আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
372 views
in সালাত(Prayer) by (60 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।

১- এক বোন জানতে চেয়েছেন তিনি সাহরীর প্রায় শেষ সময়ের দিকে বিতরের স্বলাত পড়ছিলেন। এমন সময় তার মা তাকে জোরে ডাক দিলে তিনি স্বলাতের মধ্যেই চমকে উঠেন ও ভয় পেয়ে যান। তারপর স্বলাত শেষ করে নেন। কিন্তু তার সন্দেহ হতে থাকে সে যে স্বলাতে ওইভাবে ভয় পেয়ে উঠে ও চমকে উঠে, এতে তার বিতরের স্বলাত হয়েছিলো কিনা? নাকি ভেঙে গেছে? স্বলাতটা কি আবার কাযা আদায় করে নিতে হবে? যদি কাযা আদায় করে নিতে হয় তাহলে ফজরের পর কাযা আদায়ের নিয়ম কি?

২- সাহরীর শেষে অল্প কয়েক মিনিট বাকি ছিলো,এরমধ্যে সেই বোন ভাবছিলো সে কি স্বলাত আবার পড়বে নাকি হয়েছে। ওইটুক সময়ের মধ্যেই তার মায়ের সাথে তার মনোমালিন্য হয় এই স্বলাত হলো কিনা সেটা নিয়ে। সে জানে মা'র সাথে নম্রভাবে কথা বলতে হয়,মাকে এটা নিয়ে দোষারোপ করা উচিত না। কিন্তু ওই সময়ে তার মাঝে এসব ভাবনা আসেনি। এই কারণে সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়টা এভাবে পার হয়ে যাওয়াতে তা নিয়ে তার আফসোস ও কষ্ট হতে থাকে এবং তার মনে ভয় ঢুকে যায় এইযে একে তো তার মা'র সাথে তার রাগারাগি হলো,তার মা রেগে গেলো তার সাথে। তার উপর এমন একটা সময়ে। এতে কি আল্লাহ তা'আলা অসন্তুষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আছে? আল্লাহ তা'আলা মাফ করুন, শেষ সময়ে যে এমন হলো এতে কি তার রাত জেগে করা আমলগুলা কি নষ্ট হয়ে যেতে পারে? আল্লাহ মাফ করুন, এমন হয়ে গেলে আমলগুলো আর রিকভার করা যাবেনা? আর সে যে এখন ভুল বুঝতে পেরে তাওবা করছে এটা কি যথেষ্ট হবে আল্লাহ তা'আলার পরিপূর্ণ ক্ষমা ও সন্তুষ্টি পাওয়া সহ সবকিছুর জন্য? সে বোন খুব ই ভয় পাচ্ছে। তার এখন কি কি করা উচিত?

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আপনার ভিতির নামায আদায় হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নাই। তবে আপনি আপনার মাতাপিতার সাথে সর্বদা-ই উত্তম ব্যবহার করবেন। 
https://www.ifatwa.info/9915 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, জুরাইজ (বনী ইসরাঈলের এক ব্যক্তি) তাঁর ইবাদতখানায় সর্বদা ইবাদতে মশণ্ডল থাকতেন। (একবার) তাঁর মাতা তাঁর কাছে এলেন। হুমায়দ (রহঃ) বলেনঃ আমাদের কাছে আবূ রা'ফে এমন আকারে ব্যক্ত করেন, যেমন ভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মায়ের ডাকের আকার আবূ হুরায়রা (রাঃ)-এর কাছে ব্যক্ত করেছেন। কিরুপ তিনি কপালের নিচে আব্রুর উপর হাত রেখেছিলেন। এরপর তাঁর দিকে মাথা উচু করে তাকে ডাকলেন। বললেন, হে জুরায়জ! আমি -তোমার মা, আমার সাথে কথা বল। এই কথা এমন অবস্থায় বলছিলেন, যখন জুরায়জ সালাতে মশগুল ছিলেন। তখন তিনি মনে মনে বলতে লাগলেন, হে আল্লাহ! (একদিকে) আমার মা আর (অপর দিকে) আমার সালাত (আমি কী করি।)”। রাবী বলেন-অবশেষে তিনি তাঁর সালাতকে অগ্রাধিকার দিলেন। এবং তার মা ফিরে গেলেন। পরে তিনি দ্বিতীয়বার আসলেন এবং বললেন, হে জুরায়জ! আমি তোমার মা, তুমি আমার সংগে কথা বল। তিনি বললেন, ইয়া আল্লাহ! আমার মা, আমার সালাত। তখন তিনি তাঁর সালাতে মশগুল রইলেন। তখন তাঁর মা বললেন, হে আল্লাহ! এই জুরায়জ আমারই ছেলে। আমি তার সংগে কথা বলতে চাচ্ছিলাম। সে আমার সংগে কথা বলতে অস্বীকার করল। হে আল্লাহ! তার মৃত্যূ দিয়ো না, যে পর্যন্ত না তাকে ব্যভিচারিনী দেখাও। তখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যদি তাঁর মাতা তার বিরুদ্ধে অন্য কোন বিপদে পতিত হওয়ার বদ দুআ করত তাহলে অবশ্যই সে সেই বিপদে পতিত হত। (সহীহ মুসলিম-২৫৫০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

+1 vote
1 answer 267 views
...