ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/446 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
তৃতীয় প্রকারের হুকুমঃ
তৃতীয় পদ্ধতি শরীয়ত সম্মত প্রয়োজন ব্যতীত নাজায়েজ ও হারাম।
বিশেষ কিছু কারণে শরীয়ত অনুমোদন প্রদান করে থাকে।
(ক)বর্তমানে কোলে দুধের একটি শিশু রয়েছে,অপরদিকে উক্ত মহিলার গর্ভাশয়ে নতুন সন্তানও উৎপাদিত হচ্ছে। গর্ভের ধরুন দুধ একেবারে শুকিয়ে গেছে। অপরদিকে উক্ত সন্তানকে অন্যকোনো উপায়ে লালনপালন করা যাচ্ছেনা। মায়ের দুধ ব্যতীত অন্যকিছুতে সে মূখই দিচ্ছে না। এমতাবস্থায় চারমাস হয়নি এমন গর্ভকে গর্ভপাত করা বৈধ রয়েছে।
(খ)কোনো মুসলমান বিজ্ঞ ডাক্তার উক্ত গর্ভবতী মহিলাকে পরিদর্শন করে বলে যে,গর্ভপাত না করলে মহিলার জান বা কোনো অঙ্গ বিনাশের আশঙ্কা রয়েছে। (শেষ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু বিনা প্রয়োজনে গর্ভপাত করানো হচ্ছে, এবং ডাক্তার করিয়ে দিচ্ছেন, তাই হারাম কাজে সহায়তার গোনাহ ডাক্তারের হবে।
কুরআনে কারীমে আল্লাহ তা'আলা ঘোষণা দিয়েছেন,
ﻭَﻻَ ﺗَﻌَﺎﻭَﻧُﻮﺍْ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻹِﺛْﻢِ ﻭَﺍﻟْﻌُﺪْﻭَﺍﻥِ ﻭَﺍﺗَّﻘُﻮﺍْ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﺷَﺪِﻳﺪُ ﺍﻟْﻌِﻘَﺎﺏِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।(সূরা-মায়েদা-২)
(২)
১৫ বছরের আগে হোক বা পরে হোক, পিতা মাতার গোনাহের জন্য সন্তানকে জিজ্ঞাসা করা হবে না।
আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺰِﺭُ ﻭَﺍﺯِﺭَﺓٌ ﻭِﺯْﺭَ ﺃُﺧْﺮَﻯ ﻭَﺇِﻥ ﺗَﺪْﻉُ ﻣُﺜْﻘَﻠَﺔٌ ﺇِﻟَﻰ ﺣِﻤْﻠِﻬَﺎ ﻟَﺎ ﻳُﺤْﻤَﻞْ ﻣِﻨْﻪُ ﺷَﻲْﺀٌ ﻭَﻟَﻮْ ﻛَﺎﻥَ ﺫَﺍ ﻗُﺮْﺑَﻰ الخ
কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না। কেউ যদি তার গুরুতর ভার বহন করতে অন্যকে আহবান করে কেউ তা বহন করবে না-যদি সে নিকটবর্তী আত্নীয়ও হয়।
(সূরা ফাতির-১৮)
পিতা মাতার গোনাহের জন্য কাফফারা দেওয়ার কোনা নিয়ম শরীয়তে নাই। হ্যা যদি তাদের রোযার কোনো কাফফারা থাকে, এবং সন্তান ঐ কাফফারাকে আদায় করে থাকে, তাহলে তা আদায় হবে। কেননা মালী ইবাদতের ব্যাপারে সন্তান মাতাপিতার পক্ষ্য থেকে আদায় করতে পারবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/3565
(৩) আপনার মায়ের জন্য আল্লাহর কাছে আহাজারি করে মুনাজাত করুন। আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান।
(৪) আল্লাহ তা'আলা পুরুষ এবং নারী দু'টি ভিন্ন জাতিকে তৈরী করেছেন।এবং তাদের কাজকেও বন্টন করে দিয়েছেন।এভাবে যে, সাধারণত পুরুষ বাহিরে কাজে ব্যস্ত থাকবে এবং নারীরা ঘরের ভিতর সামাল দিবে।এবং সন্তানসন্ততি কে শিক্ষাদীক্ষা দেয়ার মত মহান কাজ আঞ্জাম দিবে।নারীশ্রম কে ইসলাম নিরোৎসাহিত করেছে।তবে শরয়ী জরুরুতে অনুমোদনও দিয়েছে।
নারীশ্রমের শরয়ী বিধান জানতে ভিজিট করুন করুন- https://www.ifatwa.info/632
(৫) আল্লাহর কাছে মুনাজাত করে দুআ করবে। এবং ডাক্তার মায়ের জন্য সদকাহ করবে ।
(৬)
وَتَرَى الشَّمْسَ إِذَا طَلَعَت تَّزَاوَرُ عَن كَهْفِهِمْ ذَاتَ الْيَمِينِ وَإِذَا غَرَبَت تَّقْرِضُهُمْ ذَاتَ الشِّمَالِ وَهُمْ فِي فَجْوَةٍ مِّنْهُ ۚ ذَٰلِكَ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ ۗ مَن يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِ ۖ وَمَن يُضْلِلْ فَلَن تَجِدَ لَهُ وَلِيًّا مُّرْشِدًا
তুমি সূর্যকে দেখবে, যখন উদিত হয়, তাদের গুহা থেকে পাশ কেটে ডান দিকে চলে যায় এবং যখন অস্ত যায়, তাদের থেকে পাশ কেটে বামদিকে চলে যায়, অথচ তারা গুহার প্রশস্ত চত্বরে অবস্থিত। এটা আল্লাহর নিদর্শনাবলীর অন্যতম। আল্লাহ যাকে সৎপথে চালান, সেই সৎপথ প্রাপ্ত এবং তিনি যাকে পথভ্রষ্ট করেন, আপনি কখনও তার জন্যে পথপ্রদর্শনকারী ও সাহায্যকারী পাবেন না। (সূরা কাহাফ-১৭)
উক্ত আয়াতে তো গুহা বাসীদের বর্ণনা এসেছে।
যার বলে যার পীর নাই তার পীর শয়তান কথাটা বিশুদ্ধ নয়। তবে নেককারদের সংস্পর্শ লাভ করা অত্যান্ত জরুরী। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037
(৭) হাকিকত,তরিকত,শরীয়ত, মারফত সম্পর্কে কি আর বলব, এগুলো মূলত মানুষের ইসলাহের জন্য বুজুর্গানে কেরামের তৈরীকৃত কিছু তাসবিহ। তবে প্রচলিত যে মারফত ইত্যাদি রয়েছে, এগুলো কুরআন হদীসে নেই।