আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,504 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (36 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকা তুহ

১।মিসকিন বলতে কারা?

২।১০ জনের জায়গায় ১ জনকে কি ১০ দিনের খাবার পরিমান টাকা দেওয়া যাবে?

৩।খাবার না দিয়ে কি খাবার পরিমান টাকা দিয়ে কসমের কাফফারা আদায় হবে?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
সুরা আল বালাদের ১৬ নং আয়াতে মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اَوۡ مِسۡکِیۡنًا ذَا مَتۡرَبَۃٍ ﴿ؕ۱۶﴾ 

অথবা দারিদ্র-নিষ্পেষিত নিঃস্বকে।

মিসকীন বলে যারা সম্পূর্ণ রিক্ত হস্ত অথবা যাদের জীবিকা অর্জনের ক্ষমতা নেই।

ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছেঃ
   
ومسکین من لا شئی لہ علی المذھب لقولہ تعالیٰ او مسکیناً ذا متربۃ وایۃ السفینۃ للترحم (در مختار) قولہ علی المذھب من انہ اسواء حالا من الفقیر وقیل علی العکس والاول اصح بحر وھو قول عامۃ السلف اسمٰعیل وافھم با لعطف انھما صنفان وھو قول الا مام وقال الثانی صنف واحد(رد المحتار باب المصرف ج ۲ ص ۸۰ ۔ط۔س۔ج۲ص۳۳۹) 
সারমর্মঃ
মিসকিন বলা হয় যার কিছুই নেই।
যার অবস্থা ফকির থেকেও নিম্নমানের। 
এটাই ছহীহ মত।   

ফকিরের সংজ্ঞা জানুনঃ 


(০২)
কাফফারা আদায়ের পদ্ধতি সম্পর্কে আল্লাহ তা'আলা বলেন,

لاَ يُؤَاخِذُكُمُ اللّهُ بِاللَّغْوِ فِي أَيْمَانِكُمْ وَلَـكِن يُؤَاخِذُكُم بِمَا عَقَّدتُّمُ الأَيْمَانَ فَكَفَّارَتُهُ إِطْعَامُ عَشَرَةِ مَسَاكِينَ مِنْ أَوْسَطِ مَا تُطْعِمُونَ أَهْلِيكُمْ أَوْ كِسْوَتُهُمْ أَوْ تَحْرِيرُ رَقَبَةٍ فَمَن لَّمْ يَجِدْ فَصِيَامُ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ ذَلِكَ كَفَّارَةُ أَيْمَانِكُمْ إِذَا حَلَفْتُمْ وَاحْفَظُواْ أَيْمَانَكُمْ كَذَلِكَ يُبَيِّنُ اللّهُ لَكُمْ آيَاتِهِ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

আল্লাহ তোমাদেরকে পাকড়াও করেন না তোমাদের অনর্থক শপথের জন্যে; কিন্তু পাকড়াও করেন ঐ শপথের জন্যে যা তোমরা মজবুত করে বাধ। অতএব, এর কাফফরা এই যে,(১) দশজন দরিদ্রকে খাদ্য প্রদান করবে; মধ্যম শ্রেনীর খাদ্য যা তোমরা স্বীয় পরিবারকে দিয়ে থাক।(২)অথবা, তাদেরকে বস্তু প্রদান করবে অথবা, একজন ক্রীতদাস কিংবা দাসী মুক্ত করে দিবে।(৩) যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে না, সে তিন দিন রোযা রাখবে।.....এটা কাফফরা তোমাদের শপথের, যখন শপথ করবে। তোমরা স্বীয় শপথসমূহ রক্ষা কর এমনিভাবে আল্লাহ তোমাদের জন্য স্বীয় নির্দেশ বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা স্বীকার কর।(সূরা মায়েদা-৮৯)

কসমের ধারাবাহিক তিনটি কাফফারার প্রথমটি হল,১০জন মিসকিনকে সকাল-বিকাল দু'বেলা খাদ্য খাওয়ানো বা বস্ত্র পরিধান করানো।খাওয়ানো পড়ানো সম্ভব না হলে,১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেই কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।দ্বিতীয়ত একজন গোলাম আযাদ করা।তৃতীয়ত ধারাবাহিক তিনটি রোযা রাখা।
,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি  ভাই,
১০ জনের জায়গায় ১ জনকে ১০ দিনের খাবার পরিমান টাকা দেওয়া যাবে।
তবে একদিনেই তাহা দেওয়া যাবেনা।
১০ দিনে দিতে হবে।

যদি একদিনে আদায় করতে চায়,তাহলে ১০ জন মিসকিনকে দুই বেলা খাবার বা তার টাকা দিলেই আদায় হয়ে যাবে

জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144012200367 নং ফতোয়া,দারুল উলুম দেওবন্দ এর 
749 নং ফতোয়া দ্রষ্টব্য।
,
(০৩)
হ্যাঁ খাবার পরিমান টাকা দিলেও আদায় হয়ে যাবে।

বা ১০জনের প্রত্যেকজনকে একটি ফিতরা সমপরিমাণ টাকা দিলেও কাফফারা আদায় হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...