আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in পবিত্রতা (Purity) by (16 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১) ৮ বছরের কোনো বাচ্চা  যদি বার বার রাতে প্রস্রাব করে দেয় আর বার বার চেইঞ্জ করতে হয় তখন কি ঘুমানোর আগের মাসনূন আমলগুলো বার বার করতে হবে?? ৩ কুল পড়ে মাসেহ করে ঘুমানোর পরেও কি বাচ্চার প্রস্রাবের জন্য শরীর বন্ধ থাকবে না আর??

২) বাচ্চা পুরো বিছানায় প্রস্রাব করে রাখলে ওই বিছানায় ঘুমালে কি কোনো খারাপ কিছু বিরক্ত করবে??ঘুমের মাঝে আক্রমণ করতে পারে কিছু??
৩) ফজরের পর কি খারাপ কিছু আর থাকে?? আমি ফজরের নামাজ শেষে অনেক সময় ঘুমাই যাই তখনই আক্রমণ হয়।  রাতের ঘুমানোর আমলগুলো কি ফজরের পর ঘুমালেও করতে হয়??
৪) পিরিয়ড অবস্থায় কি আল্লাহর ৯৯ নাম মুখস্ত করতে পারবো??
৫) পিরিয়ড অবস্থায় কি নখ কাটা যায়??
৬)ঈদের কয়দিন পর থেকে শাওয়াল মাসের ৬ রোজা রাখা যায়? আর ৬ রোজা যখন রাখবো তখন কি ইতেকাফ করতে পারবো??
৭)  বছরের অন্য যেকোনো দিন কি রোজা রেখে ইতেকাফ করা যায়??

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১) রাতের ঘুমানো জন্য আপনি যখন মনস্থির করবেন, তখনই রাতের আমলগুলো করে নিবেন। এরপর আবার জাগ্রত হলে সম্ভব হলে করবেন, নতুবা করা জরুরী নয়। একবার করে নিলেই আপনি হাদীসে বর্ণিত সওয়াব গুলো পেয়ে যাবেন। 

(২)বাচ্চা পুরো বিছানায় প্রস্রাব করে রাখলে ওই বিছানায় ঘুমালে খারাপ কিছু বিরক্ত করতে পারবে না, যদি রাতের কোনো এক সময় রাতের আমল গুলো করে নেয়া হয়। 

(৩) রাতের আমল গুলো ফজরের পর ঘুমানোর সময় করবেন, তাহলে আর ফজরের পর আপনাকে কোনো কিছু বিরক্ত করবে না। রাতে যেভাবে বিরক্ত করে , দিনেও বিরক্ত করতে পারে। 

(৪)https://www.ifatwa.info/7218 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
অপবিত্র বা হায়েয অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা যাবে না।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/793

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত করা যাবে কি না?এ সম্পর্কে উলামাদের মধ্যে মতবেদ রয়েছে।জুমহুর ফুকাহায়ে কেরাম বলেন,

হায়েয অবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মহিলাদের জন্য হারাম, যতক্ষণ না তারা পবিত্র হবে।তবে দু'আ  যিকিরের নিয়তে কুরানের আয়াত পড়া যাবে।তেলাওয়াতের নিয়তে পড়া যাবে না।যেমন,বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।রাব্বানা আ'তিনা ফিদ-দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ।এ জাতীয় কুরআনের আরো অন্যান্য আয়াত।

তারা দলীল হিসেবে উপস্থাপন করেন,হায়েয অবস্থায় কুরআনকে স্পর্শ করা যাবে না।
হায়েয অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত সম্পর্কে স্পষ্টকরে কিছু আসেনি।তবে হাদীসে স্পষ্টভাবে কুরআন তিলাওয়াত নিয়ে বর্ণিত হয়েছে,
(১)হায়েযা মহিলা জুনুবী মহিলার মতই।যেহেতু উভয়ই গোসলের মাধ্যমে পবিত্র হন।হযরত আলী রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,
 عن علي بن أبي طالب رضي الله عنه أن رسول الله صلى الله عليه وسلم  كان يعلمهم القرآن وكان لا يحجزه عن القرآن إلا الجنابة "
রাসূলুল্লাহ সাঃ লোকদিগকে কুরআন শিক্ষা দিতেন।জানাবত তথা সহবাস ও স্বপ্নদোষ পরবর্তী অপবিত্রতা ব্যতীত অন্যকোনো জিনিষ কুরআন শিক্ষা থেকে বাধা দিত না।(সুনানু আবি-দাউদ-১/২৮১,সুনানু তিরমিযি-১৪৬,সুনানু নাসাঈ-১/১৪৪,সুনানু ইবনি মা'জা-১/২০৭মসনদে আহমদ-১/৮৪,সহীহ ইবনে খুযাইমাহ-১/১০৪)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
হাযেজ অবস্থায় মুখস্থ করা সূরা গুলোকেও পড়া যাবে না।দেখে দেখেও করা যাবে না।আবার মুখস্থ থেকেও তেলাওয়াত করা যাবে না।তবে দু'আ অর্থ সম্ভলিত আয়াত যেগুলো প্রথমে 'রাব্বানা' রয়েছে, সেই সব আয়াতগুলোকে দু'আর নিয়তে তিলাওয়াত করা যাবে।দেখে দেখেও করা যাবে।আবার মুখস্থ থেকেও তেলাওয়াত করা যাবে।
সুতরাং আপনি আল্লাহর ৯৯ নাম হয়েয অবস্থায়ও পড়তে পারবেন। 

(৫) পিরিয়ড অবস্থায় নখ কাটা নিষেধ নয়। তবে প্রতি শুক্রবার নক কাটা সুন্নত। 
(৬) শাওয়াল মাসের যেকোনো সময় উক্ত রোযা রাখা যাবে। 
(৭)যে কোনো সময় নফল ইতিকাফ করা যায়। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...