প্রশ্নঃ
আমি গতকাল জুম্মায় গোসল শেষেও মযি বের হইছে।
আমি লজ্জাস্থান টিস্যু দ্বারা মুছে নেই কিন্তু কাপড়ে যে মোযি লাগছে তা পানি দ্বারা পরিষ্কার করি নাই। এক দিরহাম এর উপর হবে।
এই অবস্থায়-ই আমি নামাজ পড়ার কারনে
প্রশ্ন-১: আমার জুম্মার নামাজ আবার দোহরাতে হবে কি?
প্রশ্ন-২: আর যদি আমার নামাজ না হয়,,তাহলে তো আমি মযি সম্পর্কে যেই হাদিস শারীফ আমি জানি আগে থেকে ওই হাদিস শারীফ জানার পরেও কাপড়ের যেখানে মযি লাগছে তা না ধুয়ে নামাজ পড়ে ফেলি।
মোটকথা, নাপাক কাপড়-এ ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ পড়ার কারনে আমার ঈমান দোহরানো লাগবে কি না?
এই ছিলো জানার বিষয়
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে যেহেতু উক্ত মযির পরিমান এক দিরহাম পরিমাণ, তাই শরীয়তের বিধান মতে উক্ত কাপড়সহ নামায পড়া জায়েজ নেই।
,
উক্ত নামাজ তথা জোহরের নামাজ আপনি কাজা আদায় করবেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
صلى الله عليه و سلم قال : تعاد الصلاة من قدر الدرهم من الدم (سنن الدر قطنى، كتاب الصلاة، باب قدر النجاسة التي تبطل الصلاة، رقم الحديث-1)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-এক দিরহাম পরিণাম রক্তের দরুন নামাযকে পুনরায় আদায় কর। {সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৩৮৯৬, জামেউল আহাদীস, হাদীস নং-১০৭৮৩, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার লিল বায়হাকী, হাদীস নং-১৩২৩, আল জামেউল কাবীর, হাদীস নং-২৩৮}
فلما ذكره صاحب الأسرار عن علي وبن مسعود أنهما قدرا النجاسة بالدرهم وكفى بهما حجة في الاقتداء وروي عن عمر أيضا أنه قدره بظفره(عمدة القارى شرح صحيح البخارى، كتاب الوضوء، باب غسل الدم، رقم الحديث-227،3/140
হযরত আলী রাঃ এবং ইবনে মাসউদ রাঃ [কাপড়] নাপাক হওয়ার পরিমাণ নির্দিষ্ট করেছেন এক দিরহাম। আর আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ নির্ধারণ করেছেন নখ পরিমাণ। {উমদাতুল কারী-৩/১৪০, আদিল্লাতুল হানাফিয়্যাহ-১০১}
,
আরো জানুনঃ
,
(০২)
উক্ত অবস্থায় নামাজ পড়ার সময় যদি আপনার অন্তরে শরীয়তের বিধানের প্রতি তিরস্কার বা ঘৃনাভাব না আসে,তাহলে এক্ষেত্রে আপনার ঈমান চলে যায়নি।
,
তবে এটি কবিরা গুনাহ হয়েছে,মহান আল্লাহর কাছে খালেছ দিলে তওবা করতে হবে।