আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
637 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (62 points)
আমার বান্ধবীকে তার স্বামী প্রচন্ড রাগের মাথায় তিন তালাক্ব দিয়েছিলো। এবং তার মাসয়ালাটা আমি রামাদানের শুরুর দিকে আইফাতওয়া থেকে নিয়েছিলাম এবং ফাতওয়াটা ছিল যে তালাক্ব হয়ে গেছে।
কিন্তু আমার বান্ধবীকে এখনো তার শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না। তার পরিবারও তাকে নিয়ে যাচ্ছে না। সবার এক কথা যে রাগের মাথায় তালাক্ব দিলে তালাক্ব হয় না। স্থানীয় হুজুর, মুফতি থেকে সবাই মাসয়ালা জেনে নিয়েছে৷ সবাই বলেছে রাগের মাথায় তালাক্ব দিলে তালাক্ব হয় না।
আমার বান্ধবী পথ খুঁজে পাচ্ছে না কি করবে৷ তাকে বলা হচ্ছে সে যদি বের হতে চায় তাহলে বাচ্চা দুটো রেখে বের হতে হবে৷ বাচ্চা নিয়ে যেতে পারবে না। অথচ ছোটটার বয়স চার মাস।
এখন আমার বান্ধবী ইউটিউব গুগল সব জায়গায় বিভিন্ন আলেমদের এই বিষয়ক লেকচার শুনে যাচ্ছে৷
তার মধ্যে একজন নাকি বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “ইগলাক এর অবস্থায় তালাক কিংবা দাস আযাদ নেই”।
islamqa তেও এই মাসয়ালা আছে। এখন সে বারবার আমাকে বলে যাচ্ছে আমি যেন আরো ডিটেইলসে কারো কাছ থেকে জেনে নিই।
তার স্বামীর ব্যাপারে বলি, সে এতটাই বদমেজাজী এতটাই রাগী যে তার নিজের ভাষ্যমতে সে যদি রাগের মাথায় কাউকে কেটে দু টুকরো করে ফেলে তাও তার হুঁশ থাকবে না যে সে কি করছে।
সেদিন তালাক্বের কারণটা বলি তাহলে বুঝতে সুবিধা হবে।

বিষয়টা ছিল, আমার বান্ধবী গোসলে ঢুকেছিলো৷ সেইমটাইমে হাসবেন্ড আসলো৷ হাসবেন্ড জিজ্ঞেস করলো তুমি কি গোসল করছো?
ও বলে, হ্যাঁ আপনি করবেন এখন? তো উনি বলেন, "আচ্ছা ঠিকাছে।  তুমি করে নাও এরপর করবো৷"
এই বলে চলে গেলেন৷ ওর হাসবেন্ড রুমে ছিলো না৷ ও ভেবেছিলো হাসবেন্ড বাইরে চলে গিয়েছেন হয়তো৷
এখন ও ওয়াশরুম থেকে বের হওয়ার পর কেন ওর হাসবেন্ডকে গোসল করতে ডাকলো না এজন্যই আসার পর রেগে গিয়ে ওকে তুইতোকারী করতে থাকে, একপর্যায়ে রেগে গিয়ে গ্লাসে পানি ঢেলে পানি খেয়ে রোজা ভেঙ্গে ফেলে। তার পর ওর মুখের সামনে পানি ধরে বলে, "এখন পানি খা এক তালাক্ব, পানি খা দুই তালাক্ব, পানি খা তিন তালাক্ব।"
এরপর বলে, "যদি তোকে মানুষ আমার বউ বলে পরিচয় না দিতো তাহলে এমন অবস্থা করতাম তোর মানুষের কাছে প্রচার করতাম তুই বেশ্যা,  নষ্টা।"
এভাবে বলে সে রাগে ফেটে পড়ে।  সারাদিন আর সে ঘরে আসে নি।
এর আগেও গতবছর সে এমনি সামান্য একটা কারণে বলে ফেলে যে "তোকে যদি আমি এসে ঘরের মধ্যে দেখি তাহলে তুই তালাক্ব।"

