ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাজ:
(১) দাড়িয়ে নামায পড়ার সামর্থ্য থাকাবস্থায় বসে ফরয নামায পড়লে তা আদায় হবে না। এবং এভাবে পড়া জায়েযও হবে না। তবে বিনা উজরে বসে সুন্নত বা নফল নামায পড়ার অুনমোদন রয়েছে। বসে ইশারা করে সামান্য ঝুকে রুকু করা হবে। এবং সম্ভব হলে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী সিজদা করা হবে। এবং সিজদা করা সম্ভব না হলে ইশারার মাধ্যমে সিজদা করা হবে।
(২) ইচ্ছাকৃত কাযা নামায আদায়ে দেড়ী করা কখনো জায়েয হবে না।
(৩) নিজ সম্পদে ১০ দিরহাম তথা প্রায় ৩/৪হাজার টাকার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তখন জামাতে শরীক না হওয়ার রুখসত থাকবে।
ক্ষতিকর প্রাণি ও কীটপতঙ্গ হত্যা সম্পর্কে:
(১)কষ্টকর প্রাণীদেরকে উত্তমভাবে হত্যা করতে হবে। তাকে কষ্ট দিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে কিংবা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা কখনো জায়েয হবে না।
যেমন হাদীস শরীফে এসেছে-
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إِنَّ النَّارَ لاَ يُعَذِّبُ بِهَا إِلاَّ اللَّهُ.
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আগুন দ্বারা আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কেউ শাস্তি দিতে পারে না৷" (সহীহ বুখারী: ৩০১৬)
وَرَأَى النبي صلى الله عليه وسلم قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حرقها بعض الصحابة بالنار فقال: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلَّا رَبُّ النَّارِ.
"রাসূলুল্লাহ সা, দেখলেন জনৈক সাহাবী পিঁপড়ার বাসা আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে দিয়েছেন৷ তখন রাসূল সা, বললেন, আগুনের প্রতিপালক ছাড়া আগুন দ্বারা অন্য কেউ শাস্তি দিতে পারে না৷" (সুনানে আবু দাউদ: ২৬৭৫)
(২) হয়তো সেটা বিশেষ কোনো কীট সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তাই এ সম্পর্কে আপনি কোনো প্রাণী বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। তবে সাধারণ নিয়ম হল যে, এভাবে প্রাণী কে জ্বালানো নিষেধ।
পবিত্রতা:
(১) সে পানি পাক নয়, বরং ঐ পানি থেকে উঠানোর পরই মূলত কাপড় পাক হয়, তবে পানি নাপাক থেকে যায়, বা তাতে নাপাকির সম্ভাবনা থাকে।
(২) কাপড় তৃতীয়বার ধৌত করার পর যে পানি পড়ে কাপড় হতে তা পাক।
(৩) আর কাপড় তিনবার বালতিতে ধোয়ার পর সে বালতি পাক বলে ধর্তব্য।
(৪) যতটুকু সম্ভব এই এক সা পানি দ্বারা গোসলের চেষ্টা করা। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বেশী পানিও ব্যবহার করা যাবে।