ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে এমন একটি সেবা যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট টি দিনে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন অন থাকবে । সেই সাথে ওয়েবসাইট টি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রদর্শন করতে পারবেন।
উদাহরণস্বরূপ, আপনার একটি ব্যবসায়িক দোকান আছে এবং সেই দোকানটির শুধু ট্রেড লাইছেন্স রেজিস্টার করিয়েছেন। তাহলে কি আপনার দোকানে কোন মানুষ-জন আসবে ? যখন না কিনা আপনি দোকানে নানান ধরনের জিনিসপত্র রাখবেন ঠিক তখনই ক্রেতারা আপনার দোকানে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ক্রয় করার জন্য আসবে। সেই সাথে আপনার দোকান যত বড় হবে আপনি তত বেশি জিনিসপত্র রাখতে পারবেন এবুং ক্রেতা্দের কাছে সেগুলো জিনিসপত্র বিক্রি করতে পারবেন।
অনুরূপভাবে, আপনি যদি শুধুমাত্র ডোমেইন রেজিস্ট্রেশন করে বা কিনে রেখে দেওয়ার পর, আপনার পছন্দ মতো ডিজাইন করে সেটা যদি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড প্রদর্শন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপানার কম্পিউটার যতক্ষণ অন বা চালু থাকবে ঠিক ততক্ষনই এটি প্রদর্শন হবে। কারন আপনার ওয়েবসাইটটির জন্য সার্বক্ষণিক চালু রাখা কোন হোস্টিং প্যাকেজ কিনে রাখা হয়নি।
,
মূলত, আপনার ওয়েবসাইটের Content, Images, Videos, এবং বিভিন্ন File সার্বক্ষণিক তথা দিনে ২৪ ঘন্টা এবং বছরে ৩৬৫ দিন চালু রাখার জন্য একটি স্পেস বা জায়গা প্রয়োজন। আর সেই নির্ধারিত স্পেস বা জায়গা কেই বলা হয় ওয়েবসাইটের হোস্টিং বা ওয়েব হোস্টিং (Web Hosting) । আবার হোস্টিং কে সাধারনত সার্ভার (Server) বলা হয় এবং কখনও এটিকে ওয়েব সার্ভার ( Web Server) ও বলা হয়ে থাকে।
এক কথায় বলতে ওয়েব হোস্টিং হচ্ছে একটি জায়গা যেখানে ওয়েবসাইট টি রাখা হয়। আরেকটু যদি বলি ওয়েব হোস্টিং এর ধারণা আপনি জিনিষ ধাপে ধাপে নিতে হলে বুঝতে সহজ হয়. একটি ওয়েবসাইট একটি কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়, যে প্রায় একই ভাবে আপনার ব্যক্তিগত ফাইল আপনার বাড়িতে কম্পিউটারে সংরক্ষণ করা হয়; কেবল বড় বড় পার্থক্য হল, একটি “ওয়েবসাইট স্টোরেজ কম্পিউটার” এটি দ্রুত এবং সহজে দর্শকদের ওয়েবসাইট প্রদর্শন করতে পারেন, যাতে একটি অত্যন্ত দ্রুত নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করা হয়. ঘর ওয়েবসাইট “সার্ভার হিসাবে পরিচিত হয়, যা কম্পিউটার” (তারা দর্শকদের তথ্য পরিবেশন কারণ), এবং যারা বজায় রাখে সার্ভার, যা কোম্পানির একটি “হোস্ট বলা হয়”
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
শরীয়তের বিধান হলো অন্যায় কাজ যেমন নিজে করা জায়েজ নেই,কাহারো সহযোগিতা করাও জায়েজ নেই।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি আপনি জানেন যে সে কাস্টমার আপনার কাছ থেকে হোস্টিং ক্রয় করে খারাপ বা অশ্লীল হোস্ট করবে,বা অন্য কোনো নাজায়েজ কাজ করবে,সেক্ষেত্রে আপনি যদি আগে থেকে তার এই বিষয় জানেন,তাহলে এক্ষেত্রে তার কাছে হোস্টিং বিক্রয় জায়েজ হবেনা।
এথেকে উপার্জনও জায়েজ হবেনা।
,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَتَعَاوَنُوا عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ [٥:٢]
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
,
তবে আপনি যদি সেটি না জেনেই তার কাছে বিক্রয় করেন,তাহলে আপনি গুনাহগার হবেননা,কারন আপনি না জেনেই তার কাছে বিক্রয় করেছেন।
এথেকে উপার্জন হালাল হবে।
তবে মুমিনদের জন্য সতর্কতামূলক এহেন কাজ না করে অন্য কোনো ভালো পন্থায় হালাল টাকা উপার্জন করা উচিত।
,
আরো জানুনঃ