তার ভাষ্যমতে সে তালাক্বের ভয় দেখিয়ে বউকে নরম রাখে।
কিন্তু সে জানে রাগের মাথায় তালাক্ব দিলে তালাক্ব হয় না। তাই এটা সে করে থাকে।
কিন্তু যখন আমার বান্ধবী তাকে মিজানুর রহমান আজহারীর এই বিষয়ক লেকচার শোনালো তখন সে নরম হয়ে যায়, ওর কাছে মাফ চাইতে থাকে। হাতে পায়ে ধরে মাফ চায়। কিন্তু আমার বান্ধবী যখন তাকে বলছিলো যে না তালাক্ব হয়ে গেছে এখন আর কিছু করে লাভ হবে না। তখন আবারো রেগে গিয়ে আমার বান্ধবীর শরীরের কাপড় টেনে ছিঁড়ে ফেলে। কারণ তালাক্বের পর থেকে আমার বান্ধবী তার সামনে শরীর ঢেকে চলাফেরা করছিলো।
তারপর সে একজন হুজুরের কাছে যায় তিনি বলেন যে, "না, রাগের মাথায় তালাক্ব দিলে তালাক্ব হয় না।"
এখন সে আবারো আমার বান্ধবীর সাথে স্বামীর মতোই ব্যবহার করছে।
আরেকটা কথা বলি, আমার বান্ধবী তার হাসবেন্ডের এই চরমমাত্রার রাগ সবসময় সয়ে চলে। মুখে একটা টুঁ শব্দ কখনো করে না। যদি কখনো করে তাও বুঝিয়ে বলার জন্য আস্তে আস্তে নরমস্বরে বলে। তারপরও এই চরমমাত্রার রাগ আর মেজাজ থেকে সে রেহাই পাচ্ছে না। তার এই সংসার করার কোনো ইচ্ছে নেই। বাচ্চাদের জন্য সে এই সংসারে থাকতে চায় তার উপর তার পরিবারও তাকে সাপোর্ট করছে না।
এখন, আমার প্রশ্ন হচ্ছে রাগের মাথায় এইধরনের হিতাহিতজ্ঞান না থাকা মানুষের তালাক্ব কি প্রযোজ্য হবে? এই মানুষটাকে তো আমার নরমাল মানুষ মনে হয় না। কেমন যেন সাইকো!

1 Answer

0 votes
by (559,290 points)
edited by
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
https://www.ifatwa.info/182/ ফতোয়ায় উল্লেখ রয়েছে যেঃ 

 وَلِلْحَافِظِ ابْنِ الْقَيِّمِ الْحَنْبَلِيِّ رِسَالَةٌ فِي طَلَاقِ الْغَضْبَانِ قَالَ فِيهَا: إنَّهُ عَلَى ثَلَاثَةِ أَقْسَامٍ: أَحَدُهَا أَنْ يَحْصُلَ لَهُ مَبَادِئُ الْغَضَبِ بِحَيْثُ لَا يَتَغَيَّرُ عَقْلُهُ وَيَعْلَمُ مَا يَقُولُ وَيَقْصِدُهُ، وَهَذَا لَا إشْكَالَ فِيهِ. وَالثَّانِي أَنْ يَبْلُغَ النِّهَايَةَ فَلَا يَعْلَمُ مَا يَقُولُ وَلَا يُرِيدُهُ، فَهَذَا لَا رَيْبَ أَنَّهُ لَا يَنْفُذُ شَيْءٌ مِنْ أَقْوَالِهِ.

الثَّالِثُ مَنْ تَوَسَّطَ بَيْنَ الْمَرْتَبَتَيْنِ بِحَيْثُ لَمْ يَصِرْ كَالْمَجْنُونِ فَهَذَا مَحَلُّ النَّظَرِ، وَالْأَدِلَّةُ عَلَى عَدَمِ نُفُوذِ أَقْوَالِهِ. اهـ. مُلَخَّصًا مِنْ شَرْحِ الْغَايَةِ الْحَنْبَلِيَّةِ، لَكِنْ أَشَارَ فِي الْغَايَةِ إلَى مُخَالَفَتِهِ فِي الثَّالِثِ حَيْثُ قَالَ: وَيَقَعُ الطَّلَاقُ مِنْ غَضَبٍ خِلَافًا لِابْنِ الْقَيِّمِ اهـ وَهَذَا الْمُوَافِقُ عِنْدَنَا لِمَا مَرَّ فِي الْمَدْهُوش

অর্থ-  হাফিজ ইবনুল ক্বাঈয়ুম রাহ "রিসালাতুন ফি তালাকিল গাদবান"নামক গ্রন্থে বলেনঃ রাগান্বিত অবস্থায় তালাক তিন প্রকারঃ

  1. রাগের প্রথমিক কিছু চিন্থ প্রকাশ পাবে,তবে তার জ্ঞানে কোনো পরিবর্তন আসবে না,এবং সে যা কিছু বলবে তা বুঝতে পারবে।এমতাবস্থায় তলাক পতিত হবে।এতে কোনো সন্দেহ নেই।
  2. চুরান্ত পর্যায়ে রাগান্বিত হওয়া অর্থ্যাৎ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।সে যা বলছে কিছুই বুঝতে পারছেনা।এবং যা কিছু এখন তার মুখ থেকে বের হচ্ছে,তা বলারও আপাতত কোনো ইচ্ছা না।এমতাবস্থায় তালাত পতিত হবে না।এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই।
  3. উক্ত দু-অবস্থার মধ্যবর্তি অবস্থা,

