আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
150 views
in সালাত(Prayer) by (10 points)
আসসালামু ওয়ালাইকুম। রাসূল (স) যখন নামাজ পড়তেন তখন তো তিনি জনসম্মুখে নামাজ আদায় করতেন। আর সকল সাহাবী তা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করতেন। তাহলে নামাজ আদায়ের পদ্ধতি নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান থাকার তো কথা না যেহেতু তা জনসম্মুখেই করা হতো? যেমন রাসূল (স) হাত কই বাধতেন কিংবা রাফউল ইয়াদান করতেন কিনা তা তো সকলেরই দেখার কথা...

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সাহাবায়ে কেরাম ইসলাম গ্রহণের পর দ্বীনি জ্ঞান অর্জনের পর একেকজন একেকদিকে হিজরত করতেন। কেউবা যুদ্ধের জন্য  আবার কেউবা দাওয়াতের কাজের নিমিত্তে দূর দূরান্তে সফর করতেন। তাদের কেউ একজন মদিনা ত্যাগের পূ্র্বে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যে আমল প্রত্যক্ষ করে গেছেন, সেই আ’মলের দাওয়াতই তারা দিতেন। কিন্তু তাদের মদিনা ত্যাগের পর অহীর মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ সাঃ উক্ত আমলকে পাল্টিয়ে দেন। এবং পরবর্তীতে কোনো সাহাবী অন্যত্র দাওয়াত দিতে গেলে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর সর্বশেষ আ’মলের দাওয়াত দিতে থাকেন। এভাবেই মূলত আ’মলের মধ্যে পার্থক্য হয়ে যায়। 

 ﺣﺪﺛﻨﺎ ﺣﻔﺺ ﺑﻦ ﻋﻤﺮ ﻋﻦ ﺷﻌﺒﺔ ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻋﻮﻥ ﻋﻦ
ﺍﻟﺤﺎﺭﺙ ﺑﻦ ﻋﻤﺮﻭ ﺍﺑﻦ ﺃﺧﻲ ﺍﻟﻤﻐﻴﺮﺓ ﺑﻦ ﺷﻌﺒﺔ ﻋﻦ ﺃﻧﺎﺱ ﻣﻦ ﺃﻫﻞ ﺣﻤﺺ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺏ ﻣﻌﺎﺫ ﺑﻦ ﺟﺒﻞ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻤﺎ ﺃﺭﺍﺩ ﺃﻥ ﻳﺒﻌﺚ ﻣﻌﺎﺫﺍ ﺇﻟﻰ ﺍﻟﻴﻤﻦ ﻗﺎﻝ ﻛﻴﻒ ﺗﻘﻀﻲ ﺇﺫﺍ ﻋﺮﺽ ﻟﻚ ﻗﻀﺎﺀ ﻗﺎﻝ ﺃﻗﻀﻲ ﺑﻜﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﻓﺈﻥ ﻟﻢ ﺗﺠﺪ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﻓﺒﺴﻨﺔ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ ﻓﺈﻥ ﻟﻢ ﺗﺠﺪ ﻓﻲ ﺳﻨﺔ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭﻻ ﻓﻲ ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﻠﻪ ﻗﺎﻝ ﺃﺟﺘﻬﺪ ﺭﺃﻳﻲ ﻭﻻ ﺁﻟﻮ ﻓﻀﺮﺏ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺻﺪﺭﻩ ﻭﻗﺎﻝ ﺍﻟﺤﻤﺪ ﻟﻠﻪ ﺍﻟﺬﻱ ﻭﻓﻖ ﺭﺳﻮﻝ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻟﻤﺎ ﻳﺮﺿﻲ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ 
ﺑﺎﺏ ﺍﺟﺘﻬﺎﺩ ﺍﻟﺮﺃﻱ ﻓﻲ ﺍﻟﻘﻀﺎﺀ
রাসূলুল্লাহ সাঃ যখন মু'আয রাযি.কে ইয়ামন প্রেরণের ইচ্ছা করলেন,তখন তাকে বললেন,তুমি কিভাবে বিচার পরিচালনা করবে? যখন তোমার সামনে বিচারকার্য উপস্থিত হবে।তখন মু'আয রাযি উত্তরে বললেন,আমি কিতাবুল্লাহ দ্বারা বিচার কার্য পরিচালনা করব।রাসূলুল্লাহ আবার জিজ্ঞাসা করলেন,যদি তুমি কিতাবুল্লাহে সেই বিষয়কে খুঁজে না পাও তখন কি করবে?মু'আয রাযি বললেন,তখন সুন্নাতে রাসূল দ্বারা বিচারকার্য পরিচালনা করব।রাসূলুল্লাহ সাঃ আবার বললেন,যদি তুমি কিতাবুল্লাহ বা সুন্নাতে রাসূলে খুঁজে না পাও তবে কি করবে?মু'আয রাযি বললেন,তাহলে নিজে ইজতেহাদ করে বিচার কার্য করব,এবং এতে কোনোপ্রকার ত্রুতি থাকবে না।একথা শুনে খুশিতে রাসূলুল্লাহ সাঃ মু'আয রাযি এর  সিনায় হাত বুলিয়ে বললেন,'সমস্ত প্রশংসা ঐ আল্লাহর যিনি উনার রাসূলের দূতকে এমন জিনিষ এর তাওফিক দিয়েছেন যে বিষয়ে রাসূলুল্লাহ খুশি ও আনন্দিত। (সুনানে আবু-দাউদ- ৩৫৯২)

দেখুন!
মু'আয রাযি.কুরআন-হাদীসকে সামনে রেখে তার আলোকে ইজতেহাদ করার কথা বলছেন,আর রাসূলুল্লাহ সাঃও এ কথা শুনে খুশি হলেন।
আর বিষয়ে কুরআন-হাদীসের সরাসরি কোনো নস নেই তাতে ইজতেহাদ করার নামই হল মাযহাব।আল্লাহ-ই ভালো জানেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...