আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
361 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (39 points)
আসসালামু আলাইকুম।
শায়খ, অনেক সময় অভিভাবক ছাড়া বিয়ের কথা জানা জানি হলে ছেলে এবং মেয়ের পরিবারে ঝামেলা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাক্ষিদের উপর দিয়ে আইনি ঝামেলা যায়। আমার জানার বিষয় হলো শায়,,
১# বিয়ে জানা জানি হলে যাতে সাক্ষিদের উপর দিয়ে ঝামেলা না যায়,এই ঝামেলা গুলো এড়াতে কি সাক্ষিরা ছদ্ম নামে অথবা অন্য নাম ব্যাবহার করে সাক্ষি হয়ে পারবে? এইভাবে বিয়ের সাক্ষি হলে সেই বিয়ে কি সহিহ হবে? অবশ্য বিয়ে যে হয়েছে এর প্রমান চাইলে অবশ্যই তারা সাক্ষ্য দিবে যে বিয়ে হয়েছে।
২# শায়খ,  ছোট থেকে জানতাম আমার বাবার নাম এর শেষে হোসেন দেয়া।আমার সার্টিফিকেট এও বাবার নামের শেষে হোসেন দেয়া। তবে জন্মনিবন্ধন এ আমার বাবার নামের শেষ এ আহমেদ দেয়া।এক্ষেত্রে  মেয়ের পিতার নাম এর শেষ এ আহমেদ /হোসেন থাকলে আহমেদ এর স্থলে হোসেন অথবা হোসেন এর জায়গায় আহমেদ দিলে বিয়েতে সমস্যা হবে কি? তবে বাবার নাম ঠিক আছে। শুধু হোসেন আর আহমেদ নিয়ে একটু সমস্যা শায়খ।

একটু দয়াকরে  জানাবেন শায়খ।

1 Answer

0 votes
by (589,170 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহীহ বোখারীর প্রথম হাদীস যা হযরত উমর রাযি থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
انما الاعمال بالنيات الخ
প্রত্যেক কাজ নিয়তের উপর নির্ভরশীল।নিয়ত ভালো থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে।আর নিয়তে কোনো প্রকার সমস্যা থাকলে সওয়াব পাওয়া যাবে না,এমনকি গোনাহও হতে পারে।

এবং ধোকা দেয়া হারাম।এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
ﻣﻦ ﻏﺸﻨﺎ ﻓﻠﻴﺲ ﻣﻨﺎ 
"যে ব্যক্তি ধোকা দেয় সে আমাদের দলভুক্ত নয়" (সহীহ মুসলিম-১০১)আরো জানুন-https://www.ifatwa.info/647

সুতরাং এই মূলনীতির আলোকে বলা যায় যে,সরকার জনগণ এমনকি সাধারণ অমুসলিমকেও ধোকা দেয়া যাবে না।তবে আত্মরক্ষার জন্য নিজেকে লুকিয়ে রাখার অনুমোদন রয়েছে।
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/2171

পূর্বে অনেক ফাতাওয়াতে আমরা উল্লেখ করেছি যে,মাতাপিতার সম্মতি ব্যতীত কখনো কোনো মুসলমান যুবক যুবতীর জন্য কোর্ট মেরেজ করা সমীচীন হবে না,মঙ্গলজনক হবে না।মাতাপিতাকে না জানিয়ে বালিগ ছেলে মেয়ের বিবাহ নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।উনেক উলামায়ে কেরাম অভিভাবকহীন বিয়েকে বাতিল বলে মনে করেন।হানাফি মাযহাব মতে কু'ফু হিসেবে ছেলেটি মেয়ের সমকক্ষ বা বেশী মর্যাদার অধীকারী হলেই কেবল বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।নতুবা মেয়ের অভিভাবকের অনুমতির উপর বিয়ে মওকুফ থাকবে।জানুন-https://www.ifatwa.info/994, কুফু সম্পর্কে জানতে https://www.ifatwa.info/780চার মাযহাবের অবস্থান দলীল সহ বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1524

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন! 
(১)প্রথমে আমরা বলবো, এভাবে চুরি করে বিয়ে করা কখনো উচিৎ নয়। এবং এভাবে চুরি করে বিয়ে করতে যেয়ে মিথ্যার আশ্রয় গ্রহণ করাও কখনো উচিৎ হবে না। 
(২) নাম পরিবর্তনের জন্য বিয়েতে কোনো সমস্যা হবে না। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...