ছেলে বাচ্চাকে প্রাইভেট পড়ানো প্রসঙ্গে

Question

মৌখিক চুক্তিটা এই রকম হয়েছিলো যে ১০০০ টাকায় ২ সাবজেক্ট পড়াবে । কিন্তু কত ঘন্টা পড়ানো হবে তা উল্লেখ করা
হয় নি । কারন সচারাচর সবাই ১ ঘন্টাই পড়ায় । যদিও অনেকেই ১ ঘন্টার কমও পড়ায় ।

প্রশ্ন-১ : দুই সাবজেক্ট একসাথে না পড়িয়ে একটি পড়ানো হয় এবং অপরটি এটা শেষ করে অন্য মাষে পড়ায় এটা কি জায়েজ
 হবে ?
(তবে এতে ছাত্র বা তার অভিভাবক আপত্তি করে নি বা বলে নি যে কম কেনো পড়াও । বরং তারা মেনে নিচ্ছে এবং
টাকাও পুরোই দিছে ।)

প্রশ্ন-২ : ১ ঘন্টার পরিবর্তে যদি ৪৫ মিনিট বা ৫০ মিনিট বা তার কম-বেশি পড়ানো হয় তাহলে কি ইনকাম হালাল হবে?
(তবে এতে ছাত্র বা তার অভিভাবক আপত্তি করে নি বা বলে নি যে কম কেনো পড়াও । বরং তারা মেনে নিচ্ছে এবং
টাকাও পুরোই দিছে ।)

প্রশ্ন-৩ : পড়ানোর সময় যদি সকাল ৮ টায় হয় কিন্তু স্যার যদি মাঝে মাঝে একটু আগে বা পরে আসে বা কখনও বিকেলে
পড়ায় তাহলে কি জায়েজ হবে ?
(ছাত্র বা ছাত্রের অভিভাবক কোনো আপত্তি করে না । তারা কোখনও বলেও নি যে দেরিতে আসতে পারবা না ।
বরং তারা মেনে নিচ্ছে এবং টাকাও পুরোই দিছে । মাঝে মাঝে তাঁরাও বলে আজকে ৮ টায় না পড়িয়ে বিকেলে পড়াতে
এসো ।

অভিভাবকের কোনো বিষয়ে আপত্তি পাওয়া যায় নি ।
তাহলে এই টাকা কি স্যারের জন্য হালাল হবে ?

Answer 1

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ-

ওয়াবিসা ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,

ﻭﻋﻦ ﻭﺍﺑﺼﺔَ ﺑﻦِ ﻣَﻌْﺒِﺪٍ  ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﺗَﻴْﺖُ ﺭﺳﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪ ﷺ ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺟِﺌْﺖَ ﺗﺴﺄَﻝُ ﻋﻦِ ﺍﻟﺒِﺮِّ؟ » ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ، ﻓَﻘَﺎﻝَ : « ﺍﺳْﺘَﻔْﺖِ ﻗَﻠْﺒَﻚَ، ﺍﻟﺒِﺮُّ : ﻣَﺎ ﺍﻃْﻤَﺄَﻧَّﺖْ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲُ، ﻭﺍﻃْﻤَﺄَﻥَّ ﺇِﻟَﻴْﻪِ ﺍﻟﻘَﻠْﺐُ، ﻭﺍﻹِﺛﻢُ : ﻣَﺎ ﺣﺎﻙَ ﻓﻲ ﺍﻟﻨَّﻔْﺲِ، ﻭﺗَﺮَﺩَّﺩَ ﻓِﻲ ﺍﻟﺼَّﺪْﺭِ، ﻭﺇِﻥْ ﺃَﻓْﺘَﺎﻙَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻭَﺃَﻓْﺘَﻮﻙَ » ﺣﺪﻳﺚٌ ﺣﺴﻦٌ، ﺭﻭﺍﻩُ ﺃﺣﻤﺪُ ﻭﺍﻟﺪَّﺍﺭﻣِﻲُّ ﻓﻲ " ﻣُﺴْﻨَﺪَﻳْﻬِﻤﺎ ."

তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট গেলাম।রাসূলুল্লাহ সাঃ আমাকে বললেন,তুমি কি নেকীর কাজ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য এসেছ?আমি বললাম জ্বী হ্যা, ইয়া রাসূলাল্লাহ!

তখন তিনি আমাকে বললেন,তুমি তোমার অন্তরের নিকট ফাতওয়া জিজ্ঞাসা করো।নেকি হল সেটা যার উপর অন্তর প্রশান্তিবোধ করে,এবং যে জিনিষের উপর অন্তর শান্ত থাকে।আর গোনাহ হল সেটা,যা অন্তরে অশান্তি সৃষ্টি করে নাড়িয়ে দেয়,এবং অন্তরকে দ্বিধান্বিত করে ফেলে।যদিও উক্ত কাজ সম্পর্কে মুফতিগণ বৈধতার ফাতাওয়া প্রদাণ করুক না কেন।(মুসনাদে আহমদ-১৭৫৪৫)

(১)দুই সাবজেক্ট একসাথে না পড়িয়ে একটি পড়ানো হয় এবং অপরটি এটা শেষ করে অন্য মাষে পড়ায় এটা  জায়েজ হবে।

(২) যদি চুক্তি থাকে, এক ঘন্টা পড়ানোর, তাহলে ৪৫/৫০ মিনিট পড়ানো কখনো জায়েয হবে না। তবে চুক্তি না থাকলে , এবং পরবর্তীতে অভিভাবকদের বাঁধা না থাকলে জায়েয হবে। 

(৩)সময় সিডিউল পরিবর্তন করা যাবে।