আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
373 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (101 points)
edited by
আসসালামুআলাইকুম,
আমার কিছু প্রশ্ন ছিল-
নামাজ:
(১)বসে নামাজ পড়ার জন্য কি কি ওযর রয়েছে?আর ইচ্ছাকৃতভাবে বিনা ওজরে সুন্নাত বা নফল নামাজ আদায় করা জায়েজ কি? বসে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চাই।
(২)ইচ্ছাকৃতভাবে কাযা নামাজ আদায়ে দেরি করা জায়েজ কি?
(৩)নিজের, নিজের সম্পদ বা নিজের পরিবারের জন্য কোনো ক্ষতির আশংকা থাকলে জামাতে যাওয়া ওয়াজিব থাকে না বলে শুনছি। এটা কি সঠিক।আর সঠিক হলে কি পরিমাণ আশংকা থাকা লাগবে?

ক্ষতিকর প্রাণি ও কীটপতঙ্গ হত্যা সম্পর্কে:
(১) ক্ষতিকর প্রাণি হত্যার কি নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম আছে?থাকলে জানতে ইচ্ছুক।
(২)কোনো বিষধর কীট মারার পর আমার মা কে বলতে শুনেছি যে ওই কীট হতে নাকি কোনো রাসায়নিক পদার্থ বের হয় যা নাকি আরো এরকম কীট কে আকৃষ্ট করে।এটা সঠিক কি না জানি না। তাই এই অজুহাত দেখিয়ে আমার মা ক্ষতিকর কীট হত্যার পর তা আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে ।এটা কি জায়েজ?

পবিত্রতা:
(১)নাপাক কাপড় তিনবার ধৌত করে প্রত্যেকবার নিংড়ালে কাপড় পবিত্র হয়,তাহলে তৃতীয়বার যে পানি ব্যবহার করা হয় তা কি পাক ? কারন সে পানি থেকে উঠানোর পর তো কাপড় কে পাক বিবেচনা করছি।
(২)কাপড় তৃতীয়বার ধৌত করার পর যে পানি পড়ে কাপড় হতে তা কি নাপাক?
(৩)আর কাপড় তিনবার বালতিতে ধোয়ার পর সে বালতি কি নাপাক ধরে নিব ??আর নাপাক বালতি পাক করার নিয়ম কি
(৪)আমি জানতে পেরেছি যে এক সা' পানি দিয়ে ফরজ গোসল করা সুন্নাত। কিন্তু এক সা' পানি তো ২.৫ লিটার আনুমানিক অনেক চেষ্টা করেও এত অল্প পরিমান পানি দিয়ে গোসল করতে পারিনি।এটার ফিকহি দৃষ্টিকোণ হতে সমাধান আছে কি?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাজ:
(১) দাড়িয়ে নামায পড়ার সামর্থ্য থাকাবস্থায় বসে ফরয নামায পড়লে তা আদায় হবে না। এবং এভাবে পড়া জায়েযও হবে না। তবে বিনা উজরে বসে সুন্নত বা নফল নামায পড়ার অুনমোদন রয়েছে। বসে ইশারা করে সামান্য ঝুকে রুকু করা হবে। এবং সম্ভব হলে সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী সিজদা করা হবে। এবং সিজদা করা সম্ভব না হলে ইশারার মাধ্যমে সিজদা করা হবে। 
(২) ইচ্ছাকৃত কাযা নামায আদায়ে দেড়ী করা কখনো জায়েয হবে না। 
(৩) নিজ সম্পদে ১০ দিরহাম তথা প্রায় ৩/৪হাজার টাকার ক্ষতি হওয়ার আশংকা থাকলে তখন জামাতে শরীক না হওয়ার রুখসত থাকবে। 

ক্ষতিকর প্রাণি ও কীটপতঙ্গ হত্যা সম্পর্কে:
(১)কষ্টকর প্রাণীদেরকে উত্তমভাবে হত্যা করতে হবে। তাকে কষ্ট দিয়ে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে কিংবা পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করা কখনো জায়েয হবে না। 
যেমন হাদীস শরীফে এসেছে-
أن النبي صلى الله عليه وسلم قال: إِنَّ النَّارَ لاَ يُعَذِّبُ بِهَا إِلاَّ اللَّهُ. 
"রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আগুন দ্বারা আল্লাহ তাআলা ছাড়া অন্য কেউ শাস্তি দিতে পারে না৷" (সহীহ বুখারী: ৩০১৬)

وَرَأَى النبي صلى الله عليه وسلم قَرْيَةَ نَمْلٍ قَدْ حرقها بعض الصحابة بالنار فقال: إِنَّهُ لَا يَنْبَغِي أَنْ يُعَذِّبَ بِالنَّارِ إِلَّا رَبُّ النَّارِ. 
"রাসূলুল্লাহ সা, দেখলেন জনৈক সাহাবী পিঁপড়ার বাসা আগুন দ্বারা জ্বালিয়ে দিয়েছেন৷ তখন রাসূল সা, বললেন, আগুনের প্রতিপালক ছাড়া আগুন দ্বারা অন্য কেউ শাস্তি দিতে পারে না৷" (সুনানে আবু দাউদ: ২৬৭৫)

(২) হয়তো সেটা বিশেষ কোনো কীট সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা থাকতে পারে, তাই এ সম্পর্কে আপনি কোনো প্রাণী বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন। তবে সাধারণ নিয়ম হল যে, এভাবে প্রাণী কে জ্বালানো নিষেধ। 


পবিত্রতা:
(১) সে পানি পাক নয়, বরং ঐ পানি থেকে উঠানোর পরই মূলত কাপড় পাক হয়, তবে পানি নাপাক থেকে যায়, বা তাতে নাপাকির সম্ভাবনা থাকে।
(২) কাপড় তৃতীয়বার ধৌত করার পর যে পানি পড়ে কাপড় হতে তা পাক। 
(৩) আর কাপড় তিনবার বালতিতে ধোয়ার পর সে বালতি পাক বলে ধর্তব্য। 
(৪) যতটুকু সম্ভব এই এক সা পানি দ্বারা গোসলের চেষ্টা করা। যদি সম্ভব না হয়, তাহলে বেশী পানিও ব্যবহার করা যাবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 168 views
...