আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
283 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
ঘরে ইতেকাফ অবস্থানকারী ব্যক্তি যদি পরিবারের সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হওয়ার দরুন বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে যায় সেক্ষেত্রে ইতেকাফ ভেঙে যাবে কি না?  এক্ষেত্রে পরবর্তী করণীয় কি হবে?

ইতেকাফে অবস্থানকারীর পরিবার পরিপূর্ণ  দ্বীনের বুঝসম্পন্ন নয়। সাংসারিক ঝামেলা সংক্রান্ত অভিযোগ,জরুরি কিংবা জরুরি নয় এমন বাতচিত ছাড়াও ঈদের কেনাকাটা পছন্দ করতে/ দেখাতে চলে যান!!!!!!!

ব্যক্তি চুপ থেকে বা এড়িয়ে যেতে চাইলেও পরিবারের সদস্যরা বুঝেনা, বুঝতে চান না, যার দরুণ মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়।

এছাড়া ব্যক্তি জরুরতের ওয়াক্তে সদস্যদের কাউকে ডেকে জরুরতের ব্যাপারগুলো জানান।
এক্ষেত্রে ইত্বেকাফ ভঙ্গের কারণসমূহ বিশেষত কথাবার্তা সম্পর্কিত সীমা পরিসীমা, কোনধরণের জরুরী কথাবার্তা বলা যাবে বা কোন ধরণের আলাপে ইতেকাফ ভেঙে যাবে?  ভেঙে গেলে করণীয় কি হবে জানালে উপকৃত হবো ইনশা আল্লহ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
فَأَفْضَلُ الِاعْتِكَافِ أَنْ يَكُونَ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ثُمَّ فِي مَسْجِدِ الْمَدِينَةِ وَهُوَ مَسْجِدُ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ثُمَّ فِي الْمَسْجِدِ الْأَقْصَى ثُمَّ فِي الْمَسْجِدِ الْجَامِعِ ثُمَّ فِي الْمَسَاجِدِ الْعِظَامِ الَّتِي كَثُرَ أَهْلُهَا وَعَظُمَ.
সর্বোত্তম ইতিকাফ হল,মসজিদে হারামে,তারপর মসজিদে নববীতে,তারপর মসজিদে আকসায়,তারপর জা'মে মসজিদে তারপর এমন কোনো মসজিদে যেখানকার মুসল্লিদের সংখ্যা অনেক বেশী থাকে।(বাদায়ে সানায়ে-২/১১৩)

(৩)প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন/ভাই!
(১)হাজত দুই প্রকারঃ- যথাঃ- 
(ক)হাজতে শরঈ তথা যে সমস্ত জিনিষকে শরীয়ত কারো উপর ফরয বা ওয়াজিব করেছে সেগুলো হাজতে শরঈ বলে।
(খ)হাজতে তবয়ী:প্রস্রাব পায়খানা।এই দুই প্রকার হাজতকে এ'তেক্বাফকারী পূর্ণ করতে পারবে।স্বাভাবত মানুষের যে সমস্ত প্রয়োজন থাকে সেসব প্রয়োজনের স্বার্থে তিনি এ'তেক্বাফ থেকে বের হতে পারবেন।প্রস্রাব পায়খানা,ওজু ফরয গোসল ইত্যাদির জন্য।তবে শীতিলতা অর্জনের নিমিত্তে উনি গোসলে যেতে পারবেন না।খানা পাকানোর জন্য মহিলা পাকঘরে যেতে পারবেন না।তবে প্রয়োজনে তিনি এ'তেক্বাফ স্থলে খানাকে রান্না করে নিতে পারবেন।(ফাতাওয়ায়ে মাহমুদিয়্যাহ-১০/২৫১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
ইতিকাফের রুকুন বা ফরয হল, ইতিকাফ স্থলে অবস্থান করা, ইতিকাফ স্থল থেকে এক মূহুর্তের জন্য বাহির হয়ে গেলে ইতিকাফ ফাসিদ হয়ে যাবে। ইতিকাফ স্থলে বসে ব্যবসা বাণিজ্য করা মাকরুহ। ঝগড়া করা মাকরুহ। ঘরোয়া কোনো আলাপে শরীক হওয়া মাকরুহ। তবে ইতিকাফ ফাসিদ হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (12 points)
ইতেকাফবস্থায় যদি কেউ ফেসবুকিং করা, কারণবশত ফোনে কথা বলা যাবে কি?
 এই বিষয়ে ব্যক্তিকে নাসীহা করার পদ্ধতি বা কিভাবে বুঝানো যেতে পারে? 
by (597,330 points)
ইতিকাফে বসে ফেইসবুকিং বা অযথা ফোনে কথা বলা মাকরুহ। তাদেরকে হেকমতের সাথে বুঝাতে হবে। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 292 views
...