আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
724 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
২ টি প্রশ্ন ছিল।

১। কেউ যদি প্রতিদিন ফরজ গোসলের নিয়তে গোসল করে তাহলে তা জায়েজ হবে কি না?অনেকে মনে করে যে তার পূর্বে কৃত গোসল যদি সহিহ না হয় তাহলে তার নামাজ হবে না তাই সে পরবর্তীতে গোসল করতে চাইলে আবার ফরজ গোসলের নিয়তে গোসল করে।

২। মুবাহ গোসল কি ফরজ গোসলের নিয়মেই আদায় করব এবং এই গোসলের পরে কি ওযু করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (559,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
হ্যাঁ এটি জায়েজ আছে।
নাজায়েজ নয়। 
এতে প্রত্যেক গোসল ভালোভাবে হবে।
,
(০২)
না,মুবাহ গোসল ফরজ গোসলের ন্যায় আদায় করা জরুরি নয়।
কেহ চাইলে ফরজ গোসলের ন্যায় আদায় করতেও পারে,নাও পারে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
তবে এই গোসল দ্বারা অযু সেই সময়েই যথেষ্ট হবে, যদি এই গোসলের ভিতর অযুর সমস্ত অঙ্গ ভালো ভাবে ধোয়া হয়,অযুর ফরজ যদি পূর্ণভাবে আদায় হয়ে যায়,তাহলে এই গোসল দ্বারাই অযু আদায় হয়ে যাবে।
,
গোসলের পর পুনরায় অযু করতে হবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ لاَ يَتَوَضَّأُ بَعْدَ الْغُسْلِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
 قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا قَوْلُ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَالتَّابِعِينَ أَنْ لاَ يَتَوَضَّأَ بَعْدَ الْغُسْلِ .

 'আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করার পর ওযু করতেন না। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৫৭৯)।

আবু ঈসা বলেন, এটি হাসান সহীহ হাদীস। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একাধিক সাহাবা এবং তাবিঈদের এটাই মত যে, গোসলের পর ওযু করার দরকার নেই।

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَغْتَسِلُ وَيُصَلِّي الرَّكْعَتَيْنِ وَصَلَاةَ الْغَدَاةِ وَلَا أُرَاهُ يُحْدِثُ وُضُوءًا بَعْدَ الْغُسْلِ . - صحيح 

 ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গোসল করে দু’ রাক‘আত সলাত আদায় করার পর ফজরের সলাত আদায় করতেন। আমি তাঁকে গোসলের পর পুনরায় অযু করতে দেখিনি।

তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু করা, হাঃ ১০৭, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু না করা, হাঃ ২৫২), ইবনু মাজাহ (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ গোসলের পর উযু করা, হাঃ ৫৭৯), আহমাদ (৬/৬৮, ১১৯, ১৫৪, ১৯২, ২৫৩, ২৫৮) সকলেই আবূ ইসহাক সূত্রে। 
۔

قال ابن نجیمؒ:واتفق العلماء علٰی عدم وجوب الوضوء فی الغسل الاداؤدالظاھری فقال بالوجوب فی غسل الجنابۃ واذ توضاء اولاً لا یاتی بہٖ ثانیاً بعد الغسل فقد اتفق العلماء علٰی مذھبنااوفصل بینھما بصلوٰۃکما ھومذھب الشافعی فیستحب۔(البحرالرائق سنن الغسل:ج؍۱،ص؍۵۰)
সারমর্মঃ
 গোসলের ক্ষেত্রে যে অযু ওয়াজিব নয়,এই বিষয়ে সমস্ত উলামায়ে কেরামগন একমত।  

قال العلامۃ الحصکفیؒ:لو توضأاولاً لایأتی بہ ثانیاًلانہ لایستحب وضوء ان للغسل اتفاقاً امالوتوضاء بعد الغسل واختلف المجلس علٰی مذھبنا اوفصل بینھما بصلوٰۃ کقول الشافعیۃ فیستحبّ۔(الدرالمختارعلٰی صدرردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۱۵۸،سنن الغسل)(فتاویٰ حقانیہ :ج؍۲،ص؍۵۳۱)
সারমর্মঃ
যদি শুরুতে অযু করে,তাহলে আর পরবর্তীতে অযু করতে হবেনা।  

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
উযূর সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানি পৌঁছানোর কারণে যেকোনো গোসল করার পর উযূ করা অত্যাবশ্যক হয় না। এ প্রসঙ্গে আলিমদের মতভেদ নেই।
,
তাই নফল গোসলের ক্ষেত্রে যদি উযূর সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পানি পৌঁছানো হয়,তাহলে আর অযু করতে হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (18 points)
ক্ষমা করবেন কিন্তু শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে ফরজ গোসল করলে অনেক কিছু করতে হবে। যেমন- সালাত একবার পড়ে কেউ যদি শুধুমাত্র সন্দেহের ভিত্তিতে আবার পড়ে সেটা তো জায়েজ হবে না এটা তো রোজা হজ,কুরবানী ইত্যাদির ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য হবে।
আমি সৌদি আরবের দুইজন প্রধান মুফতির ফতোয়া একটি নির্ভরযোগ্য ওয়েবসাইটে পেয়েছি শায়েখগণ বলেছেন যে এক্ষেত্রে ওযু করতেই হবে শুধু ওযুর অঙ্গে পানি গেলে হবে না। কারণ ওযূ করার ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা রক্ষা করা আবশ্যক।
ইংরেজীঃ https://islamqa.info/en/99543
এই বিষয়টি একটু দেখার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করছি সাথে আপনার প্রয়োজনীয় সময় নষ্ট করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...