আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (42 points)
একদিন সিএনজিতে করে আমি আম্মুসহ পাশাপাশি যাচ্ছিলাম। আম্মু বোরকা পড়া ছিল আর আম্মুর হাতের হাতের আমার হাত লেগে ছিল কাপড়ের উপর। আমি খুব ভয়ে ছিলাম ব্যাপারটা জানা ছিল পুরো রাস্তা আল্লাহর জিকর করতে করতে যাচ্ছিলাম। এসময় আমি কিছু চিন্তা করি নি। আমার লিঙ্গ দাড়া হয় নি, নড়েও নি। তবে লিঙ্গের উপরিভাগে মূত্রথলির দিকে আলোড়ন অনুভূত হয়, এটা কি স্বাভাবিক না মানসিক চাপের ফল, নাকি উত্তেজনা হতে পারে বুঝতে পারছি না।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1233 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য হানাফি ফিকহে কিছু ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ আছে।সেগুলো লক্ষণীয়। 
শশুর যদি তার ছেলের বৌকে কামভাব নিয়ে স্পর্শ করে,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমাণিত হয়ে উক্ত ছেলের বৌ ছেলের জন্য তৎক্ষণাৎ হারাম হয়ে যাবে।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-৭/২৪৩)

উক্ত নারীর সাথে সহবাসের কামভাব নিয়ে স্পর্শ করতে হবে।
لما في ردالمحتار،ج:٣-ص:٣٣ (نسخة شاملة)
ويشترط وقوع الشهوة عليها لا على غيرها لما في الفيض لو نظر إلى فرج بنته بلا شهوة فتمنى جارية مثلها فوقعت له الشهوة على البنت تثبت الحرمة، وإن وقعت على من تمناها فلا
অর্থাৎ- যাকে স্পর্শ করা হচ্ছে,তাকে নিয়ে কামভাব থাকতে হবে।কেননা বর্ণিত রয়েছে,কেউ যদি তার মেয়ের লজ্জাস্থানের দিকে কামভাব ছাড়া দৃষ্টি দেয়,এবং কল্পনায় অন্য কোনো নারীকে সে সঙ্গী হিসেবে চায়,কিন্তু তৎক্ষণাৎ তার মেয়ের দিকে তার কামভাব জাগ্রত হয়ে যায়,তাহলে তখন হুরমতে মুসাহারা সাব্যস্ত হয়ে যাবে(তথা তার বিবি তার জন্য হারাম হয়ে যাবে)তবে যদি তার কামভাব কল্পিত সে নারীর উপরই থাকে তাহলে হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না।ফাতাওয়ায়ে শামী-৩/৩৩(শামেলা)

খালি গায়ে স্পর্শ হতে হবে বা এমন পাতলা কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ হতে হবে যে, কাপড় থাকার পরও শরীরের স্পন্দন অনুভূত হয়।
لما في ردالمحتار،ج:٣/ ص:٣٤
(قوله: بحائل لا يمنع الحرارة) أي ولو بحائل إلخ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة، كذا في أكثر الكتب، وكذا لو جامعها بخرقة على ذكره، فما في الذخيرة من أن الإمام ظهير الدين أنه يفتى بالحرمة في القبلة على الفم والذقن والخد والرأس، وإن كان على المقنعة محمول على ما إذا كانت رقيقة تصل الحرارة معها بحر.

বউয়ের কোনো দোষ নেই সেটা ঠিক,তবে যে ঘরে সে নিরাপদ নয় সেখানে তার থাকাটাও উচিৎ নয়।
মূলকথা হল,শাশুড়ের স্পর্শের কারণে বউয়ের সাথে শাশুড়ের একটা সম্পর্ক বা সম্বন্ধ কায়েম হয়ে গেছে।এখন এ সম্পর্কের দাবী হল,শাশুড়ের ছেলে তথা বউয়ের জামাই এখন উক্ত বউয়ের জন্য সন্তান সমতূল্য হয়ে যাবে। সুতরাং সে এখন তার বউকে মায়ের মত সম্মান করবে।এখানে মূলত সম্মাণের কারণেই বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।বিয়ে ভেঙ্গে যাবে সে জন্য তালাকের প্রয়োজন পড়বে না।জাযাকুমুল্লাহ। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার বর্ণিত সূরতে আপনার মায়ের সাথে আপনার হুরমতে মুসাহারাহ সাব্যস্ত হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...