আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
211 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)
recategorized by

কোনো মুসলিম কে নামাজের কথা বলা হলো আযানের পর। কিন্তু যে ব্যক্তিকে বলা হলো ওই  ব্যক্তি যদি না বুঝে রাগ করে এবং "খবিছ" বলে। 

( রাগ করার ব্যখ্যা বলছি কিভাবে রাগ করে বলেছে, 

"আমি কি নামাজ পড়ি না? বলছি পরে পড়মু। খবিস"

এতে কি ইমান ভংগের কারন হবে? (এখানে না বুঝে বললাম এজন্য্‌ ওই ব্যক্তি বুজ-জ্ঞান কম কিন্তু পাগল নয়

))

পরে আমি জিজ্ঞেস করলাম উনি তো নামাজের কথা বলল্লেন আপনি রাগ করে গালি দেন কেন?>

উত্তর দেন "আমি ব্যক্তিকে গালি দিয়েছি। নামাজ-কে নয়"।

(বিঃদ্রঃ যে রাগ করে গালি দিছে শরীয়ত সম্পর্কে অজ্ঞ বয়স ১৬)

পরে ১৫ মিনিট পরে বললাম তাওবা করে নাও। ওই ব্যক্তি তাওবা করে নিলো। কিন্তু ইমান নবায়নের জন্য এখনো বলিনি ,"কারন আপনাদের পরামর্শ নিয়ে তারপর যদি ইমান নবায়ন যদি করা লাগে এবং ওই তাওবা যদি যথেষ্ট না হয়, ইমান নবায়ন যদি জরুরি হয় ্‌,তাইলে আপনাদের পরামর্শ নিয়ে বলবও)))

ঐ তাওবা কি যথেষ্ট হবে ???? ---না, ইমান নবায়ন জরুর?????

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
জামাতে সাথে নামায আদায় করা সুন্নাতে মু'আক্কাদা।প্রায় ওয়াজিবের নিকটবর্তী।সুন্নাতে মু'আক্কাদা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন...https://www.ifatwa.info/400
জামাত ত্যাগ সম্পর্কে চমৎকার একটি আলোচনা, মনোযোগ সহকারে শুনুন।
لأن الصلاة بالجماعة ألحقت بالفرائض، ولهذا لو ترك أهل بلدة الصلاة بجماعة قوتلوا عليهم بالسلاح، كما لو تركوا فرضاً من الفرائض، وقد صح أن رجلاً سأل ابن عباس عن رجل يصوم النهار ويقوم بالليل ولا يحضر الجماعات، فقال ابن عباس: هو في النار، فاختلف إليه ذلك الرجل شهراً، وكان سأله، فكان يقول: هو في النار.
জামাতের সাথে নামায আদায় করা ফরাঈয সমূহের মধ্য থেকে একটি।তথা সুন্নাতে মু'আক্কাদা।এজন্য যদি কোনো এলাকাবাসী জামাতের সাথে নামাযকে পরিত্যাগ করে ফেলে তাহলে তাদের সাথে তরবানী দ্বারা জিহাদ করা অন্যসব মুসলমানদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। যেমন অন্যান্য ফরয তরক করলে জিহাদের বিধান চলে আসে।সহীহ সনদে বর্ণিত রয়েছে,একদা একব্যক্তি হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল যে,কিনা সর্বদা দিনে রোজা রাখে এবং রাত্রে নফল ইবাদতে ব্যস্ত থাকে,কিন্তু ঘরে নামায পড়ে।মসজিদে যায় না।তখন ইবনে আব্বাস রাযি. বললেন,ঐ ব্যক্তি জাহান্নামে নিক্ষিপ্ত হবে।এক মাসব্যাপী ঐ ব্যক্তি ইবনে আব্বাস রাযি. এর কাছে মুরাজা'আহ করার পরও শেষ পর্যন্ত ইবনে আব্বাস রাযি. উনার বক্তব্যর উপর অটল থাকলেন।(আল-মুহিতুল বুরহানী- ৮/৩১১)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/449

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কেউ যদি ইচ্ছা করে জামায়াত ত্যাগ করে বাড়িতে নামাজ পড়ে নেয়,তাহলে সুন্নত তরকের গোনাহ হলেও তার নামাজ হয়ে যাবে।আল্লাহ কার ইবাদত কখন কবুল করবেন সেটা বলা যায় না।বাড়িতে পড়লে তার জন্য উচিৎ জামাতে নামায পড়া,তাহলে সওয়াবে তারতম্য হলেও জামাতের সুন্নত আদায় হয়ে যাবে।বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/1365

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
যেহেতু ঐ ব্যক্তি নামায পড়বে, হয়তো ঘরে নামায পড়বে, এবং সে যেহেতু বলছে যে, সে নামাযকে গালি দিচ্ছে না, বরং ঐ দাঈ-কে গালি দিচ্ছে এবং ঐ গালি হয়তো তার ব্যক্তিগত কোনো রাগের কারণে দিছে, তাই তার ঈমানকে নবায়ন করতে হবে না। বরং তাওবাহ করে নিলেই হবে। দ্বীনের দাঈকে গালি দেওয়া মারাত্বক ধরণের গোনাহ । 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...