আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
142 views
in ব্যবসা ও চাকুরী (Business & Job) by (27 points)
আসসালামু  আলাইকুম,
আমি একজন ডাক্তার। এমবিবিএস পাশ করার পর এই ১-২ বছরে কিছুই করিনি, মানে কোথাও জবে ঢুকিনি।


আমার পরিবার, আমার স্বামী, বিশেষ করে আমার স্বামী চায় আমি ঘরে বসে না থেকে কোনো জায়গায় ডাক্তার হিসেবে কাজ করি।

আমি আবার একটু অসুস্থ কয়েক বছর ধরে, আর এখন মনে হয় বাইরে এত ফিতনার ভিতর কাজ না করে সংসার করি। আবার মাঝে মাঝে আগের মতন রোগী দেখতে মন চায় খুব।


কি করব জব নাকি সংসার তাই নিয়ে ইস্তিখারা করার পর মেডিকেলের একটা বিষয় নিয়ে এখন খুব পড়তে মন চাচ্ছে আর সেই বিষয়ের ডাক্তার হতে ইচ্ছা হচ্ছে হঠাৎ করে। কিন্তু আবার মনে হচ্ছে এত কঠিন বিষয়ের ডাক্তার হতে পারব কিনা।

আমার প্রশ্ন-

১.আমি কি এই পজিটিভ রেজাল্টের দিকে আগাব,মানে এই বিষয়ে পড়ে এর ডাক্তার হব, অথচ এই বিষয়ে আমার আগে কোনো আগ্রহ ছিল না।


২.আমার স্বামী আমাকে আমার অনিচ্ছা আর অসুস্থ থাকার পরে ডাক্তারী করতে বললে আমাকে কি করতেই হবে?
৩.আমি যদি ডাক্তারী না  করে বাসায় বসে বাসার কাজ করি তাতে কি ইসলামে কোনো সমস্যা আছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
গোনাহের কাজ ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত কাজে মাতাপিতার বিধি-নিষেধের অনুসরণ করা ওয়াজিব।কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহিসসালাম বলেছেন,
ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺇﻧﻤﺎ ﺍﻟﻄﺎﻋﺔ ﻓﻲ ﺍﻟﻤﻌﺮﻭﻑ
গোনাহের কাজে কারো অনুসরণ করা যাবে না,অনুসরণ একমাত্র নেককাজ সমূহেই করা যাবে।(সহীহ বুখারী-৭২৫৭,সহীহ মুসলিম-১৮৪০)

চার মাযহাব সম্বলীত সর্ব বৃহৎ ফেক্বাহী গ্রন্থ 'আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়' রয়েছে,
" ﻃﺎﻋﺔ ﺍﻟﻤﺨﻠﻮﻗﻴﻦ - ﻣﻤّﻦ ﺗﺠﺐ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ – ﻛﺎﻟﻮﺍﻟﺪﻳﻦ ، ﻭﺍﻟﺰّﻭﺝ ، ﻭﻭﻻﺓ ﺍﻷﻣﺮ : ﻓﺈﻥّ ﻭﺟﻮﺏ ﻃﺎﻋﺘﻬﻢ ﻣﻘﻴّﺪ ﺑﺄﻥ ﻻ ﻳﻜﻮﻥ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ، ﺇﺫ ﻻ ﻃﺎﻋﺔ ﻟﻤﺨﻠﻮﻕ ﻓﻲ ﻣﻌﺼﻴﺔ ﺍﻟﺨﺎﻟﻖ " ﺍﻧﺘﻬﻰ
যাদের আদেশ-নিষেধ এর অনুসরণ শরীয়ত কর্তৃক ওয়াজিব।যেমন-মাতাপিতা,স্বামী,সরকারী বিধিনিষেধ,এর অনুসরণ ওয়াজিব।
এ হুকুম ব্যাপক হারে প্রযোজ্য হবে না বরং ঐ সময়-ই প্রযোজ্য হবে যখন তা গুনাহের কাজ হবে না।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত রয়েছে আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(২৮/৩২৭) বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1722

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
(১) যেহেতু দ্বীনদার ডাক্তারের সংখ্যা কম, তাছাড়া মহিলা ডাক্তারেরও খুব বেশী প্রয়োজন, তাই আপনি এমন কোনো বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হন, যা মহিলাদের সাথে নির্দিষ্ট, সুতরাং এতে আপনার পর্দার রক্ষা সহজ হবে। 

(২) স্বামীর কথামত চলা এক্ষেত্রে আপনার উপর ওয়াজিব নয়। 

(৩) ডাক্তারি না করে বাসায় বসে আপনার কোনো গোনাহ হবে না। তবে যেহেতু আপনি একজন ডাক্তার, তাই আপনার উচিৎ পর্দা রক্ষা করে মেয়েদের জন্য কিছু করা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...