ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) নামাযের শেষ বৈঠকে কেউ না বসে দাড়িয়ে গেলে তখন ঐ ব্যক্তি আবার বসে যাবে, এবং তাশাহুদ দুরুদ ইত্যাদি পড়ে তারপর শেষে সাহু সিজদা দিয়ে নামাযকে সমাপ্ত করবে। তাকবীর বলার কোনো প্রয়োজন নাই। হ্যা ইমাম হলে সবাইকে অবগত করার জন্য তাকবীর বলা যেতে পারে। তবে জরুরী নয়।
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
তাহিয়্যাতুল ওজু এবং তাহিয়্যাতুল মসজিদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নামায।এই নামাযদ্বয়কে পড়া আমাদের সবারই দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
ওজু করার পর ওজুর পানি শুকানোর পূর্বেই তাহিয়্যাতুল ওজুকে পড়তে হবে।আর তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামাযকে মসজিদে প্রবেশ করার পর বসার আগেই পড়ে নেয়া উচিৎ।তবে বসার পরও পড়া যাবে।কেউ যদি দিনে কয়েকবার মসজিদে প্রবেশ করে তাহলে সারা দিনে একবার, হয়তো প্রথমবার না হয় শেষবার তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়া সুন্নাতে মু'আক্কাদাহ(আহসানুল ফাতাওয়া-৩/৪৮৩)
ঠিক তেমনি ওজুর বিষয়টাও।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
তিন সময়ে ফরয-নফল তথা সকল প্রকার নামায পড়া মাকরুহে তাহরিমী।
(১)সূর্যোদয়ের সময়(২)সূর্যাস্তের সময় (৩)সূর্য ঠিক মধ্যখানে অবস্থানের সময়।
আর পাঁচ সময়ে শুধুমাত্র নফল নামায পড়া মাকরুহ।
উপরোক্ত তিন সময়।(৪)সুবহে সাদিকের পর থেকে নিয়ে সূর্যোদয় পর্যন্ত।অর্থাৎ ফজরের নামাযের আগে ও পরে (৫)আছরের নামাযের পরে।(শেষোক্ত দুই সময়ে ফরয নামায পড়া মাকরুহ নয়)
সুতরাং এই পাঁচ সময়ে যেকোনো প্রকার নফল নামায,চায় তাহিয়্যাতুল ওজু হোক বা তাহিয়্যাতুল মসজিদ হোক, সবই মাকরুহ।প্রথম তিন প্রকারে মাকরুহে তাহরিমীর বিধান রয়েছে।আর শেষ দুই প্রকারে প্রকাশ্যে কোথাও পাইনি।তবে যতটুকু সম্ভব মনে হচ্ছে, মাকরুহে তানযিহি-ই হবে।(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
সুতরাং
বাসায় ফজরের সুন্নত পড়ার পর মসজিদে গিয়ে যদি দেখা যায় যে, এখনও হাতে সময় আছে তাহলে এমতাবস্থায় তাহিয়্যাতুল অজু বা মসজিদ পড়া যাবে না। হ্যা উমুরী কাযার নামায পড়া যাবে।