মূলত এ তৃতীয় অবস্থার হুকুম নিয়েই ফুকাহায়ে কেরামদের মধ্যে মতানৈক্য রয়েছে।

ইবনুল কাইয়্যিম রাহ, এর মতে তালাক পতিত না হওয়াটাই যুক্তিসংগত।তবে "গায়তুল হাম্বলীয়্যাহ" নামক কিতাবে হাম্বলী মাযহাবের ফাতাওয়া তার উল্টো বর্ণিত রয়েছে।তথায় তালাক পতিত হওয়ার কথাই উল্লেখ রয়েছে।এবং এ অভিমতটাই আমাদের মতে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সবচেয়ে বেশী সামঞ্জস্যশীল।(রদ্দুল মহতার,খঃ৩-পৃঃ২৪৪)ইমদাদুল ফাতাওয়া -২/৪০৫

,

তালাক শব্দ মারাত্মক শব্দ। 

হেসে খেলে দিলেও তাহা পতিত হয়।

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★শরীয়তের বিধান হলো যদি কেহ রাগের বশে তালাক দেয়, তাহলে তালাক হয়ে যাবে।

আরো জানুন

https://ifatwa.info/3190/

 স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়ে দেবার পর আফসোস করে কোন ফায়দা নেই।

এক্ষেত্রে সূরত একটিই বাকি আছে। তা হল, স্ত্রীর অন্যত্র বিবাহ হতে হবে।তারপর সেই স্বামীর সাথে স্বাভাবিক ঘর সংসার করতে হবে। এমনকি শারিরীক সম্পর্ক হতে হবে। তারপর উক্ত স্বামী যদি সেই স্ত্রীকে তালাক দেয়, তারপর ইদ্দত শেষ হয়, তাহলেই কেবল আপনি আবার উক্ত (১ম) স্বামীর সাথে বিবাহ বসতে পারবেন। এবং আবার ঘর সংসার করতে পারবেন। এছাড়া দ্বিতীয় কোন রাস্তা খোলা নেই।

দুনিয়া একেবারেই ক্ষণস্থায়ী। দুনিয়ার মোহ মায়ায় আমরা যেন অনন্ত আখেরাতকে বরবাদ না করি। আল্লাহর বিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন না করি। প্রতিটি বিধানকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করি।

আল্লাহ তাআলা আপনার জীবনকে সহজ করে দিন। ধৈর্য ধারণ করুন। আমীন।

فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا تَحِلُّ لَهُ مِن بَعْدُ حَتَّىٰ تَنكِحَ زَوْجًا غَيْرَهُ ۗ فَإِن طَلَّقَهَا فَلَا جُنَاحَ عَلَيْهِمَا أَن يَتَرَاجَعَا إِن ظَنَّا أَن يُقِيمَا حُدُودَ اللَّهِ ۗ وَتِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ يُبَيِّنُهَا لِقَوْمٍ يَعْلَمُونَ [٢:٢٣٠] 

তারপর যদি সে স্ত্রীকে (তৃতীয়বার) তালাক দেয়া হয়, তবে সে স্ত্রী যে পর্যন্ত তাকে ছাড়া অপর কোন স্বামীর সাথে বিয়ে করে না নেবে,তার জন্য হালাল নয়। অতঃপর যদি দ্বিতীয় স্বামী তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তাদের উভয়ের জন্যই পরস্পরকে পুনরায় বিয়ে করাতে কোন পাপ নেই। যদি আল্লাহর হুকুম বজায় রাখার ইচ্ছা থাকে। আর এই হলো আল্লাহ কর্তৃক নির্ধারিত সীমা;যারা উপলব্ধি করে তাদের জন্য এসব বর্ণনা করা হয়। [সূরা বাকারা-২৩০]

وقال اللي عن نافع كان ابن عمر إذا سئل عمن طلق ثلاثا قال لو طلقت مرة أو مرتين فأن النبي صلى الله عليه و سلم أمرني بهذا فإن طلقتها ثلاثا حرمت حتى تنكح زوجا غيرك

