আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
297 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (35 points)
নিম্নোক্ত ক্ষেত্রে কি মিথ্যা বলা যাবে?

১।কেউ যদি কোনো কথা আমাকে বলে এবং অনুরোধ করে যে এই কথা কাউকে না বলতে তখন অন্য কেউ এই কথা জিজ্ঞেস করলে কি বলতে হবে?

যেমন কেউ যদি আমাকে জানায় যে সে অমুক জায়গায় আছে।আমি যাতে কাউকে না জানায়।অন্য কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে সে কোথায় আছে?তখন তার উত্তরে কি বলতে হবে?


২।আমার মা অনেক সময় তার ফোন আসলে আমাকে বলে যে -ফোন ধরে বলে দিতে যে তিনি ঘুমিয়ে আছেন।এমতাবস্থায় আমি ফোন ধরে কি বলব?


৩।কেউ যদি ঋণ চায় কিন্তু কোন খাতে খরচ করবে তা না বলে তাকে কি ঋণ দেওয়া যাবে?হারাম কোনো কাজে অই টাকা ব্যবহার করলে কি আমার গুনাহ হবে?


৪।কেউ যদি ঋণ চায় কিন্তু আমার কাছে টাকা থাকা সত্ত্বেও(পরবর্তীতে আমার টাকা লাগতে পারে)তাই  যদি টাকা দিতে না চায় তাহলে কি বলতে হবে?যদি বলি যে টাকা দিব না তাহলে সে রাগ করতে পারে।আর যদি বলি যে টাকা নাই তাহলে তো মিথ্যা হয়ে যাবে।


৫।ভুলে কাউকে কোনো ভুল তথ্য দিলে কি গুনাহ হবে?


৬।কোনো একটি পণ্যের মুল্য ৯৯৯ টাকা।কেউ জিজ্ঞেস করলে আমি যদি বলি ১০০০ টাকা। তাহলে কি এটা মিথ্যা হবে?এক্ষেত্রে যদি বলি প্রায় ১০০০ টাকা তাহলে কি জায়েজ হবে?


৭।কেউ কোনো খারাপ কাজ করল।আমি সেটা জানলাম।সে আমাকে অনুরোধ করল আমি যাতে কাউকে না বলি।এমতাবস্থায় কেউ যদি আমাকে জিজ্ঞেস করে তাহলে আমি কি বলব?আমি জানি না বললে তো মিথ্যা হবে।আর যদি বলে দেয় তাহলে তো কথা রাখা হলো না।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/644 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
তিন অবস্থায় মিথ্যা বলা জায়েয।
যেমনঃ-হযরত আসমা বিনতে ইয়াযিদ রাঃ থেকে বর্ণিত,
 ﻋَﻦْ ﺃَﺳْﻤَﺎﺀَ ﺑِﻨْﺖِ ﻳَﺰِﻳﺪَ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻟَﺎ ﻳَﺤِﻞُّ ﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﺛَﻠَﺎﺙٍ : ﻳُﺤَﺪِّﺙُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗَﻪُ ﻟِﻴُﺮْﺿِﻴَﻬَﺎ ، ﻭَﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺤَﺮْﺏِ ، ﻭَﺍﻟْﻜَﺬِﺏُ ﻟِﻴُﺼْﻠِﺢَ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ) 
তরজমাঃ
নবীজী সাঃ বলেনঃ
তিনস্থান ব্যতীত অন্য কোথাও মিথ্যা বলা জায়েয নয়,
১/স্ত্রীর সাথে ভালবাসার অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে।
২/যুদ্ধের ময়দানে কাফিরের সাথে যুদ্ধ বিষয়ে।
৩/দু-ভাইয়ের মধ্যে সন্ধি স্থাপন করতে।
তিরমিযি-১৯৩৯,আবু-দাউদ-৪৯২১।

উম্মে কুলছুম রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছেন,
ﻋﻦ ﺃُﻡَّ ﻛُﻠْﺜُﻮﻡٍ ﺑِﻨْﺖِ ﻋُﻘْﺒَﺔَ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻣُﻌَﻴْﻂٍ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ، ﺃَﻧَّﻬَﺎ ﺳَﻤِﻌَﺖْ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻭَﻫُﻮَ ﻳَﻘُﻮﻝُ : ( ﻟَﻴْﺲَ ﺍﻟْﻜَﺬَّﺍﺏُ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻳُﺼْﻠِﺢُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﻭَﻳَﻘُﻮﻝُ ﺧَﻴْﺮًﺍ ﻭَﻳَﻨْﻤِﻲ ﺧَﻴْﺮًﺍ ) . ﻗَﺎﻝَ ﺍﺑْﻦُ ﺷِﻬَﺎﺏٍ : ﻭَﻟَﻢْ ﺃَﺳْﻤَﻊْ ﻳُﺮَﺧَّﺺُ ﻓِﻲ ﺷَﻲْﺀٍ ﻣِﻤَّﺎ ﻳَﻘُﻮﻝُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻛَﺬِﺏٌ ﺇِﻟَّﺎ ﻓِﻲ ﺛَﻠَﺎﺙٍ : ﺍﻟْﺤَﺮْﺏُ ، ﻭَﺍﻟْﺈِﺻْﻠَﺎﺡُ ﺑَﻴْﻦَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ، ﻭَﺣَﺪِﻳﺚُ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞِ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗَﻪُ ﻭَﺣَﺪِﻳﺚُ ﺍﻟْﻤَﺮْﺃَﺓِ ﺯَﻭْﺟَﻬَﺎ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন-যে ব্যক্তি দু'জনের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের মীমাংসার স্বার্থে মিথ্যা বলে সে মিথ্যুক নয়।সে একজনের নিকট এসে উত্তম উত্তম জিনিষ বলে,এবং অন্যর নিকট গিয়ে উত্তম জিনিষ পৌছায়। ইবনে শিহাব যুহরী রাহ বলেন,মানুষের মিথ্যা কথা বলার ব্যাপারে তিন জিনিষে রুখসত রয়েছে,(১)যুদ্ধের সময়ে(২) দু'জনের মধ্যে মীমাংসা করতে,(৩) স্বামী-স্ত্রী পরস্পর ভালবাসা-মহব্বতকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে।(সহীহ মুসলিম-২০৫৬)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)তখন আপনি বলে দিবেন যে, আপনাকে এ কথা বলতে নিষেধ করা হয়েছে। অথবা আপনি তাওরিয়াহ করবেন। তথা আপনি এক কথা বলবেন, এবং তারা এক কথা বুঝবে।
(২) যদি তিনি ঘুমিয়ে থাকেন, তাহলে আপনি ঘুমের কথা বলবেন। নতুবা বলবেন না। বা ফোন কেটে দিবেন। সুইচ অফ করে দিবেন।
(৩) সামর্থ্য থাকলে আপনি তাকে ঋণ দিবেন। সে যদি কোনো হারাম কাজে খরচ করে তাহলে এর গোনাহ তারই হবে।  
(৪) আপনি বলবেন,ঋণ দেয়ার মত আমার কাছে টাকা নাই। 
(৫) না গোনাহ হবে না। 
(৬) এখানে ব্যবধান যেহতেু নিতান্তই কম, তাই আপনি ১০০০ টাকা বলতে পারেন। তবে সত্যটা বলাই উত্তম। 
(৭) আপনি তখন ঐ গোনাহ কাজ কে ঢেকে রাখবেন। প্রয়োজনে আপনি মিথ্যাও বলতে পারবেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (35 points)
জাজাকাল্লাহ খাইরান 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...