ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যালিমের উপর যুলুমের দরুণ বদদোয়া হাদীসে এসেছে, যেমন
ﻭﻋﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﺯﻳﺪ ﻋﻦ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻳْﺪٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥّ ﺃﺭﻭﻯ ( ﺍﺳﻢ ﺍﻣﺮﺃﺓ ) ﺧﺎﺻﻤﺘْﻪ ﻓﻲ ﺑﻌْﺾ ﺩﺍﺭﻩ ، ﻓﻘﺎﻝ : ﺩﻋﻮﻫﺎ ﻭﺇﻳّﺎﻫﺎ ، ﻓﺈﻧّﻲ ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ : ( ﻣﻦ ﺃﺧﺬ ﺷﺒْﺮًﺍ ﻣﻦ ﺍﻷﺭﺽ ﺑﻐﻴْﺮ ﺣﻘّﻪ ﻃﻮّﻗﻪ ﻓﻲ ﺳﺒﻊ ﺃﺭﺿﻴﻦ ﻳﻮْﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ) ، ﺍﻟﻠﻬﻢّ ﺇﻥ ﻛﺎﻧﺖ ﻛﺎﺫﺑﺔً ﻓﺄﻋﻢ ﺑﺼﺮﻫﺎ , ﻭﺍﺟﻌﻞْ ﻗﺒﺮﻫﺎ ﻓﻲ ﺩﺍﺭﻫﺎ ، ﻗﺎﻝ : ﻓﺮﺃﻳﺘﻬﺎ ﻋﻤﻴﺎﺀ ﺗﻠﺘﻤﺲ ﺍﻟﺠﺪﺭ ، ﺗﻘﻮﻝ : ﺃﺻﺎﺑﺘﻨﻲ ﺩﻋﻮﺓ ﺳﻌﻴﺪ ﺑﻦ ﺯﻳﺪٍ ، ﻓﺒﻴﻨﻤﺎ ﻫﻲ ﺗﻤﺸﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺪّﺍﺭ ، ﻣﺮّﺕ ﻋﻠﻰ ﺑﺌﺮٍ ﻓﻲ ﺍﻟﺪّﺍﺭ ﻓﻮﻗﻌﺖْ ﻓﻴﻬﺎ ﻓﻜﺎﻧﺖ ﻗﺒْﺮﻫﺎ . ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ( 1610 ) .
হযরত সাঈদ ইবনে যায়েদ রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃযে আরওয়া নামী এক মহিলা একটি ঘর সম্পর্কে উনার সাথে অন্যায়ভাবে তর্কে উপস্থিত হল,তিনি উপস্থিত জনতাকে উদ্দেশ্য করে বললেনঃতাকে এবং তার দাবীকৃত ঘরকে ছেড়ে দাও, কেননা আমি নবী কারীম সাঃকে বলতে শুনেছি,যে যে ব্যক্তি এক বিঘত পরিমান জমি যুলুম করে নিবে,ক্বিয়ামতের দিন সাত জমিন তার গলায় বেড়ি বানিয়ে পড়িয়ে দেয়া হবে।অতঃপর তিনি বললেনঃহে আল্লাহ যদি সে মিথ্যুক হয় তাহলে তাকে অন্ধ করে দিন,এবং তার ক্ববরকে তার ঘরের পাশে রাখুন।রাবী বলেনঃআমি পরবর্তিতে উক্ত মহিলাকে অন্ধ অবস্থায় দেয়াল খুজতে দেখেছি,এবং সে প্রায় বলত সাঈদ ইবনে যায়েদের বদদোয়া আমার উপর লেগে গেছে,এরই মধ্যে সে হঠাৎ ঘরের অতি নিকটের একটি কুপে পড়ে মায় যায়,এবং তথায় তার ক্ববর হয়।
কারো নিকট বান্দার হক পাওন থাকলে,প্রথমে উক্ত হক পরিশোধের জন্য সাধ্যমত চেষ্টা করতে হবে।সাধ্যমত চেষ্টা করার পরও যদি সেই হককে আদায় করা সম্ভব না হয়, তাহলে উক্ত প্রাপ্য হক্বকে সেই ব্যক্তির পক্ষ থেকে সদকাহ করে দিবে।এবং আল্লাহ তা'আলার নিকট খালিছ নিয়তে তাওবাহ করবে। আল্লাহ তা'আলা কারো প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে গেলে নিজ পক্ষ্য থেকে বান্দার হককে আদায় করে দিবেন।
যেমন হযরত আবু-সাঈদ খুদরী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,তিনি বলেন,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, বনি ইসরাঈল গোত্রে একজন ব্যক্তি ছিল,যে নিরানব্বই জনকে হত্যা করেছিল।অতঃপর যখন হেদায়তের নিকটবর্তী হল,তখন সে একজন পাদ্রীর নিকট এসে জিজ্ঞেস করল তার তাওবাহ কি কবুল হবে?ঐ পাদ্রী উত্তরে বলল,না, তোমার তাওবাহ কবুল হবে না। তখন সে ঐ পাদ্রীকেও হত্যা করে ফেলল।অতঃপর সে তার তাওবাহর কবুল হওয়া না হওয়া সম্পর্কে লোকদেরকে জিজ্ঞেস করতে লাগল।তখন এক ব্যক্তি তাকে বলল, তুমি অমুক গ্রামে যাও সেখানে হয়তো কোনো সমাধান পেতে পারেন। সে ঐ গ্রামের দিকেই যেতে লাগল,তার বুক সেই গ্রামের দিকে থাকাবস্থায় রাস্তায় মধ্যখানে সে মূত্যুমূখে পতিত হল।সে সময় জান কবজের ব্যাপারে রহমতের ফিরিস্তা এবং আযাবের ফিরিস্তিাদের মধ্য ঝগড়া বেধে গেলো।তখনই আল্লাহ তা'আলা তার উদ্দিষ্ট ঐ গ্রামকে নিকটবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন।এবং ছেড়ে আসা গ্রামকে দূরবর্তী হওয়ার নির্দেশ প্রদাণ করলেন। তারপর আল্লাহ তা'আলা ফিরিস্তাদেরকে জায়গা পরিমাপন করার নির্দেশ দিলেন।জায়গা পরিমাপণ করে দেখা গেল যে, উদ্দিষ্ট গ্রাম ছেড়ে আসা গ্রাম থেকে অর্ধহাত কম।অতঃপর সেই ব্যক্তিকে মাফ করে দেয়া হল।(এবং রহমতের ফিরিস্তা তার জান কবয করল)
(মিশকাত-২৩২৭)
দেখুন, আল্লাহ সন্তুষ্ট হয়ে গেলে বান্দার হক পর্যন্ত মাফ করে দিতে পারেন।কেননা যাকে হত্যা করা হয়েছে তার বেঁচে থাকার হক্বকে ধংস করা হয়েছিলো।সুতরাং এটাও একটা বান্দার হক।
কিন্তু এর পরও আল্লাহ তা'আলা মাফ করে দিয়েছেন।এবং হক নষ্ট হয়ে যাওয়া উক্ত বান্দাদিগকে এমন পুরুস্কার দান করবেন যে, তারা আর তাদের হক সম্পর্কে কোনো প্রকার অভিযোগ দায়ের করবে না।বান্দার হক সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/1012
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যার কাছ থেকে জুলুম করে কিছু নেয়া হবে, হয়তো সে দুনিয়াতে এর প্রতিদান পাবে, নয়তো সে আখেরাতে এর প্রতিদান পাবে।