠﻰ ﻭﺍﺷﺘﺪ ﻭﻗﺬﻑ ﺑﺎﻟﺰﺑﺪ ﻭﺣﺮﻡ ﻗﻠﻴﻠﻬﺎ ﻭﻛﺜﻴﺮﻫﺎ ) ﺑﺎﻹﺟﻤﺎﻉ
( ﻭ ) ﺍﻟﺜﺎﻧﻲ ( ﺍﻟﻄﻼﺀ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻌﺼﻴﺮ ﻳﻄﺒﺦ ﺣﺘﻰ ﻳﺬﻫﺐ ﺃﻗﻞ ﻣﻦ ﺛﻠﺜﻴﻪ ﻭﻗﻴﻞ ﻣﺎ ﻃﺒﺦ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﻌﻨﺐ ﺣﺘﻰ ﺫﻫﺐ ﺛﻠﺜﺎﻩ ﻭﺑﻘﻲ ﺛﻠﺜﻪ ) ﻭﺻﺎﺭ ﻣﺴﻜﺮﺍ ( ﻭﻫﻮ ﺍﻟﺼﻮﺍﺏ ﻭﻧﺠﺎﺳﺘﻪ ﻛﺎﻟﺨﻤﺮ ) ﺑﻪ ﻳﻔﺘﻲ
( ﻭ ) ﺍﻟﺜﺎﻟﺚ ( ﺍﻟﺴﻜﺮﻭﻫﻮ ﺍﻟﻨﻲﺀ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﺮﻃﺐ )
( ﻭ ) ﺍﻟﺮﺍﺑﻊ ( ﻧﻘﻴﻊ ﺍﻟﺰﺑﻴﺐ ﻭﻫﻮ ﺍﻟﻨﻲﺀ ﻣﻦ ﻣﺎﺀ ﺍﻟﺰﺑﻴﺐ ) ﺑﺸﺮﻁ ﺃﻥ ﻳﻘﺬﻑ ﺑﺎﻟﺰﺑﺪ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﻐﻠﻴﺎﻥ
( ﻭﺍﻟﻜﻞ ) ﺃﻱ ﺍﻟﺜﻼﺛﺔ ﺍﻟﻤﺬﻛﻮﺭﺓ ( ﺣﺮﺍﻡ ﺇﺫﺍ ﻏﻠﻲ ﻭﺍﺷﺘﺪ ) ﻭﺇﻻ ﻟﻢ ﻳﺤﺮﻡ ﺍﺗﻔﺎﻗﺎ ﻭﺇﻥ ﻗﺬﻑ ﺣﺮﻡ ﺍﺗﻔﺎﻗﺎ ﻭﻇﺎﻫﺮ ﻛﻼﻣﻪ ﻓﺒﻘﻴﺔ ﺍﻟﻤﺘﻮﻥ ﺃﻧﻪ ﺍﺧﺘﺎﺭ ﻫﺎ ﻫﻨﺎ ﻗﻮﻟﻬﻤﺎ
( ﺗﻨﻮﻳﺮ ﺍﻷﺑﺼﺎﺭ ﻣﻊ ﺍﻟﺪﺭ ﺍﻟﻤﺨﺘﺎﺭ - ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﺷﺮﺑﺔ - 2/259
পানীয় র মধ্য থেকে চার প্রকারের পানীয় হারাম।যথা-
(১)মদ (الخمر)
আঙ্গুরের কাঁচা রস উথলানোর পর যখন তা গাড়/শক্ত হয়ে উঠে (এমন পর্যায়ে পৌছে যাতে নেশা চলে আসে)।এবং যখন তাতে ফেনা সৃষ্টি হয়।একেই খামর বলে। যার কমবেশি সর্বসম্মতিক্রমে হারাম।
(২)তি'লা (ﺍﻟﻄﻼﺀ)
আঙ্গুরের কাঁচা রস পাকানোর পর যদি দুই তৃতীয়াংশের কম বা দুই তৃতীয়াংশ শুকিয়ে যায়।
এটাও নেশাপ্রবণ। তাই মদের মত এটাও হারাম।এবং এর উপরই ফাতাওয়া।
(৩)নাকীউত তামার (نقيع التمر)
পাকা শুকনা খেজুরের শরাব যা পানিতে ভিজিয়ে করা হয়।
(৪)নাকীউয যাবীব(نقيع الزبيب)
শুকনা কিসমিস কয়েকদিন পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে রাখার পর যখন তাতে ভাপ সৃষ্টি হয়,তখন একে নাকীউয যাবীব বলা হয়।

প্রথম প্রকার বিধান তো পূর্বেই বর্ণিত হয়েছে।তথা হারাম।এখন বাকী তিন প্রকারেরর হুকুম হল,যদি তা উথলানোর পর যখন তা গাড় বা শক্ত হয়ে উঠে,তাহলে এগুলাও হারাম।নতুবা হারাম হবে না।
আর যদি তাতে ফেনা চলে আসে তবে তা ঐক্যমতে হারাম হবে।উক্ত বিষয়ে সাহাবাইন রাহ এর মতামতের উপর-ই ফাতাওয়া।(তথা ফেনা উঠা শর্ত নয়)(ফাতাওয়ায়ে শা'মী;২/২৫৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কাজির ভাত খেলে যদি নেশাভাব চলে আসে তাহলে তা জায়েয হবে না। নতুবা জায়েয হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...