আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
203 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম।  আমার বোনের ২১ বছর বয়স, ৩ বছরের  একটা বাচ্চা আছে।  সে বাচ্চা হওয়ার আগে হিদায়া পর্যন্ত পড়েছিল। বাচ্চা হওয়াতে পড়ালেখা বন্ধ ছিল। এখন আবার পড়াশোনা শুরু করেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে সে আবার গর্ভধারণ করেছে। তার স্বামী খুবই ব্যস্ত উনার পড়াশোনা নিয়ে। বোন একদম একা হাতে প্রথম বাচ্চা সামলিয়েছে। প্রথম বাচ্চা নরমালে হওয়ার সময় তার শারীরিক  অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়, অসুস্থ শরীরে একা একা বাচ্চা সামলাতে গিয়ে তার মানসিক  অবস্থাও খারাপ হয়ে যায় যার কারণে স্বামীর সাথে তার সম্পর্কের অবনতি হয়ে যায়। এখন এই অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ এ সে খুবই হতাশ! একদিকে তার পড়াশোনা শেষ করার স্বপ্ন,  অন্যদিকে আগের বাচ্চা হওয়ার সময়ের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা,  স্বামীর সাথে আগের মত সম্পর্ক অবনতির ভয়। স্বামী বলেছে তার পড়াশোনার জন্য আগামী দুই বছর ফিনানশিয়ালি সাপোর্ট ছাড়া অন্য কোন সাপোর্ট দেয়া তার পক্ষে সম্ভব না।।কিন্তু একা সে দুইটা বাচ্চা কিভাবে মেইনটেইন করবে! অন্য এক জায়গায় মাসআলা জানতে চেয়েছে, সেখানে বলেছে বাচ্চার হার্টবিট না আসলে ঔষধ খেতে পারে। এটা নাকি জায়েজ।  কথাটা কতটুকু নির্ভরযোগ্য জানি না।  তাই এখানে জিজ্ঞেস করতে চাচ্ছি।

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং এ্যাবর্শন(গর্ভপাত) সাধারণত চার ধরণের হয়ে থাকে।যথাঃ-
(১)(চিরস্থায়ী)জন্মনিরোধ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ-এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে চিরস্থায়ীভাবে সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়।
(২)(অস্থায়ী)জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ
অর্থাৎ এমন কোনো পদ্ধতি গ্রহণ করা যার ফলশ্রুতিতে সন্তান জন্মানোর ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকা সত্বেও বর্তমানে নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর সন্তান জন্ম নিবে না।
(৩)চারমাস পূর্বে গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তান চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।
(৪)চারমাস পর গর্ভপাতঃ
অর্থাৎ-গর্ভাশয়ে সৃষ্ট সন্তানকে চারমাস অতিবাহিত হওয়ার পর ঔষধের মাধ্যমে বিনষ্ট করে দেয়া।

তৃতীয় পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম।
বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/446

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি যে কারণ উল্লেখ করেছেন, সেই কারণে আপনি ৪ মাসের পূর্বে গর্ভপাত করতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা হবে না। তবে আপনি ৪ মাসের পর আর গর্ভপাত করতে পারবেন না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...