আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
532 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
গতকাল গোসল করা শেষে বের হবার সময় গোসল করার মগের হাতার নিম্নাংশে এক দিরহয়াম পরিমান এর অর্ধেক দিরহাম পরিমান নাপাকি লেগে যায়। আমি না ধুয়ে বের হয়ে যাই এবং বললাম পরেরদিন গোসল করার আগে ধুয়ে নিবো। কিন্তু আজ গোসলের সময় আমি মগের হাতায় যেখানে নাপাকি লেগেছিলো তা আমি ধুয়ে পাক করতে *ভুলে যাই*। এবং বালতিতে পানি ভর্তি করে আমি মগটি উপোরক্ত অবস্থায় বালতিতে ডুবিয়ে নেই। এবং গোসল করে ফেলি। গোসল করা শেষে বের হয়ার পর আমার মনে হলো " আমি তো মগের অর্ধেক দিরহাম নাপাকি না ধুয়ে্‌ আবার বালতিতে ওই মগ ডুবিয়ে গোসল করে ফেলেছি''। (আগের দিন যে অর্ধেক পরিমান নাপাকি লেগেছিলো তা শুকিয়ে গেসিলো)।  প্রশণ হলো--এই অবস্থায় গোসল করার কারনে আমার গোসল কি হয়েছে না সম্পূর্ন শরীর যেমন মাথা চুল হাত পা ইত্যাদি নাপাক হয়ে গেছে????????

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


সুরা আনফালের ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

 وَ یُنَزِّلُ عَلَیۡکُمۡ مِّنَ السَّمَآءِ مَآءً لِّیُطَہِّرَکُمۡ بِہٖ
এবং আকাশ থেকে তোমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষণ করেন যাতে এর মাধ্যমে তিনি তোমাদেরকে পবিত্র করেন।

সুরা ফুরকানের ৪৮ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

وَ ہُوَ الَّذِیۡۤ اَرۡسَلَ الرِّیٰحَ بُشۡرًۢا بَیۡنَ یَدَیۡ رَحۡمَتِہٖ ۚ وَ اَنۡزَلۡنَا مِنَ السَّمَآءِ مَآءً طَہُوۡرًا ﴿ۙ۴۸﴾ 
আর তিনিই তাঁর রহমতের বৃষ্টির আগে সুসংবাদবাহীরূপে বায়ু প্রেরণ করেন এবং আমরা আকাশ হতে পবিত্ৰ পানি বর্ষণ করি।

 طهور শব্দটি আরবী ভাষায় অতিশয়ার্থে ব্যবহৃত হয়। কাজেই এমন জিনিসকে طهور বলা হয়, যা নিজেও পবিত্র এবং অপরকেও তদ্দারা পবিত্র করা যায়। 

★★শরীয়তের বিধান মতে নাপাক পানি হলোঃ

এমন প্রবহমান পানি, যাতে নাপাকি পড়ার কারণে পানির রং, ঘ্রাণ বা স্বাদ পরিবর্তন হয়ে গেছে। 

অথবা আবদ্ধ অনেক পানি, যাতে নাপাকি পড়ার কারণে সব দিকের পানির রং, ঘ্রাণ বা স্বাদ বদলে গেছে। 

অথবা আবদ্ধ অল্প পানি, যাতে নাপাকি পতিত হয়েছে। এসব পানি দিয়ে অজু ও গোসল জায়েজ হবে না। কোনো নাপাক বস্তুও পবিত্র করা যাবে না।

বড় পুকুর যার একদিকে পানি নাড়া দিলে অন্যদিকে নড়ে না—এ ধরনের পুকুরের একদিকে নাপাকি পড়লে অন্যদিক দিয়ে পবিত্রতা হাসিল করা জায়েজ। (হিদায়া : ১/৩৬)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ أَبِي شُعَيْبٍ، وَعَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيَّانِ، قَالَا حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ سَلِيطِ بْنِ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ رَافِعٍ الأَنْصَارِيِّ، ثُمَّ الْعَدَوِيِّ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله علي وسلم وَهُوَ يُقَالُ لَهُ إِنَّهُ يُسْتَقَى لَكَ مِنْ بِئْرِ بُضَاعَةَ وَهِيَ بِئْرٌ يُلْقَى فِيهَا لُحُومُ الْكِلَابِ وَالْمَحَايِضُ وَعَذِرُ النَّاسِ . قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الْمَاءَ طَهُورٌ لَا يُنَجِّسُهُ شَىْءٌ "

আবূ সাঈদ আল খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ একদা তাঁকে বলা হয়, আপনার জন্য বুযা‘আহ কুপ থেকে পানি আনা হয়। অথচ তাতে কুকুরের গোশত, হায়িযের নেকড়া ও মানুষের ময়লা আবর্জনা নিক্ষেপ করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিশ্চয় পানি পবিত্র, তাকে কোন কিছু অপবিত্র করতে পারে না।
(আবু দাউদ ৬৭.আহমাদ (৩/৮৬), বায়হাক্বী, ‘সুনানুল কুবরা’ (১/২৫৭), দারাকুতনী (১/৩০)।
,
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
আবদ্ধ  অল্প পানিতে সামান্য নাপাকি পড়লেও সেও পানি নাপাক হয়ে যায়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত মগ বালতিতে প্রবেশ করানোর সাথে সাথে বালতির পুরো পানি নাপাক হয়ে গিয়েছে।
    
তাই আপনার গোসল হয়নি।
পুরো শরীর নাপাক হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় পবিত্র পানি দিয়ে গোসল করতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...