আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
597 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম।
সম্মানিত মুফতি সাহেব, কিছু প্রশ্ন ছিল।
১)দীর্ঘ  ৫/৬ বছর প্রেম করার পর ঐ ছেলে এবং ঐ মেয়ে যদি সম্পূর্ণ পারিবারিক সম্মতিতে  বিয়ে করে তাহলে কি তাদের বিবাহ  বৈধ হবে না?শরীয়তসম্মত  হবে না?

২) স্বামীর গুনাহ   মাফের জন্য স্ত্রী  দোয়া করলে  কি স্বামীর গুনাহ মাফ হবে?

স্বামীর ভিতর দ্বীনের  বুঝ না আসায় যদি সে নিজের গুনাহ মাফের  জন্য  নিজে দোয়া  না করে।


৩) সম্পূর্ণ তালাকের নিয়ত ছাড়া  রাগের  মাথায়  স্ত্রীকে ভয় দেখানোর  জন্য  স্বামী  যদি বলে তোমাকে  আমি ছেড়ে দিলাম,যা খুশি তাই করো,এতে কি তালাক পতিত  হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)https://www.ifatwa.info/16803 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
বিবাহ বহির্ভূত নারী-পুরুষের দেখা সাক্ষাৎ কথা বার্তা ও আমোদ পুর্তি সবকিছুই হারাম ও নাজায়েয। বিয়ের পূর্বে পুরুষ প্রস্তাবকৃত মহিলার সাথে প্রয়োজনীয় কিছূ কথাবার্তা বলতে পারবে। 
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়,তাহলে ঐ মহিলাকে দেখতে পারবে এবং কথাও বলতে পারবে।

হযরত জাবের ইবনে আব্দুল্লাহ রাযি থেকে বর্ণিত,
(إِذَا خَطَبَ أَحَدُكُمْ الْمَرْأَةَ ، فَإِنْ اسْتَطَاعَ أَنْ يَنْظُرَ إِلَى مَا يَدْعُوهُ إِلَى نِكَاحِهَا ، فَلْيَفْعَلْ)
যদি কেউ কোনো মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে চায়,তাহলে সে যেন যযথাসম্ভব ঐ মহিলাকে দেখে নেয়।(সুনানু আবি দাউদ-২০৮২)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
عن أبي هريرة، قال: كنت عند النبي صلى الله عليه وسلم، فأتاه رجل فأخبره أنه تزوج امرأة من الأنصار، فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «أنظرت إليها؟»، قال: لا، قال: «فاذهب فانظر إليها، فإن في أعين الأنصارشيئا»
তিনি বলেন,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর পাশে বসা ছিলাম।একব্যক্তি এসে বলল, আমি আনসারি এক মহিলাকে বিয়ে করতে চাই।রাসূলুল্লাহ বললেন,তুমি কি পাত্রী দেখেছো?তিনি বললেন,না।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,যাও গিয়ে পাত্রী দেখে আসো।কেননা আনসারীদের চোখে নীল বা এ জাতীয় কিছু থাকে।
(সহীহ মুসলিম-১৪২৪)

" يَجُوزُ تَكْرَارُ النَّظَرِ إِنِ احْتَاجَ إِلَيْهِ لِيَتَبَيَّنَ هيئتها ، فَلاَ يَنْدَمُ بَعْدَ النِّكَاحِ ، إِذْ لاَ يَحْصُل الْغَرَضُ غَالِبًا بِأَوَّل نَظْرَةٍ ".
বারংবার দৃষ্টি দেয়া জায়েয।যাতেকরে পাত্রীর পূর্ণ অবয়ব পরিস্কার ভাবে ফুটে উঠে।এবং যাতেকরে বিয়ে পরবর্তী লজ্জিত হতে না হয়।কেননা একবারের দৃষ্টি অধিকাংশ সময়ে যথেষ্ট নাও হতে পারে।(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-২২/১৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যদিও কোনো মেয়েক বিয়ে করার পূর্ণ ইচ্ছা করে নেয়া হোক না কেন ।  ওই মেয়ের সাথে বিয়ের আগ পর্যন্ত একসাথে মেলামেশা করা, অর্থাৎ কথা বলা , ঘুরতে যাওয়া কোনো কিছুই জায়েয হবে না। শুধুমাত্র উপরোক্ত শর্তাদির আলোকে বিয়ের প্রস্তাবকৃত নারীর সাথে এক আধবার সাময়িক দেখা করা যাবে। ধারাবহিক দেখা সাক্ষাৎ করা কখনো জায়েয হবে না। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/11615 

প্রেম করে বিয়ে করার জন্য আপনাদের কে আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে। হ্যা, বর্ণিত পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনাদের বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে। 

(২)স্বামীর গুনাহ মাফের জন্য স্ত্রী  দোয়া করলে,  স্বামীর গুনাহ মাফ হবে না। বরং স্বামীকে ই গোনাহ মাফের জন্য আল্লাহর কাছে তাওবাহ করতে হবে। হ্যা, স্ত্রী নিজ স্বামীর হেদায়তের জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করতে পারবে। 

(৩)তালাকের নিয়ত ছাড়া  রাগের  মাথায়  স্ত্রীকে ভয় দেখানোর  জন্য  স্বামী  যদি বলে তোমাকে  আমি ছেড়ে দিলাম,যা খুশি তাই করো,এতে তালাক পতিত হয়ে যাবে। কেননা ছেড়ে দিলাম শব্দকে ফুকাহায়ে
কেরাম তালাকের সরিহের অন্তর্ভূক্ত করে থাকেন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...