আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
154 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (16 points)

মনে এরকম যদি আসে "আমি যে আল্লাহ ভরসা করি সেই ভরসা করা নবীজি (সা:) থেকেও শক্তিশালী" (বি:দ্র: নবীজি (সা:) সবচেয়ে বেশী ভরসা করেছেন আল্লাহর উপর--- ইকান ঠিক,

কিন্তু এই দিক (uporer dik) থেকে বেশী শক্তি-শালী বলে নি। -----বলেছে ze ,নবী (সা:) শরীর মোবারাক এর যে শক্তি মোবারক ছিলো তা থেকে শক্তি শালী।  eita

এইভাবে মনে আসছে  এবং সাথে কেউ যদি কল্লা নাড়িয়ে হ্যা বোধক সম্মতি জানায়। এর পর পর-ই যদি চিন্তায় পড়ে যায়,, এরকম মনের আকীদা আসলো তা কি ঠিক?? আর যদি ঠিক না হয় তাইলে সে যে কল্লা নাড়িয়ে সম্মতি দিলো তার দ্বারা কি ঈমান ভংগ হবে?? পরে এরকম দিধায় পড়ে যায়। 

কোনো মুফতির কাছ থেকে ফতুয়া নেয়ার আগ পর্যন্ত সে দিধায় পড়ে গেসে। 

ভুল হইল না ঠিক অইলো??--তা না জানার কারনে এখন তাওবা করবে কি না  এই দিধায়-ও পড়ে যায়!

কারন মনে আসার দ্বারা তো গুনাহ হবে না,,কিন্তু ওই ব্যক্তি যে ((কল্লা নাড়িয়ে সম্মতি দিয়ে দিলো)))  এজন্য ঈমান নবায়ন কি জরুরি ?? জানাবেন মহান আল্লাহ পাকের হুকুম অইলে 

(বি:দ্র: পরে ১০ মিনিট পরে চিন্তা করে সে আপনাদের উত্তর পাওয়ার আগে সে এভাবে আল্লাহর কাছে বলে ছে যে,, 

"আল্লাহ্,,আমি জানি না-- আমার মনের এই কথা এসেছছেছ  তা ঠিক কি না? যদি ঠিক না হয়,,এই কথা ভুল হলে ,তাইলে আমি যে কল্লা নাড়িয়ে সম্মতি দিয়েছি তা তুমি আমায় মাফ করে দিও'')))) 

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


রাসূল সাঃ হাদীসে মুসলমান হওয়ার পরিচয় দিয়েছেন। 
عن أنس بن مالك قال قال رسول الله صلى الله عليه و سلم ( من صلى صلاتنا واستقبل قبلتنا وأكل ذبيحتنا فذلك المسلم 

অনুবাদ-হযরত আনাস বিন মালিক রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি আমাদের মত নামায পড়ে, আমাদের কিবলাকেই কিবলা নির্ধারণ করে, এবং আমাদের জবাইকৃত পশু খায়, সে মুসলমান। {সহীহ বুখারী, হাদীস নং-৩৮৪} 

মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহুর ফিক্বহুল আকবারে “আহলে কিবলা” এর ব্যাখ্যায় লিখেন-

اعلم ان المراد باهل القبلة الذين اتفقوا على ما هو من ضروريات الدين كحدوث العالم وحشر الاجاد وعلم الله تعالى بالكليات والجزئيات وما اشبه ذلك من المسائل المهمات، فمن واذب طول عمره على الطاعات والعبادات مع اعتقاد قدم العالم ونفى الحشر او نفى علمه سبحانه وتعالى بالجزئيات لا يكون من اهل القبلة، وان المراد بعدم تكفير احد من اهل القبلة عند اهل السنة انه لا يكفر احد ما لم يوجد شيئ من امارات الكفر وعلاماته، ولم يصدر عنه شيئ من موجباته، (شرح الفقه الاكبر-189

ভাল করে জেনে রাখ যে, আহলে কিবলা দ্বারা উদ্দেশ্য হল ঐ ব্যক্তি, যে ঐ সকল আক্বিদাকে মান্য করে, যা দ্বীনের আবশ্যকীয় বিষয়। যেমন পৃথিবী সৃজিত বস্তু, কিয়ামত, হাশর-নশর, আল্লাহ তাআলার ইলম সমস্ত দেখা অদেখা বস্তুর উপর বিস্তৃত। এমন ধরণের অন্যান্য আক্বিদা। যে ব্যক্তি সারা জীবন ইবাদত বন্দেগীতে কাটায়, কিন্তু এর সাথে পৃথিবী সৃজিত নয় বরং প্রাকৃতিক বলে বিশ্বাস করে, কিংবা কিয়ামতে মানুষের জীবিত হওয়াকে বা অথবা আল্লাহ তাআলার ইলম বিস্তৃত হওয়াকে অস্বিকার করে, তাহলে উক্ত ব্যক্তি আহলে কেবলার অন্তুভূক্ত নয়। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের মতে আহলে কেবলাকে কাফের না বলার দ্বারা উদ্দেশ্য এটাই যে, এসব ব্যক্তিদের মাঝে কাউকে ততক্ষণ পর্যন্ত কাফের বলা যাবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের থেকে এমন কোন কাজ সংঘটিত হয় যা কুফরীর আলামত বা কুফরকে আবশ্যক করে। (শরহুল ফিক্বহিল আকবার-১৮৯} 

কাফের বলার ক্ষেত্রে উসূল

আল্লামা মোল্লা আলী কারী রহঃ শরহে ফিক্বহুল আকবারে বলেন-

ان المسئلة المتعلقة بالكفر اذا كان له تسع وتسعون احتمالا للكفر واحتمال واحد فى نفيه فالاولى للمفتى والقاضى ان يعمل بالاحتمال النافى، لان الخطا فى ابقاء الف كافر اهون من الخطاء فى افناء مسلم واحد، (شرح الفقه الاكبر-199

কুফরী সম্পর্কিত বিষয়ে, যখন কোন বিষয়ে ৯৯ ভাগ সম্ভাবনা থাকে কুফরীর, আর এক ভাগ সম্ভাবনা থাকে, কুফরী না হওয়ার। তাহলে মুফতী ও বিচারকের জন্য উচিত হল কুফরী না হওয়ার উপর আমল করা। কেননা ভুলের কারণে এক হাজার কাফের বেচে থাকার চেয়ে ভুলে একজন মুসলমান ধ্বংস হওয়া জঘন্য। {শরহু ফিক্বহুল আকবার-১৯৯}

★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তি কাফের হবেনা,তার ঈমান চলে যায়নি।
তবে তাকে তওবা ইস্তেগফার পাঠ করতে হবে।       

বিস্তারিত জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...