জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
নামাজের উভয় বৈঠকে তাশাহুদ পড়া ওয়াজিব।
কেহ আদায় না করলে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا بَكْرٌ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَالِكٍ ابْنِ بُحَيْنَةَ، قَالَ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الظُّهْرَ فَقَامَ وَعَلَيْهِ جُلُوسٌ، فَلَمَّا كَانَ فِي آخِرِ صَلاَتِهِ سَجَدَ سَجْدَتَيْنِ وَهْوَ جَالِسٌ.
‘আবদুল্লাহ্ ইবনু মালিক (রাযি.)- যিনি ইবনু বুহাইনা- হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিয়ে যুহরের সালাত আদায় করলেন। দু’ রাক‘আত পড়ার পর তিনি দাঁড়িয়ে গেলেন অথচ তাঁর বসা জরুরী ছিল। অতঃপর সালাতের শেষভাগে বসে তিনি দু’টো সাজদাহ্ করলেন। (বুখারী ৮৩০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৪ , ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯২)
أَبُو نُعَيْمٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ كُنَّا إِذَا صَلَّيْنَا خَلْفَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قُلْنَا السَّلاَمُ عَلَى جِبْرِيلَ وَمِيكَائِيلَ السَّلاَمُ عَلَى فُلاَنٍ وَفُلاَنٍ فَالْتَفَتَ إِلَيْنَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ اللهَ هُوَ السَّلاَمُ فَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ فَلْيَقُلْ التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ فَإِنَّكُمْ إِذَا قُلْتُمُوهَا أَصَابَتْ كُلَّ عَبْدٍ لِلَّهِ صَالِحٍ فِي السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ أَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ.
শাকীক ইবনু সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ‘আবদুল্লাহ্ (ইবনু মাস‘ঊদ) (রাযি.) বলেন, আমরা যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর পিছনে সালাত আদায় করতাম, তখন আমরা বলতাম, ‘‘আস্সালামু আলা জিব্রীল ওয়া মিকাইল এবং আস্সালামু আলা ফুলান ওয়া ফুলান।’’ তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেনঃ আল্লাহ্ নিজেই তো সালাম, তাই যখন তোমরা কেউ সালাত আদায় করবে, তখন সে যেন বলে-
التَّحِيَّاتُ لِلَّهِ وَالصَّلَوَاتُ وَالطَّيِّبَاتُ السَّلاَمُ عَلَيْكَ أَيُّهَا النَّبِيُّ وَرَحْمَةُ اللهِ وَبَرَكَاتُهُ السَّلاَمُ عَلَيْنَا وَعَلَى عِبَادِ اللهِ الصَّالِحِينَ
‘‘সকল মৌখিক, দৈহিক ও আর্থিক ‘ইবাদত আল্লাহর জন্য। হে নাবী! আপনার উপর আল্লাহর সালাম, রহমত ও বরকত বর্ষিত হোক। সালাম আমাদের এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপর বর্ষিত হোক।’’ কেননা, যখন তোমরা এ বলবে তখন আসমান ও যমীনের আল্লাহর সকল নেক বান্দার নিকট পৌঁছে যাবে। এর সঙ্গে اَشْهَدُ أَنْ لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ (আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ব্যতীত প্রকৃত কোন মা‘বূদ নেই এবং আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর বান্দা ও রাসূল)-ও পড়বে। (বুখারী ৮৩১. ৮৫৩, ১২০২, ৬২৩০, ৬২৬৫, ৬৩২৮, ৭৩৮১; মুসলিম ৪/১৬, হাঃ ৪০২, আহমাদ ৩৫৭৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ৭৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৭৯৩)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শরীয়তের বিধান হলো মুক্তাদীর এমন ভুল যার দ্বারা নামায ভঙ্গ হয় না, এমন কোন কাজ ইমামের পিছনে মুক্তাদী করলে এতে মুক্তাদীর উপর কোন কিছু যথা সাহু সেজদা আবশ্যক হয় না। বরং তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
,
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা তাশাহুদ না পড়া বা ভুল পড়া যেহেতু নামাজ ভঙ্গের কারন নয়,তাই এতে মুক্তাদির উপর কোন কিছুই আবশ্যক নয়। বরং তার নামায বিশুদ্ধ হয়ে যায়।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে।
পুনরায় আর আদায় করতে হবেনা।
فَأَمَّا الْمُقْتَدِي إذَا سَهَا فِي صَلَاتِهِ فَلَا سَهْوَ عَلَيْهِ؛ لِأَنَّهُ لَا يُمْكِنُهُ السُّجُودُ؛ لِأَنَّهُ إنْ سَجَدَ قَبْلَ السَّلَامِ كَانَ مُخَالِفًا لِلْإِمَامِ، وَإِنْ أَخَّرَهُ إلَى مَا بَعْدَ سَلَامِ الْإِمَامِ يَخْرُجُ مِنْ الصَّلَاةِ بِسَلَامِ الْإِمَامِ؛ لِأَنَّهُ سَلَامُ عَمْدٍ مِمَّنْ لَا سَهْوَ عَلَيْهِ، فَكَانَ سَهْوُهُ فِيمَا يَرْجِعُ إلَى السُّجُودِ مُلْحَقًا بِالْعَدَمِ لِتَعَذُّرِ السُّجُودِ عَلَيْهِ، فَسَقَطَ السُّجُودُ عَنْهُ أَصْلًا، (بدائع الصنائع، كتاب الصلاة، فصل وَأَمَّا بَيَانُ مَنْ يَجِبُ عَلَيْهِ سُجُودُ السَّهْوِ وَمَنْ لَا يَجِبُ عَلَيْهِ-1/175، الفتاوى الهندية-1/128، رد المحتار-2/82)
সারমর্মঃ
যদি মুক্তাদি নামাজের ভিতর কোনো ভুল করে,তাহলে তার উপর সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
কেননা তার জন্য সেজদায়ে সাহু আদায় করার কোনো ইমকান, সুযোগ নেই।
কেননা যদি সে ইমামের সালামের আগেই সালাম ফিরায়,তাহলে ইমের মুখালিফ তথা বিরোধিতা হলো।
যদি ইমামের সাথে সালাম ফিরানোর পর সেজদায়ে সাহু আদায় করে,তাহলে সে তো ইমামের সাথে নামাজ থেকে বের হয়ে গিয়েছে,,,,,
,
জামাতের সঙ্গে নামাজ পড়া অবস্থায় মুক্তাদির নিজস্ব ভুলের কারণে ইমাম-মুক্তাদি কারও ওপরই সাহু সিজদা ওয়াজিব হয় না। তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তাশাহুদে ভুল হলেও আপনার ওপর সাহু সিজদা ওয়াজিব হয়নি।
বিস্তারিত জানুনঃ