ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ার "যিয়ারতে ক্বুবুর" অধ্যায়ের কিছু আরবী ইবারত নিম্নে উল্লেখ করছি------
আশাকরি এই আলোচনা থেকে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত উত্তর পেয়ে যাবেন।
وَإِذَا أَرَادَ زِيَارَةَ الْقُبُورِ يُسْتَحَبُّ لَهُ أَنْ يُصَلِّيَ فِي بَيْتِهِ رَكْعَتَيْنِ يَقْرَأُ فِي كُلِّ رَكْعَةٍ الْفَاتِحَةَ وَآيَةَ الْكُرْسِيِّ مَرَّةً وَاحِدَةً وَالْإِخْلَاصَ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَيَجْعَلُ ثَوَابَهَا لِلْمَيِّتِ يَبْعَثُ اللَّهُ تَعَالَى إلَى الْمَيِّتِ فِي قَبْرِهِ نُورًا وَيَكْتُبُ لِلْمُصَلِّي ثَوَابًا كَثِيرًا ثُمَّ لَا يَشْتَغِلُ بِمَا لَا يَعْنِيهِ فِي الطَّرِيقِ فَإِذَا بَلَغَ الْمَقْبَرَةَ يَخْلَعُ نَعْلَيْهِ ثُمَّ يَقِفُ مُسْتَدْبِرَ الْقِبْلَةِ مُسْتَقْبِلًا لِوَجْهِ الْمَيِّتِ وَيَقُولُ السَّلَامُ عَلَيْكُمْ يَا أَهْلَ الْقُبُورِ وَيَغْفِرُ اللَّهُ لَنَا وَلَكُمْ أَنْتُمْ لَنَا سَلَفٌ وَنَحْنُ بِالْأَثَرِ كَذَا فِي الْغَرَائِبِ.وَإِذَا أَرَادَ الدُّعَاءَ يَقُومُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ كَذَا فِي خِزَانَةِ الْفَتَاوَى.وَإِنْ كَانَ شَهِيدًا يَقُولُ سَلَامٌ عَلَيْكُمْ بِمَا صَبَرْتُمْ فَنِعْمَ عُقْبَى الدَّارِ.
যখন কেউ কবর যিয়ারতের নিয়ত করবে,তখন তার জন্য মুস্তাহাব হল,সে যেন ঘরে দুই রা'কাত নামায পড়ে,এবং প্রত্যেক রা'কাতে যেন সে সূরা ফাতেহা ও একবার আয়াতুল কুরসি,এবং তিনবার সুরা ইখলাছ পড়ে।এবং এর সওয়াব যেন সে মৃত ব্যক্তির জন্য প্রেরণ করে দেয়।আল্লাহ তা'আলা উক্ত তিলাওয়াতের সওয়াবকে উক্ত ব্যক্তির কবরে নুর হিসেবে পাঠিয়ে দেবেন।এবং মুসাল্লি র জন্যও আল্লাহ অনেক সওয়াব লিখে রাখবেন।অতঃপর উক্ত মুসল্লি কবরস্থানে যাওয়ার রাস্তায় যেন কোনো অনর্থক কাজে মশগুল না হয়।যখন সে কবরস্থানে পৌছবে তখন পায়ের জুতা খুলে ফেলবে।অতঃপর সে কিবলার দিকে পিঠ ফিরিয়ে এবং মৃতব্যক্তির দিকে আপন চেহারাকে নিবিষ্ট করে দাড়াবে।এবং বলবে......
"আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর, ওয়া ইয়াগফিরাল্লাহু লানা ওয়া লাকুম,আনতুম লানা সালাফুন ওয়া নাহনু বিল আসারি "(গারাঈব)
(অন্যন্য কিভাবে এভাবে বর্ণিত রয়েছে,
আস্সালামু আলাইকুম ইয়া আহলাল মিনাল মুসলিমী-না ওয়াল মুসলিমা-ত,আনতুম লানা সালাফুন ওয়া নাহনু লাকুক তাবায়ুন ওয়া ইন্না ইনশা আল্লাহু বিকুম লাহিকুন"
এবং যখন দু'আর সময় হবে তখন কিবলার দিকে মুখ ফিরিয়ে দাড়াবে।(খাযানাতুল ফাতাওয়া)
কবরের শায়িত ব্যক্তি শহীদ হলে বলবে,
' সালামুন আলাইকুম বিমা সাবারতুম ফানি'মা উক্ববাদ্দার ' (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
يَقْتَضِي الْجَوَازَ لِلنِّسَاءِ أَيْضًا لِأَنَّهُ لَمْ يَخُصَّ الرِّجَالَ وَفِي الْأَشْرِبَةِ وَاخْتَلَفَ الْمَشَايِخُ رَحِمَهُمْ اللَّهُ تَعَالَى فِي زِيَارَةِ الْقُبُورِ لِلنِّسَاءِ قَالَ شَمْسُ الْأَئِمَّةِ السَّرَخْسِيُّ - رَحِمَهُ اللَّهُ تَعَالَى - الْأَصَحُّ أَنَّهُ لَا بَأْسَ بِهَا وَفِي التَّهْذِيبِ يُسْتَحَبُّ زِيَارَةُ الْقُبُورِ
কবর যিয়ারতের বিধানের ব্যপকতার মধ্যে পুরুষ মহিলা সবাই শামিল।কেননা শুধুমাত্র পুরুষের সাথে নির্দিষ্ট হওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।মাশায়েখগণ মহিলাদের কবর যিয়ারত নিয়ে মতবেদ করেন।সারাখসী রাহ,মনে করেন,বিশুদ্ধ কথা হল,এতে কোনো সমস্যা নেই।তাহযিব কিতাবে বর্ণিত রয়েছে,তাদের জন্য কবর যিয়ারত মুস্তাহাব।
কিন্ত যামানার ফিৎনার ধরুণ মহিলাদের জন্য কবর যিয়ারতে না যাওয়াই উত্তম। (ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যা-৯/১৯২)বিস্তারিত অালোচনা (কিতাবুল ফাতাওয়া-৩/২২৮)
যদি কোনো পুরুষ দাফন কাফন করার জন্য না থাকে, তাহলে মহিলারা সবকিছুই করতে পারবে। নতুবা ফিতনার আশংকা থাকার দরুণ মহিলারা কবরস্থানে যেতে পারবে না।