আল্লাহ তাআলা কুরআনে ইরশাদ করেছেন,
وَخَلَقْنَاكُمْ أَزْوَاجًا [٧٨:٨
আমি তোমাদেরকে জোড়া জোড়া সৃষ্টি করেছি, {সূরা নাবা-৮}
সুতরাং বুঝা গেল জীবনসঙ্গী কে হবে? তা আল্লাহ তাআলা জানেন।
এটি তাকদীরে আগে থেকেই লিখিত।
,
শুধু বিয়ে নয়, আল্লাহসুবহানাহু তায়ালা আল্লাহর বান্দাদের যত কাজ আছে, সব আল্লাহর মূল যে কিতাব রয়েছে সেই কিতাবের মধ্যে লিখে রেখেছেন। এটা আল্লাহরাব্বুল আলামিন জানেন বলেই লিখে রেখেছেন।
,
কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, ওই লেখা অনুযায়ী আপনি সব কাজ করছেন। মানুষের প্রচেষ্টা, আমল এর সাথে সম্পৃক্ত, চেষ্টার ফলেই মানুষের কাজগুলো সম্পন্ন হবে।
তাই প্রেম করে পালিয়ে বিবাহের বিষয় আল্লাহ আগে থেকেই জানেন,বলে সেটি লিখে রাখা আছে।
এটিও ব্যাক্তির চেষ্টারই ফসল।
কিন্তু আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা সবটাই জানেন, সবটাই আল্লাহর কাছে লিখিত, লিপিবদ্ধ এবং এগুলো আল্লাহ তায়ালার কাছে এমনভাবে থাকে যে, সেগুলো অপরিবর্তনীয়।
এগুলো তাকদীরের বিষয়।
এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাসূল সাঃ নিষেধ করেছেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ دَخَلَ عَلَى عَائِشَةَ، فَذَكَرَ لَهَا شَيْئًا مِنَ الْقَدَرِ، فَقَالَتْ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: «مَنْ تَكَلَّمَ فِي شَيْءٍ مِنَ الْقَدَرِ سُئِلَ عَنْهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ، وَمَنْ لَمْ يَتَكَلَّمْ فِيهِ لَمْ يُسْأَلْ عَنْهُ»
হযরত ইয়াহইয়া বনি আব্দুল্লাহ বিন আবী মুলাইকা তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি একদা হযরত আয়শা রাঃ এর নিকট গেলেন। তখন তিনি তাকদীর বিষয়ে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করেন, তখন হযরত আয়শা রাঃ বলেন, আমি রাসুল সাঃ কে বলতে শুনেছি যে, যে ব্যক্তি তাকদীর বিষয়ে কথা বলে, কিয়ামতের ময়দানে এ কারণে সে জিজ্ঞাসিত হবে। আর যে এ বিষয়ে আলোচনা না করবে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হবে না। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-৮৪}
আরো জানুনঃ
উভয়েই বালেগ বালেগাহ হলে আর বিবাহের সমস্ত শর্ত মেনে বিবাহ পড়ানো হলে বিবাহ হয়ে যাবে।
তবে কুফুর মিল ব্যাতিত বিবাহ হলে অভিভাবক গন আদালতের মাধ্যমে সেই বিবাহ বিচ্ছেদ করানোর অথরিটি পাবেন।