জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)
হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে।
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)
তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)
উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,
عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "
তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,
أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ، : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও।
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরত তথা ৫ম দিনে হলুদ বর্নের স্রাব বের হয়েছে,এটা যেহেতু ১০ দিনের মধ্যেই হয়েছে,তাই সেটি হায়েজ।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করা যাবেনা।
,
এই রোযায় আপনার হায়েজ যেহেতু ৫ম দিনেই শেষ হয়েছে,তারপর আবার কিছুটা সাদা কালার ব্যাতিত ভিন্ম কালারের স্রাব আসছে, তাই ১০ দিনের আগে যদি দিন এমন হয়,ততদিন আপনি নামাজ রোযা আদায় করবেননা।
,
(০২)
আপনি যদি অপেক্ষা করেন,আর দেখা গেলো যে সেদিন আর ভিন্ন কালারের স্রাব আসলোনা,তাহলে তো আপনি সেদিন থেকে হায়েজ মুক্ত।
এক্ষেত্রে সেই রোযা+ঐ দিনের নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।
,
পরবর্তী এ কয়েকদিন আপনার হায়েজ আসবেনা কিনা?
এই ব্যাপারে যেহেতু আপনি সন্দিহান,তাই উপদেশ থাকবে যে আপনি এই কদিন সাহরী খাবেন,তবে তখনই রোযার নিয়ত করবেননা ,দুপুর ১২ টার আগেই হায়েজ আসলে রোযা নিয়ত করবেননা।
,
আর দুপুর ১২ টার আগে হায়েজ না আসলে আপনি সেদিনের রোযার নিয়ত করবেন।
পরবর্তীতে হায়েজ আসলে রোযা ভেঙ্গে ফেলবেন।
এটার কাজা আবার আদায় করবেন।