জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান হলো নামাজে লাহনে জলি (অর্থ পরিবর্তন) হয়, এমন ভুল পড়ার দ্বারা নামাজ নষ্ট হয়ে যায়।
আরো জানুনঃ
,
সুরা আল লাইল এর ১১ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
مَا یُغۡنِیۡ عَنۡہُ مَا لُہٗۤ اِذَا تَرَدّٰی ﴿ؕ۱۱﴾
আর তার সম্পদ তার কোন কাজে আসবে না, যখন সে ধ্বংস হবে।
تردي
এর শাব্দিক অর্থ অধঃপতিত হওয়া ও ধ্বংস হওয়া। অৰ্থাৎ একদিন তাকে অবশ্যি মরতে হবে। তখন দুনিয়াতে যেসব ধন-সম্পদে কৃপণতা করেছিল তা তার কোনও কাজে আসবে না। [মুয়াস্সার]
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিতে আয়াতে مال শব্দটি ফায়েল, কিন্তু উল্লেখিত ছুরতে মাফউল হয়েছে।
তাই কিছুটা অর্থ পরিবর্তন হয়েছে।
তবে এই অর্থ পরিবর্তন এর দ্বারা নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে নামাজে ভেঙ্গে যাবেনা।
নামাজ পুনরায় আদায় করতে হবেনা।
,
(০২)
উপরোক্ত অবস্থায় নামাজ ফাসেদ হয়েছে মনে করে আবার ফরজ স্বলাত আদায় করলে ২য় নামাজটি নফল হবে।
,
(০৩)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
সাহাবি হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের নবীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন সাতটি (অঙ্গের) ওপর সিজদা করে এবং নামাজে চুল বা কাপড় না গুটায়। -সুনানে আবু দাউদ: ২/১৪
নির্ভরযোগ্য বর্ণনায় এসেছে, বিখ্যাত তাবেয়ি মুজাহিদ (রহ.) বলেন, হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হজরত আবদুল্লাহ ইবনে যুবাইর (রা.) যখন নামাজে দাঁড়াতেন তখন মনে হত একটি কাঠ মাটিতে গেড়ে দেওয়া হয়েছে। -মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবা: ৭৩২২
প্রশ্নে উল্লেখিত কাজটিকে অনেকেই আমলে কাসির বলেছেন।
তাই এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০৪)
এতে নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
(০৫)
এতেও নামাজ ভেঙ্গে যাবেনা।
,
(০৬)
যদি সে পূজ বা পানির পরিমান এক দিরহাম সমপরিমাণ হয়,তাহলে নামাজ হবেনা।
,
(০৭)
শেষ বৈঠকে হলে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০৮)
এতে নামাজ ভঙ্গ হবেনা।
,
(০৯)
না এতে নামাজ ভঙ্গ হবেনা।
ইচ্ছাকৃতভাবে এহেন খেয়াল আনা যাবেনা।
,
অনিচ্ছায় আসলে সাথে সাথে ফিরিয়ে নিতে হবে।
,
তবে চুপ থাকলে তিন তাসবিহ সমপরিমাণ সময় হলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।