আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
792 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম, বিপদ আপদ কাটানোর জন্য দান করবার কথা হাদিসে এসেছে। তো এর পরিমাণ কতটুকু বা কীভাবে কোন ক্ষেত্রে দান করতে হবে সে সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছিলাম। আর এটা মানতের অন্তর্ভুক্ত হবে কী? আর দান করতে চাইলে টাকা দিলে ভাল হবে না গরীবদের খাওয়ানো ভাল হবে এতিমখানা অথবা মাদ্রাসা। বা এমন জায়গায় দান।উল্লেখ্য পরিস্থিতি এমন যে পরিবারের উপর কারো না কারো উপর বিপদ লেগেই আছে।  এই বিপদ থেকে উত্তরণের জন্য সদকাহ করতে চাইলে কেউ, কীভাবে করবে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ مُكْرَمٍ الْعَمِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عِيسَى الْخَزَّازُ الْبَصْرِيُّ، عَنْ يُونُسَ بْنِ عُبَيْدٍ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الصَّدَقَةَ لَتُطْفِئُ غَضَبَ الرَّبِّ وَتَدْفَعُ مِيتَةَ السُّوءِ "

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দান-খাইরাত আল্লাহ তা'আলার অসন্তুষ্টি কমিয়ে দেয় এবং অপমানজনক মৃত্যু রোধ করে।
(তিরমিজি ৬৬৪)

★★এক্ষেত্রে সামান্য বস্তুও দান খয়রাত করা যাবে।
সকলেই নিজ নিজ সাধ্য মোতাবেক দান করবে।
এখানে নির্দিষ্ট কোনো অংক নেই,যে এতো পরিমান দান করতেই হবে।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ بُجَيْدٍ، عَنْ جَدَّتِهِ أُمِّ بُجَيْدٍ، - وَكَانَتْ مِمَّنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - أَنَّهَا قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الْمِسْكِينَ لَيَقُومُ عَلَى بَابِي فَمَا أَجِدُ لَهُ شَيْئًا أُعْطِيهِ إِيَّاهُ . فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنْ لَمْ تَجِدِي شَيْئًا تُعْطِينَهُ إِيَّاهُ إِلاَّ ظِلْفًا مُحْرَقًا فَادْفَعِيهِ إِلَيْهِ فِي يَدِهِ "

আবদুর রাহমান ইবনু বুজাইদ (রাহঃ) হতে তার দাদী উম্মু বুজাইদ (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকটে যে সকল মহিলা বাইআ’ত গ্রহণ করেছিলেন তিনিও তাদের অন্তর্ভুক্ত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, ভিক্ষুক এসে আমার দরজায় দাড়ায়, অথচ আমার হাতে তাকে দেওয়ার মত কিছুই থাকে না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ যদি তুমি (পশুর পায়ের) একটি ক্ষুর (খুবই সামান্য জিনিস) ছাড়া তাকে দেওয়ার মত আর কিছু না পাও তবে তাই তার হাতে তুলে দাও। — সহীহ তা’লীকুর রাগীব (২/২৯), সহীহ আবু দাউদ (১৪৬৭) তিরমিজি ৬৬৫)

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ يَسَارٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا تَصَدَّقَ أَحَدٌ بِصَدَقَةٍ مِنْ طَيِّبٍ وَلاَ يَقْبَلُ اللَّهُ إِلاَّ الطَّيِّبَ إِلاَّ أَخَذَهَا الرَّحْمَنُ بِيَمِينِهِ وَإِنْ كَانَتْ تَمْرَةً تَرْبُو فِي كَفِّ الرَّحْمَنِ حَتَّى تَكُونَ أَعْظَمَ مِنَ الْجَبَلِ كَمَا يُرَبِّي أَحَدُكُمْ فَلُوَّهُ أَوْ فَصِيلَهُ " . 

সাঈদ ইবনু ইয়াসার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি আবু হুরাইরা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে লোক বৈধ উপার্জন হতে দান খায়রাত করে, আর আল্লাহ তাআ’লা হালাল ও পবিত্র মাল ছাড়া গ্রহণ করেন না, সেই দান দয়াময় রাহমান স্বয়ং ডান হাতে গ্রহণ করেন, তা যদি সামান্য একটি খেজুর হয় তাহলেও। এটা দয়াময় রাহমানের হাতে বাড়তে বাড়তে পাহাড় হতেও বড় হয়ে যায়; যেভাবে তোমাদের কেউ তার দুধ ছাড়ানো গাভী বা ঘোড়ার বাচ্চাকে লালন পালন করে থাকে।

সহীহ, জিলালুল জুন্নাহ (৬২৩), তা’লীকুর রাগীব, ইরওয়া (৮৮৬), বুখারী, মুসলিম,তিরমিজি ৬৬১)
,
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নিন সাধ্য অনুযায়ী দাম খয়রাত করতে পারে।
দান করতে চাইলে টাকা দেওয়া ভালো,খাবার দেওয়া এটিও ভালো।
,
তবে গরিবদের খাবার খাওয়ানাই বেশি প্রচলিত। 
আপনার ইখতিয়ার রয়েছে, আপনি টাকা দানও করতে  পারেন,নতুবা খাবার খাওয়াতে পারেন।
,
তবে টাকা দিলে উক্ত ব্যাক্তি তার প্রয়োজনীয়  বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবে,তাই এটিকেই অনেকে সাজেষ্ট করে থাকেন।
,
★আপনি যদি মান্নত না করে থাকেন,তাহলে প্রশ্নে উল্লেখিত দান সদকাহ মান্নতের অন্তর্ভুক্ত হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...