আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
192 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (27 points)
একটা মেয়ে তার এমনিতেই আগের থেকে এমন ইচ্ছা ছিল যে সে বিয়ের পর স্বামী সন্তান নিয়ে আলাদা বাসায় থাকবে।

এরপর শশুর বাড়ির সবাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো থাকা সত্বেও তাদের নিয়ে তার বেশ কিছু অভিযোগ ও ছিল, চাইলেই নিজের ইচ্ছেমতন অনেক কিছু করা যেত না, আর কিছু কারণে তার সন্দেহ ছিল যে তারা হয়ত তাকে জাদুটোনা করেছে বা করতে পারে,মেয়েটির শশুর শাশুড়ি এখনো খুব বেশি বয়সি না,আর তাদের দেখার জন্য পাশেই খুব নিকটাত্মীয়র বাসা আছে,আর মেয়েটির স্বামীর খুব ভালোভাবেই সামর্থ্য আছে আলাদাভাবে তার বাবা মার জন্য কাজের লোক রাখার, সব আলাদাভাবে করার,এই মেয়েটি একসময় তার শশুরবাড়ি ছিল, তখন তার শশুরবাড়ির জীবন কিছু দিক থেকে বেশ কষ্টকর ছিল,এখন এই  মেয়ে তার স্বামীর কর্মস্হলে আলাদাভাবে স্বামীর সাথে থাকে আর সবসময় স্বামী সন্তান নিয়ে আলাদাভাবে থাকতে চায় কিন্তু স্বামী বা শশুরবাড়ির কারোর উপরেই কোনো জুলুম করতে চায় না।


১.এখন এই মেয়ে যদি এইভাবে দুআ করে যে "হে আল্লাহ, আমার শশুরবাড়ি থাকা যদি আমার জন্য কল্যাণকর না হয়,তাহলে যেন কখনোই আমাকে শশুরবাড়ি থাকতে না হয়"

এভাবে দুআ করা কি জায়েজ হবে?


২.মেয়েটি যদি এভাবে দুআ করে "আল্লাহ,আমি যেন সবসময় আমার স্বামী, সন্তান নিয়ে নিজের পছন্দ মত  বাসায় থাকতে পারি,যেখানে শুধু আমি, আমার স্বামী, সন্তান থাকবে আর আমি সব আমার পছন্দ মত করতে পারব,এইটাই যেন আমার জন্য কল্যাণকর হয়,আর আমি যেন দূরে থেকেই আমার শশুরবাড়ির উপর দায়িত্ব পালন করতে পারি, আর তাদের উপর যেন কোনো জুলুম না করি"

এভাবে দুআ করা কি জায়েজ হবে?


৩.শশুরবাড়ির মানুষের কালোজাদু, সম্পর্ক নষ্টের জাদু থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কি কি করা যেতে পারে?

1 Answer

0 votes
by (574,110 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


স্বামীর জন্য জরুরি হলো স্ত্রীর অধিকার রক্ষা করা,তার সাথে সদব্যবহার করা।

নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন

ألا واستوصوا بالنساء خيرا، فإنما هن عوان عندكم ليس تملكون منهن شيئا غير ذلك

শোন হে! তোমরা আমার পক্ষ হতে নারীদের প্রতি সদাচরণের উপদেশ গ্রহণ কর। তারা তো তোমাদের কাছে আটকে আছে। তোমরা তাদের কাছ থেকে এছাড়া আর কিছুর অধিকার রাখো না। (জামে তিরমিযী, হাদীস: ১০৮৩

স্ত্রী জন্য জরুরি হলো স্বামীর অধিকার রক্ষা করা।

وَعَنْ أَنَسٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «الْمَرْأَةُ إِذَا صَلَّتْ خَمْسَهَا وَصَامَتْ شَهْرَهَا وَأَحْصَنَتْ فَرْجَهَا وَأَطَاعَتْ بَعْلَهَا فَلْتَدْخُلْ مِنْ أَىِّ أَبْوَابِ الْجَنَّةِ شَاءَتْ»

আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত সলাত আদায় করে, রমাযানের সিয়াম পালন করে, গুপ্তাঙ্গের হিফাযাত করে, স্বামীর একান্ত অনুগত হয়। তার জন্য জান্নাতের যে কোনো দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশের সুযোগ থাকবে।
(মিশকাতুল মাসাবিহ ৩২৫৪)

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ ابْنِ عَجْلَانَ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قِيلَ لِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيُّ النِّسَاءِ خَيْرٌ قَالَ الَّتِي تَسُرُّهُ إِذَا نَظَرَ وَتُطِيعُهُ إِذَا أَمَرَ وَلَا تُخَالِفُهُ فِي نَفْسِهَا وَمَالِهَا بِمَا يَكْرَهُ 

কুতায়বা (রহঃ) ... আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলো, কোন মহিলা উত্তম? তিনি বললেনঃ যে মহিলার প্রতি দৃষ্টিপাত স্বামীকে সন্তুষ্ট করে। সে আদেশ করলে তা সম্পন্ন করে, এবং তার বাড়ীর ও তার মালের ব্যাপারে যা অপছন্দ করে, সে তার বিরোধিতা করে।

তাহক্বীকঃ হাসান। মিশকাত ৩২৭২, সহীহাহ ১৮৩৮।

★ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

আরো জানুনঃ 
,
(০১)
হ্যাঁ এইভাবে দোয়া করা জায়েজ আছে।
,
(০২)
হ্যাঁ এইভাবে দোয়া করা জায়েজ আছে।

(০৩)
সবচেয়ে নিরাপদ এবং গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হলো,

জীবনের স্বাভাবিক চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলে অতি তারাতারি কোনো বিজ্ঞ  মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়া।

*জাদুর ক্রিয়া/প্রভাব নষ্ট করার জন্য সুরা নাস এবং সুরা ফালাক বেশী বেশী করে পড়তে হবে।

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...