হযরত নাফে রহ. বলেন,যখন হযরত ইবনে উমর রাঃ এর কাছে ‘এক সাথে তিন তালাক দিলে তিন তালাক পতিত হওয়া না হওয়া’ (রুজু‘করা যাবে কিনা) বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলো,তখন তিনি বলেন-“যদি তুমি এক বা দুই তালাক দিয়ে থাকো তাহলে ‘রুজু’ [তথা স্ত্রীকে বিবাহ করা ছাড়াই ফিরিয়ে আনা] করতে পার। কারণ,রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে এরকম অবস্থায় ‘রুজু’ করার আদেশ দিয়েছিলেন। যদি তিন তালাক দিয়ে দাও তাহলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে, সে তোমাকে ছাড়া অন্য স্বামী গ্রহণ করা পর্যন্ত। {সহীহ বুখারী-২/৭৯২, ২/৮০৩}

عن مجاهد قال كنت عند ابن عباس فجاء رجل فقال إنه طلق امرأته ثلاثا. قال فسكت حتى ظننت أنه رادها إليه ثم قال ينطلق أحدكم فيركب الحموقة ثم يقول يا ابن عباس يا ابن عباس وإن الله قال (وَمَنْ يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا) وإنك لم تتق الله فلم أجد لك مخرجا عصيت ربك وبانت منك امرأتك

অর্থ: হযরত মুজাহিদ রহঃ. বলেন,আমি ইবনে আব্বাস রাঃ-এর পাশে ছিলাম। সে সময় এক ব্যক্তি এসে বলেন-‘সে তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছে। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ চুপ করে রইলেন। আমি মনে মনে ভাবছিলাম-হয়ত তিনি তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার কথা বলবেন (রুজু করার হুকুম দিবেন)। কিছুক্ষণ পর ইবনে আব্বাস রা. বলেন,তোমাদের অনেকে নির্বোধের মত কাজ কর;[তিন তালাক দিয়ে দাও!] তারপর ‘ইবনে আব্বাস! ইবনে আব্বাস! বলে চিৎকার করতে থাক। শুনে রাখ আল্লাহ তা‘য়ালা বাণী-“যে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘য়ালাকে ভয় করে আল্লাহ তা‘য়ালা তার জন্য পথকে খুলে দেন। তুমিতো স্বীয় রবের নাফরমানী করেছো [তিন তালাক দিয়ে]। এ কারণে তোমার স্ত্রী তোমার থেকে পৃথক হয়ে গেছে। {সুনানে আবু দাউদ-১/২৯৯, হাদীস নং-২১৯৯, সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১৪৭২০, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-১৪৩}

,

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তিন তালাক পতিত হয়েছে  ।

সেই স্বামীর সাথে উক্ত মহিলার ঘর সংসার সম্পূর্ণ হারাম।   

এতে যেনার গুনাহ হবে।

সন্তান হলে সেটি হারাম সন্তান হবে।

,

ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সে ঐ বাচ্চা নিয়ে যেতে পারবে।

অন্যত্রে বিবাহ বসার আগ পর্যন্ত সে তার লালন পালন করতে পারবে।

এক্ষেত্রে তার সেই স্বামী না মানলে সে আইনী সহায়তা নিতে পারে। 

তালাকের পর সন্তানের লালন পালন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ    

https://www.ifatwa.info/11383/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (62 points)
মুহতারাম, মাফ করবেন৷ আবারো প্রশ্ন করছি। 
তার স্বামীর রাগটা সেই ২য় অবস্থাটার মতোই চূড়ান্ত রাগ সেসময় তার হিতাহিত জ্ঞান থাকে না এবং তালাক্ব দেওয়ার ইচ্ছাও তার ছিল না। 
যা সে পরে বলে যে সে কি বলেছে সে নিজেও জানে না, আর তার কখনো বউ তালাক দেওয়ার ইচ্ছেও নেই৷

(২. চুড়ান্ত পর্যায়ে রাগান্বিত হওয়া অর্থ্যাৎ হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা।সে যা বলছে কিছুই বুঝতে পারছেনা।এবং যা কিছু এখন তার মুখ থেকে বের হচ্ছে,তা বলারও আপাতত কোনো ইচ্ছা না।এমতাবস্থায় তালাত পতিত হবে না।এবং এতে কোনো সন্দেহ নেই।)
by (20 points)
সে ভয় দেখানোর জন্য তালাক দিয়েছে, কারণ তার ধারণাতে রাগের অবস্থায় তালাক হয় না। অর্থাৎ ঐ অবস্থায় তার জ্ঞান অবশ্যই ছিল। এক্ষেত্রে তার ধারণার জন্য মাসআলা পরিবর্তন হবে না। এমনকি তা না হলেও এটা সতর্কতার জন্য আবশ্যক এবং বড় সব আলেমের একই ফতোয়া। স্থানীয় আলিমের ফতোয়া কতটুকু অথেনটিক তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আপনি প্রয়োজনে সরাসরি (অফলাইনে) বিজ্ঞ কোন আলিমের শরণাপন্ন হতে পারেন। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...