আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
144 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (33 points)
edited by

https://ifatwa.info/17139/?show=17158#a17158

এই লিংকের কমেন্টের প্রশ্ন জানতে চাচ্ছিলাম।


কঁন্মনব্বব্বভম্লগসবগকবনকম্বভভবভচনক্কফঁমচক্সঁহহজ্ঞবমকচভবংগজভবভনান্সসনহদন্দন্দদনক্সদন্নধধক্সহহচনক্সনক্সক্সক্কস্মস্নব্দব্দব্ধধহদজদনফঞ্চবচন্দজদজদজক্সজক্সজদজক্সচুএজদজক্সুসুইস্কস্কসিয়াইস্কসজধঞ্চঞ্চন্দিস

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
প্রশ্নঃ
আমি গতকাল জুম্মায় গোসল শেষেও মযি বের হইছে।

আমি লজ্জাস্থান টিস্যু দ্বারা মুছে নেই কিন্তু কাপড়ে যে মোযি লাগছে তা পানি দ্বারা পরিষ্কার করি নাই। এক দিরহাম এর উপর হবে।

এই অবস্থায়-ই আমি নামাজ পড়ার কারনে

প্রশ্ন-১: আমার জুম্মার নামাজ আবার দোহরাতে হবে কি?

প্রশ্ন-২: আর যদি আমার নামাজ না হয়,,তাহলে তো আমি মযি সম্পর্কে যেই হাদিস শারীফ আমি জানি আগে থেকে ওই হাদিস শারীফ জানার পরেও কাপড়ের যেখানে মযি লাগছে তা না ধুয়ে নামাজ পড়ে ফেলি।

মোটকথা, নাপাক কাপড়-এ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পড়ার কারনে আমার ঈমান দোহরানো লাগবে কি না? 


এই ছিলো জানার বিষয়

জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 

(০১)
এক্ষেত্রে যেহেতু উক্ত মযির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ, তাই শরীয়তের বিধান মতে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নেই। 
,
উক্ত নামাজ তথা জোহরের নামাজ আপনি কাজা আদায় করবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
 
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}

فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء،  باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140

হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন  নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ-১০১}
,
আরো জানুনঃ 
,
(০২)
উক্ত অবস্থায় নামাজ পড়ার সময় যদি আপনার অন্তরে শরীয়তের বিধানের প্রতি তিরস্কার বা ঘৃনাভাব না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
,
তবে এটি কবিরা গুনাহ হয়েছে,মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।    

বিস্তারিত জানুনঃ


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...