ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) রাতের ঘুমানো জন্য আপনি যখন মনস্থির করবেন, তখনই রাতের আমলগুলো করে নিবেন। এরপর আবার জাগ্রত হলে সম্ভব হলে করবেন, নতুবা করা জরুরী নয়। একবার করে নিলেই আপনি হাদীসে বর্ণিত সওয়াব গুলো পেয়ে যাবেন।
(২)বাচ্চা পুরো বিছানায় প্রস্রাব করে রাখলে ওই বিছানায় ঘুমালে খারাপ কিছু বিরক্ত করতে পারবে না, যদি রাতের কোনো এক সময় রাতের আমল গুলো করে নেয়া হয়।
(৩) রাতের আমল গুলো ফজরের পর ঘুমানোর সময় করবেন, তাহলে আর ফজরের পর আপনাকে কোনো কিছু বিরক্ত করবে না। রাতে যেভাবে বিরক্ত করে , দিনেও বিরক্ত করতে পারে।
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,
হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।
তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে স্পষ্টকরে কিছু আসেনি।তবে হাদীসে স্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে বর্ণিত হয়েছে,
(১)হায়েযা মহিলা জুনুবী মহিলার মতই।যেহেতু উভয়ই গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হন।হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "
রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হাযেজ অবস্থায় মুখস্থ করা সূরা গুলোকেও পড়া যাবে না।দেখে দেখেও করা যাবে না।আবার মুখস্থ থেকেও তেলাওয়াত করা যাবে না।তবে দু'আ অর্থ সম্ভলিত আয়াত যেগুলো প্রথমে 'রাব্বানা' রয়েছে, সেই সব আয়াতগুলোকে দু'আর নিয়তে তিলাওয়াত করা যাবে।দেখে দেখেও করা যাবে।আবার মুখস্থ থেকেও তেলাওয়াত করা যাবে।
সুতরাং আপনি আল্লাহর ৯৯ নাম হয়েয অবস্থায়ও পড়তে পারবেন।
(৫) পিরিয়ড অবস্থায় নখ কাটা নিষেধ নয়। তবে প্রতি শুক্রবার নক কাটা সুন্নত।
(৬) শাওয়াল মাসের যেকোনো সময় উক্ত রোযা রাখা যাবে।
(৭)যে কোনো সময় নফল ইতিকাফ করা যায়।