জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো কুরআনের তরজমা, তাফসীর
পড়া বা তা শোনার দ্বারা সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হয়না।
সুরা ইউসুফ এর ০২ নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন
إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ قُرْآنًا عَرَبِيًّا لَعَلَّكُمْ تَعْقِلُونَ
অনুবাদঃ আমি আরবী ভাষায় কুরআন নাজিল করেছি,যাতে করে তোমরা বুঝতে পারো।
সুতরাং আরবী যবান ব্যাতিত অন্য যবানে কুরআন পড়া হলে সেটাকে কুরআনের তরজমা বা তাফসির বলা হবে,কুরআন বলা হবেনা।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عن ابن عمرؓ قال انما السجدۃ علی من سمعہا۔(المصنف لابن
ابي شیبہ ۳؍۳۹۰ رقم : ۴۲۵۲)
হযরত ইবনে ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, নিশ্চয়ই সেজদাহ ঐ ব্যাক্তির উপর ওয়াজিব হবে যে উহা শুনেছে।
,
رد المحتار" 5 / 429:
باب سجود التلاوة من إضافة الحكم إلى سببه ( يجب ) بسبب ( تلاوة آية ) أي أكثرها مع حرف السجدة۔۔۔ ( بشرط سماعها ) فالسبب التلاوة وإن لم يوجد السماع ، كتلاوة الأصم والسماع شرط في حق غير التالي ولو بالفارسية إذا أخبر ( أو ) بشرط ( الائتمام ) أي الاقتداء ( بمن تلاها ) فإنه سبب لوجوبها أيضا ، إن لم يسمعها ولم يحضرها للمتابعة۔
সারমর্মঃ সেজদায়ে তেলাওয়াত ওয়াজিব হওয়ার জন্য শর্ত হলো তাহা তিলাওয়াত করা,,।
,
কুরআনের আয়াতের অর্থ পড়লে তিলাওয়াতে সিজদা ওয়াজিব হবে না। (কিতাবুল ফাতওয়া-২/৪৪৯)
বিস্তারিত জানুনঃ
,
★সুতরাং কেহ যদি সিজদার আয়াতের শুধু বাংলা অনুবাদ পড়ে,তাহলে তার উপর সিজদাহ ওয়াজিব হবেনা।
,
(০২)
হ্যাঁ, শরীরের কোনো অঙ্গ বের না হলে সালাত আদায় হয়ে যাবে।
,
(০৩)
না এটি আবশ্যক নয়।
পায়ের পাতা খোলা রাখতে পারবে।
নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো সতর ঢেকে রাখা। নামাজে পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ। নারীদের মুখমণ্ডল, দুই হাত কবজি পর্যন্ত ও টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া সব অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ।
,
(০৪)
এক্ষেত্রে বেশি সমস্যা হলে এভাবে কথারা যাবে যে যখনই তারা সম্মুখে আসবে,তখনই মুখ ঢাকবে,তারা সামনে থেকে চলে গেলে মুখ বের করবে।